
ফ্লু ভ্যাকসিন তৈরিতে নতুন জাদু: MIT-এর AI রোবট!
তারিখ: ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ সময়: বিকাল ৩:৫০
জানেন তো, প্রতি বছর আমরা যে ফ্লু ভ্যাকসিন নিই, সেটা তৈরি করা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ! ফ্লু ভাইরাস নাকি খুব দুষ্টু, সে তার রূপ প্রায়ই পাল্টাতে থাকে। তাই কোন ভাইরাসটিকে ধরে ভ্যাকসিন বানাতে হবে, তা ঠিক করাটা খুব দরকারি। আর এই কঠিন কাজটিকে সহজ করতে, আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT) -এর বিজ্ঞানীরা এক দারুণ জিনিস আবিষ্কার করেছেন! এর নাম দিয়েছেন ‘ভ্যাক্সসির’ (Vaxseer)।
ভ্যাক্সসির কী?
ভ্যাক্সসির আসলে কোনো রোবট নয়, বরং এটি একটি বুদ্ধিমান কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যাকে আমরা ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা ‘AI’ বলতে পারি। ভাবুন তো, এমন একজন বন্ধু যে সবকিছু খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারে এবং অনেক জটিল সমস্যার সমাধানও করে দিতে পারে! ভ্যাক্সসির ঠিক তেমনই।
কেন এই AI রোবট দরকার?
ফ্লু ভাইরাসের কিছু বিশেষ অংশ থাকে, যেগুলোকে ‘সারফেস প্রোটিন’ বলা হয়। এই প্রোটিনগুলো বদলাতে থাকে। বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো ভাইরাসের উপর নজর রাখেন এবং গবেষণা করে বোঝার চেষ্টা করেন যে, আগামী বছর কোন ভাইরাসের রূপটি সবচেয়ে বেশি দেখা যেতে পারে। তারপর সেই ভাইরাসের উপর ভিত্তি করে ভ্যাকসিন তৈরি করেন।
কিন্তু এই কাজটা সবসময় খুব সহজ নয়। কারণ, অনেক সময় যে ভাইরাসটিকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে হয়, দেখা যায় যে পরবর্তীকালে অন্য একটি ভাইরাসের আক্রমণ বেশি হয়েছে। তখন ভ্যাকসিন হয়তো ততটা কার্যকর হয় না।
ভ্যাক্সসির এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে অনেক সহজ করে দেয়। এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে হাজার হাজার ভাইরাসের ডেটা বিশ্লেষণ করে। কোন ভাইরাসটি কীভাবে বদলাচ্ছে, তার পূর্বাভাস দেয়। এর ফলে, কোন ভাইরাসটিকে ধরে ভ্যাকসিন তৈরি করলে তা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে, তা বিজ্ঞানীরা অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারেন।
কীভাবে কাজ করে এই AI রোবট?
ভ্যাক্সসির-এর মতো AI প্রোগ্রামগুলো প্রচুর পরিমাণে তথ্য (ডেটা) দেখে শেখে। যেমন, এটি দেখেছে গত অনেক বছর ধরে কোন কোন ফ্লু ভাইরাস বেশি ছড়িয়েছে, তাদের মধ্যে কী কী পরিবর্তন এসেছে। এই সব তথ্য থেকে সে শিখে নেয় যে, ভাইরাসগুলো কীভাবে বদলাতে পারে।
তারপর, যখন নতুন ভাইরাসের তথ্য দেওয়া হয়, তখন ভ্যাক্সসির সেই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে বলে দেয় যে, কোন ভাইরাসটি আগামী দিনে বেশি শক্তিশালী হতে পারে। অনেকটা গোয়েন্দা গল্পের গোয়েন্দার মতো, যে সব সূত্র মিলিয়ে আসল অপরাধীকে ধরে ফেলে!
শিশুদের জন্য এই আবিষ্কার কেন জরুরি?
তোমরা নিশ্চয়ই চাও যে, তোমরা যেন সুস্থ থাকো এবং স্কুলে যেতে পারো। ফ্লু হলে তোমরা অসুস্থ হয়ে পড়ো, তাই না? এই নতুন AI রোবট, ভ্যাক্সসির, যদি ফ্লু ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্য করে, তাহলে ভ্যাকসিন আরও ভালো হবে। ভালো ভ্যাকসিন মানে, ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়া!
এর ফলে, তোমরা কম অসুস্থ হবে, খেলাধুলা করতে পারবে, নতুন জিনিস শিখতে পারবে এবং অনেক মজা করতে পারবে।
বিজ্ঞানে আগ্রহী হওয়ার নতুন কারণ!
এই আবিষ্কারটি প্রমাণ করে যে, বিজ্ঞান কতটা রোমাঞ্চকর! শুধু বই পড়ে নয়, আমরা কম্পিউটার বা AI-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি।
তোমরা যারা ভবিষ্যতে ডাক্তার, বিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চাও, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ অনুপ্রেরণা। কে জানে, হয়তো তোমরাও একদিন এমন কোনো AI তৈরি করবে যা আরও বড় বড় রোগের সমাধান দেবে!
ভ্যাক্সসির-এর ভবিষ্যৎ কী?
ভ্যাক্সসির এখনও নতুন, কিন্তু বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে এটি ফ্লু ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়াকে অনেক দ্রুত এবং আরও কার্যকর করে তুলবে। এর ফলে, আমরা যে ফ্লু-এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাতে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাব।
বিজ্ঞানের এই ছোট্ট জাদু, ভ্যাক্সসির, আমাদের সকলের জন্য সুসংবাদ বয়ে আনছে। চলো, আমরা সবাই বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও জানি এবং এই সুন্দর পৃথিবীকে আরও উন্নত করে তুলি!
MIT researchers develop AI tool to improve flu vaccine strain selection
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-28 15:50 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘MIT researchers develop AI tool to improve flu vaccine strain selection’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।