
গাছ আর প্রাণীরা: জঙ্গলের কার্বন শোষণ রহস্য
প্রকাশিত তারিখ: ২৮ জুলাই, ২০২৫ প্রকাশনা: ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)
বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, আমাদের চারপাশের সবুজ জঙ্গলগুলো শুধু দেখতে সুন্দরই নয়, এরা আমাদের পৃথিবীর জন্য অনেক বড় কাজও করে? তারা আমাদের শ্বাস নেওয়ার জন্য অক্সিজেন দেয় এবং আকাশে জমে থাকা ক্ষতিকারক কার্বন ডাই অক্সাইডকে শোষণ করে নেয়। কিন্তু জানো কি, এই কার্বন শোষণ কাজে শুধু গাছ একা নয়, গাছের সাথে সাথে আমাদের প্রিয় প্রাণীরাও এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে? MIT-এর বিজ্ঞানীরা এমনই এক চমৎকার তথ্য আবিষ্কার করেছেন, যা আমাদের জঙ্গলের এই গোপন কার্বন কারখানার কথা আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
জঙ্গল আসলে কী?
জঙ্গল হলো গাছ, লতাপাতা, ছোট গুল্ম এবং নানা ধরণের জীবের এক বিশাল পরিবার। এখানে শুধু গাছই থাকে না, এখানে থাকে নানা ধরণের পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী, পোকামাকড়, ব্যাং, সাপ এবং আরও অনেক কিছু। তারা সবাই মিলেমিশে এক সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে।
গাছেরা কীভাবে কার্বন শোষণ করে?
তোমরা হয়তো জানো, গাছেরা সূর্যের আলো ব্যবহার করে খাবার তৈরি করে। এই খাবার তৈরির সময় তারা বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ছেড়ে দেয়। কার্বন ডাই অক্সাইড হলো এক ধরণের গ্যাস যা আমাদের পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। গাছেরা এই গ্যাস শোষণ করে মাটির নিচে এবং তাদের শরীরে জমা করে রাখে। এভাবেই তারা আমাদের জলবায়ুকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
প্রাণীদের ভূমিকা এখানে কোথায়?
MIT-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাণীরা এই কার্বন শোষণের প্রক্রিয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারা কীভাবে, চলো দেখি:
-
বীজ ছড়ানো: অনেক প্রাণী, যেমন – পাখি, কাঠবিড়ালি, এবং কিছু বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী, ফল খায় এবং তাদের বর্জ্যের সাথে গাছের বীজ ছড়িয়ে দেয়। এই বীজ থেকে নতুন গাছ জন্মায়। যত বেশি গাছ, তত বেশি কার্বন শোষণ।
-
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি: প্রাণীরা যখন মরে যায় অথবা তাদের বর্জ্য মাটিতে মেশে, তখন তা মাটিকে আরও উর্বর করে তোলে। উর্বর মাটিতে গাছেরা আরও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং বেশি কার্বন শোষণ করতে পারে।
-
পরাগরেণু বহন: কিছু প্রাণী, যেমন – মৌমাছি এবং প্রজাপতি, ফুল থেকে ফুলে উড়ে বেড়ায় এবং পরাগরেণু বহন করে। এটি নতুন ফল ও বীজ তৈরিতে সাহায্য করে, যা থেকে নতুন গাছ জন্মায়।
-
খাদ্য শৃঙ্খলের ভারসাম্য: জঙ্গলের প্রতিটি প্রাণী একে অপরের উপর নির্ভরশীল। বড় প্রাণীরা ছোট প্রাণীদের খায়, এতে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থাকে। যদি কোনো একটি প্রাণীর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যায়, তবে তারা হয়তো বেশি পরিমাণে গাছ খেয়ে ফেলতে পারে, যা জঙ্গলের জন্য ক্ষতিকর। প্রাণীরা এই ভারসাম্য বজায় রাখে।
গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার:
MIT-এর বিজ্ঞানীরা একটি নতুন মডেল তৈরি করেছেন যা দেখায় যে, প্রাণীদের ছাড়া জঙ্গল এতো ভালোভাবে কার্বন শোষণ করতে পারবে না। তারা বলছেন, প্রাণীদের কার্যকলাপের ফলে জঙ্গলের মাটির নিচে কার্বন জমা হওয়ার পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে! এটা এক বিশাল ব্যাপার।
আমরা কী করতে পারি?
এই আবিষ্কার আমাদের শেখাচ্ছে যে, জঙ্গলের প্রতিটি জীব, ছোট বা বড়, সবারই একটি বিশেষ কাজ আছে। আমাদের উচিত এই সুন্দর জঙ্গলগুলোকে রক্ষা করা এবং তাদের মধ্যে থাকা প্রাণীদের যত্ন নেওয়া।
- আমরা বেশি করে গাছ লাগাতে পারি।
- প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ দূষণ কমাতে পারি।
- আমাদের চারপাশের পোকামাকড়, পাখি এবং অন্য প্রাণীদের বিরক্ত না করে তাদের প্রকৃতির নিয়মে বাঁচতে দিতে পারি।
যখন আমরা জঙ্গল এবং তার প্রাণীদের সম্মান করি, তখন আমরা আসলে আমাদের পৃথিবীর সুস্থ থাকার জন্য একটি বড় কাজ করি। তাই পরের বার যখন তোমরা জঙ্গলে যাবে, তখন শুধু গাছ নয়, সেখানকার ছোট ছোট প্রাণীদেরও খেয়াল করো। তারা সবাই মিলেমিশে আমাদের পৃথিবীকে বাঁচিয়ে চলেছে!
Why animals are a critical part of forest carbon absorption
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-28 18:30 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Why animals are a critical part of forest carbon absorption’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।