
আমাদের দুই বিজ্ঞানী পেলেন বিরাট পুরস্কার!
মহাকাশ আর জীবনের রহস্যের গভীরে ডুব দেবেন আমাদের দুই বন্ধু!
ভাবো তো, মহাকাশে কী আছে? লক্ষ লক্ষ তারা, অচেনা গ্রহ, হয়তো অন্য কোনো জীবনের সন্ধানও! আবার ভাবো, আমাদের শরীরের ভেতরে কী ঘটে? কেন আমরা বড় হই, কেন অসুস্থ হলে সেরে উঠি? এই সব মজার মজার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাদের দেশের দুজন বিজ্ঞানী বিরাট এক পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। তাদের নাম ডঃ ফ্লোরিয়ান কিশ (Dr. Fülöp Kisfaludi) এবং ডঃ লাসলো ইমরে টোথ (Dr. Imre László Tóth)।
তারা কী জিতেছেন?
এঁরা ইউরোপিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল (ERC) নামে এক বড় সংস্থার কাছ থেকে “Starting Grant” নামের এক বিশেষ সাহায্য পেয়েছেন। এটা অনেকটা স্কুলের পরীক্ষায় ভালো ফল করলে যেমন পুরস্কার পাওয়া যায়, তেমন। তবে এটা সাধারণ কোনো পুরস্কার নয়, এটা তাদের গবেষণা করার জন্য অনেক টাকা দেবে। এই টাকা দিয়ে তাঁরা তাঁদের পছন্দের বিষয় নিয়ে আরও গভীর ভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন।
ডঃ কিশ কী নিয়ে গবেষণা করবেন?
ডঃ কিশ মহাকাশের রহস্য নিয়ে গবেষণা করবেন। ভাবো তো, মহাকাশে আমরা যে জিনিসগুলো দেখি, সেগুলো আসলে কী দিয়ে তৈরি? ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter) আর ডার্ক এনার্জি (Dark Energy) নামে দুটো জিনিস আছে, যা আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু মহাকাশের অনেক কিছুর জন্য এরাই দায়ী। ডঃ কিশ এই অচেনা জিনিসগুলো কীভাবে কাজ করে, সেগুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। এটা অনেকটা গুপ্তধন খোঁজার মতো, তবে এই গুপ্তধন হলো মহাকাশের অজানা তথ্য!
ডঃ টোথ কী নিয়ে গবেষণা করবেন?
অন্যদিকে, ডঃ টোথ আমাদের শরীরের ভেতরের জীবন নিয়ে গবেষণা করবেন। আমাদের শরীর কীভাবে কাজ করে, কেন আমরা সুস্থ থাকি আর অসুস্থ হলে কীভাবে সুস্থ হই—এসব তিনি জানতে চান। তিনি বিশেষ করে আমাদের শরীরের ভেতরের ছোট ছোট “অণু” (molecules) নিয়ে কাজ করবেন। এই অণুগুলোই আমাদের শরীরকে ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে। ডঃ টোথ এই অণুগুলোর ভাষা বুঝতে চাইবেন, যাতে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
কেন এই পুরস্কার এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই “Starting Grant” পাওয়া খুব সহজ নয়। সারা ইউরোপ থেকে অনেক বিজ্ঞানী আবেদন করেন, কিন্তু খুব অল্প কয়েকজনই এই সাহায্য পান। যারা এই সাহায্য পান, তারা খুবই মেধাবী এবং তাঁদের গবেষণার বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডঃ কিশ এবং ডঃ টোথ এই পুরস্কার জিতে প্রমাণ করেছেন যে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরাও অনেক প্রতিভাবান।
তোমরা কেন বিজ্ঞানে আগ্রহী হবে?
ভাবো তো, যদি ডঃ কিশ মহাকাশের রহস্য জেনে যান, তাহলে আমরা মহাকাশকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারব। হয়তো একদিন আমরা অন্য গ্রহেও যেতে পারব! আর ডঃ টোথ যদি আমাদের শরীরের রহস্য জেনে যান, তাহলে আমরা অনেক নতুন ওষুধ আবিষ্কার করতে পারব, যা অনেক মানুষের জীবন বাঁচাবে।
বিজ্ঞান কেবল বইয়ের পাতায় নয়, আমাদের চারপাশের সবকিছুতেই বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে। তুমি যখন খেলনা গাড়ি চালাও, তখনও তাতে বিজ্ঞান আছে। আকাশে উড়ে যাওয়া প্লেন, তোমার মোবাইল ফোন—সবকিছুতেই বিজ্ঞানের জাদু!
এই দুই বিজ্ঞানীর মতো তোমরাও একদিন বড় বিজ্ঞানী হতে পারো। যদি কোনো কিছু নিয়ে তোমার মনে প্রশ্ন আসে, তবে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করো। হয়তো একদিন তুমিও এমন কিছু আবিষ্কার করবে, যা পুরো দুনিয়াকে বদলে দেবে!
বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন!
আমরা ডঃ ফ্লোরিয়ান কিশ এবং ডঃ লাসলো ইমরে টোথ-কে তাঁদের এই বিরাট অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। আশা করি, তাঁদের গবেষণা আমাদের অজানা অনেক রহস্য উন্মোচন করবে এবং মানবজাতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তোমরাও এই দুই বিজ্ঞানীর মতো বড় স্বপ্ন দেখো আর বিজ্ঞানকে ভালোবাসো!
Két magyar kutató nyerte el a Starting Grant támogatást az idei pályázaton
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-09-04 08:07 এ, Hungarian Academy of Sciences ‘Két magyar kutató nyerte el a Starting Grant támogatást az idei pályázaton’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।