মহাকাশের লক্ষী: LIGO – দশ বছরে দৈত্যাকার তারা শিকারী!,Massachusetts Institute of Technology


মহাকাশের লক্ষী: LIGO – দশ বছরে দৈত্যাকার তারা শিকারী!

সংবাদ: Massachusetts Institute of Technology প্রকাশের তারিখ: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ৩:০০ PM

ভাবো তো, যদি তুমি রাতের আকাশে তাকাও আর দেখতে পাও যে তারাগুলো শুধু আলো ছড়াচ্ছে না, বরং তারাগুলো একে অপরের সাথে ধাক্কা খাচ্ছে, অথবা বিশাল দানবের মতো একটা তারা অন্য তারাকে গিলে খাচ্ছে! এটা কিন্তু কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়। আমাদের মহাকাশে এমন সব ঘটনা ঘটে চলেছে, যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। আর এই অলৌকিক ঘটনাগুলো দেখার জন্য আমাদের আছে এক বিশেষ যন্ত্র, যার নাম LIGO (লাইগো)

LIGO কী?

LIGO হলো আমেরিকার দু’টি বিশাল ল্যাবরেটরি, যা একসঙ্গে কাজ করে। এই ল্যাবরেটরিগুলো খুব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশের এমন সব জিনিস খুঁজে বের করে, যা আমরা অন্য কোনো উপায়ে দেখতে বা জানতে পারি না। LIGO-এর প্রধান কাজ হলো কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole) এবং নিউট্রন তারা (Neutron Star)-এর মতো মহাকাশের রহস্যময় বস্তুগুলোকে খুঁজে বের করা।

কৃষ্ণগহ্বর কী?

কৃষ্ণগহ্বর হলো মহাকাশের এমন এক জায়গা, যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এত বেশি যে আলো পর্যন্ত সেখান থেকে বের হতে পারে না। ভাবো তো, এটা যেন মহাকাশের এক বিশাল ভ্যাম্পায়ার, যা সবকিছুকেই নিজের দিকে টেনে নেয়! তারাগুলো যখন তাদের জীবনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন অনেক সময় তারা ভেঙে গিয়ে এই কৃষ্ণগহ্বর তৈরি করে।

LIGO কীভাবে কাজ করে?

LIGO অনেকটা আয়নার খেলা খেলে। এর মধ্যে দুটো খুব লম্বা, সোজা টানেল থাকে। প্রত্যেকটা টানেলের শেষ প্রান্তে একটা করে আয়না লাগানো থাকে। এরপর বিজ্ঞানীরা একটা লেজার আলো টানেলের মধ্যে পাঠান। আলোটা আয়না থেকে প্রতিফলিত হয়ে আবার ফিরে আসে। LIGO এই আলোর যাওয়া-আসা খুব নিখুঁতভাবে মাপে।

যখন মহাকাশে দুটো কৃষ্ণগহ্বর একে অপরের সাথে ধাক্কা খায়, বা দুটো নিউট্রন তারা একে অপরের সাথে মিশে যায়, তখন মহাকাশে এক ধরণের ঢেউ তৈরি হয়, যেটাকে বলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (Gravitational Wave)। এই ঢেউগুলো যখন LIGO-এর পাশ দিয়ে যায়, তখন টানেলের দৈর্ঘ্য একটু বদলে যায়। LIGO এই ছোট পরিবর্তনগুলো ধরতে পারে এবং বিজ্ঞানীদের বলে দেয় যে মহাকাশে কী ঘটেছে।

দশ বছরের জাদু!

LIGO কাজ শুরু করার পর মাত্র দশ বছরেই সে মহাকাশের অনেক বড় বড় রহস্যের সমাধান করেছে।

  • প্রথমবার কৃষ্ণগহ্বর দেখা: LIGO-এর সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, তারা প্রথমবার দুটো কৃষ্ণগহ্বর একে অপরের সাথে ধাক্কা খেতে দেখেছে। এটা ছিল মহাকাশ গবেষণার জন্য এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। বিজ্ঞানীরা আগে শুধু ছবি তোলার মাধ্যমে মহাকাশের জিনিস দেখতেন, কিন্তু LIGO-এর মাধ্যমে তারা এমন শব্দ শুনেছেন, যা মহাকাশ থেকে আসছে!
  • নতুন ধরনের তারা: LIGO শুধু কৃষ্ণগহ্বরই নয়, নিউট্রন তারার ধাক্কাধাক্কিও দেখেছে। নিউট্রন তারা হলো কৃষ্ণগহ্বরের চেয়ে একটু ছোট, কিন্তু এদের ওজন কিন্তু অনেক বেশি। দুটো নিউট্রন তারা যখন মেশে, তখন সোনা, রুপো-র মতো মূল্যবান ধাতুও তৈরি হতে পারে!
  • মহাকাশের জন্ম রহস্য: LIGO-এর আবিষ্কারগুলো আমাদের মহাবিশ্ব কীভাবে তৈরি হয়েছে, সেই রহস্য বুঝতেও সাহায্য করছে।

কেন LIGO এত গুরুত্বপূর্ণ?

LIGO আমাদের মহাকাশকে নতুন চোখে দেখতে শিখিয়েছে। এটা শুধু বিজ্ঞানীরাই নয়, আমাদের সবার জন্যই এক রোমাঞ্চকর আবিষ্কার। LIGO-এর মাধ্যমে আমরা মহাকাশের এমন সব ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি, যা আগে আমরা কল্পনাও করতে পারতাম না।

ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরাও হতে পারো LIGO-এর মতো আবিষ্কারকের একজন!

বিজ্ঞান সব সময় নতুন কিছু শেখার এবং জানার একটি দারুণ সুযোগ। LIGO-এর মতো যন্ত্রগুলো আমাদের মহাবিশ্বের বিশালতা এবং সৌন্দর্য বুঝতে সাহায্য করে। তোমরা যদি প্রশ্ন করতে ভালোবাসো, নতুন জিনিস জানতে চাও, তাহলে বিজ্ঞান তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। হয়তো একদিন তোমরাও মহাকাশের আরও নতুন রহস্য উন্মোচন করবে!

LIGO-এর এই দশ বছরের যাত্রা সত্যিই এক অসাধারণ গল্প। মহাকাশের এই “দৈত্যাকার তারা শিকারী” যন্ত্রটি আমাদের মহাবিশ্বকে আরও ভালোভাবে চিনতে সাহায্য করছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক অবাক করা আবিষ্কার নিয়ে আসবে, এটা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।


Ten years later, LIGO is a black-hole hunting machine


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-09-10 15:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Ten years later, LIGO is a black-hole hunting machine’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন