ভুল থেকে শেখা: শিশুদের জন্য একটি মজার বিজ্ঞান গল্প!,Massachusetts Institute of Technology


ভুল থেকে শেখা: শিশুদের জন্য একটি মজার বিজ্ঞান গল্প!

Massachusetts Institute of Technology (MIT) থেকে এক দারুণ খবর!

২০২৫ সালের ২০ আগস্ট, MIT-এর বিজ্ঞানীরা একটি মজার গবেষণা প্রকাশ করেছেন যার নাম “ভুল থেকে শেখা”। এই গবেষণাটি আমাদের শেখায় যে, আমরা যখন কোনো ভুল করি, তখন আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে সেই ভুল থেকে শেখে এবং ভবিষ্যতে সেটি আর না করার চেষ্টা করে। চলো, আমরা সবাই মিলে এই দারুণ ব্যাপারটি সহজ ভাষায় জেনে নিই!

ধরো, তুমি খেলনা দিয়ে খেলছো…

ধরো, তুমি একটি নতুন খেলনা দিয়ে খেলছো। খেলনাটির কিছু অংশ জুড়ে দিতে হবে। তুমি চেষ্টা করলে, কিন্তু প্রথমবার হলো না। খেলনাটি ভেঙে গেল বা ঠিকমতো জুটল না। তোমার কি মন খারাপ হলো? একটু হয়তো হলো। কিন্তু তুমি কি হাল ছেড়ে দিলে? না! তুমি আবার চেষ্টা করলে, এবার আগের ভুলের কথা মনে রেখে। তুমি বুঝলে কোন অংশটা কোথায় লাগাতে হবে। আর তারপর, অবশেষে খেলনাটি সুন্দরভাবে জুড়ে গেল!

কী অবাক করা ব্যাপার, তাই না?

তোমার মস্তিষ্ক ঠিক এই কাজটিই করেছে! যখন তুমি প্রথমবার ভুল করলে, তোমার মস্তিষ্ক সেই ভুলের একটি “নোট” নিল। এটি একটি “ভুল-সংকেত” এর মতো। এই সংকেতটি তোমার মস্তিষ্কের কিছু বিশেষ অংশকে জানিয়ে দেয় যে, “এই কাজটি করলে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।”

MIT-এর বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, যখন আমরা কোনো ভুল করি, তখন আমাদের মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক পদার্থ (যেমন ডোপামিন) একটি বিশেষ উপায়ে কাজ করে। এই রাসায়নিক পদার্থগুলো আমাদের মস্তিষ্কের “স্মৃতি” তৈরি করতে সাহায্য করে। তারা মনে রাখে যে, কোন কাজটি করলে “খারাপ” ফল আসে এবং কোন কাজটি করলে “ভালো” ফল আসে।

ভুল করা কি খারাপ? একদমই না!

এই গবেষণা থেকে আমরা শিখি যে, ভুল করাটা আসলে খুব ভালো! কারণ, ভুল থেকেই আমরা শিখতে পারি। তুমি যখন কোনো অঙ্ক ভুল করছ, তখন তুমি বুঝছ যে, তুমি কোথায় ভুল করেছ। সেই ভুলটা শুধরে নিলে তুমি অঙ্কটা ঠিকভাবে করতে পারবে। যখন তুমি সাইকেল চালাতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছ, তখন তুমি বুঝছ যে, কীভাবে ব্যালেন্স রাখতে হয়। পড়ে গিয়েও আবার উঠে আবার চেষ্টা করাই হলো আসল শেখা।

বিজ্ঞানীরা এটা কীভাবে বুঝলেন?

MIT-এর বিজ্ঞানীরা ছোট ছোট রোবট বা কম্পিউটারের প্রোগ্রামের সাথে এই পরীক্ষাটি করেছেন। তারা রোবটকে কিছু কাজ করতে শিখিয়েছেন। যখন রোবট ভুল করত, তখন বিজ্ঞানীরা দেখতেন যে, রোবটের “কৃত্রিম মস্তিষ্ক” (artificial brain) কীভাবে সেই ভুল থেকে শেখে। তারা দেখেছেন, ঠিক মানুষের মতো, রোবটের মস্তিষ্কও ভুলের পর নিজেদের পরিবর্তন করে, যাতে পরের বার ভুলটা না হয়।

তোমার শেখার সাথে এর কী সম্পর্ক?

তুমি যখন স্কুলে নতুন কিছু শেখো, বা বাড়িতে নতুন কোনো খেলা শেখো, তখন প্রথমবার হয়তো ভুল হয়ে যায়। কিন্তু তুমি হাল ছেড়ে দাও না। তুমি আবার চেষ্টা করো, শিক্ষকের কথা শোনো, বা বন্ধুদের দেখে শেখো। তোমার এই চেষ্টা এবং ভুলগুলোই তোমাকে আরও ভালো করে শিখতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞান হতে পারে খুব মজার!

অনেক সময় আমরা মনে করি বিজ্ঞান খুব কঠিন। কিন্তু এই গবেষণাটি দেখায় যে, বিজ্ঞান আসলে আমাদের জীবনের সাথে কতটা জড়িত। আমরা প্রতিদিন যে ছোট ছোট জিনিস শিখি, তার পেছনেও হয়তো লুকিয়ে আছে দারুণ সব বৈজ্ঞানিক কারণ।

ভবিষ্যতে তুমি কী হতে পারো?

তোমার মনে হয়তো অনেক প্রশ্ন আছে। তুমি হয়তো অনেক কিছু জানতে চাও। এই গবেষণাটি আমাদের শেখায় যে, প্রশ্ন করা এবং চেষ্টা করাটাই হলো বিজ্ঞানের প্রথম ধাপ। হয়তো তুমিই একদিন এমন কোনো নতুন কিছু আবিষ্কার করবে যা পৃথিবী বদলে দেবে!

তাহলে, আজকের পর থেকে যখনই কোনো ভুল করবে, মন খারাপ করবে না। বরং খুশি হবে! কারণ, তুমি শিখছ, তুমি বড় হচ্ছ, ঠিক বিজ্ঞানীদের মতো!


Learning from punishment


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-20 20:45 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Learning from punishment’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন