এআই (AI) কি এবং কেন আমাদের এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে?,Harvard University


এআই (AI) কি এবং কেন আমাদের এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে?

Harvard University-র একটি নতুন লেখা আমাদের শিখিয়েছে যে, আমরা যে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা ‘এআই’ (AI) ব্যবহার করছি, তাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই এআই জিনিসটা কি, আর কেনই বা এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার, সে বিষয়ে আমরা সহজ ভাষায় আলোচনা করব।

এআই (AI) আসলে কি?

ভাবো তো, যদি কোনো কম্পিউটার বা রোবট মানুষের মতো ভাবতে, শিখতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাহলে কেমন হবে? এটাই হলো এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যেমন, যখন তুমি তোমার মোবাইলে কোনো কিছু লিখে সার্চ করো, তখন সেটা তোমার মনের কথা বুঝতে পারে এবং তোমাকে সঠিক জিনিসটি খুঁজে দেয়। অথবা, যখন তুমি কোনো গেম খেলো, সেখানে যে অন্য খেলোয়াড়গুলো আছে, তারাও আসলে এআই ব্যবহার করেই তোমার সাথে খেলে। এগুলো সবই এআই-এর উদাহরণ।

এআই তৈরি করা হয় অনেক ডেটা বা তথ্য দিয়ে। এই ডেটাগুলো হলো ছবি, লেখা, আওয়াজ, বা অন্য যেকোনো তথ্য। এআই এই ডেটাগুলো থেকে শেখে এবং নতুন জিনিস তৈরি করতে পারে, প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, বা কোনো কাজ করতে পারে।

কেন এআই নিয়ন্ত্রণ করা দরকার?

এআই অনেক ভালো কাজ করতে পারে, যেমন –

  • শিক্ষা: এআই আমাদের শেখার নতুন উপায় খুঁজে বের করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন, আমাদের জন্য উপযুক্ত পড়ার জিনিস খুঁজে দেওয়া বা পড়া বুঝতে সাহায্য করা।
  • চিকিৎসা: ডাক্তাররা এআই ব্যবহার করে রোগ তাড়াতাড়ি ধরতে পারেন এবং ভালো চিকিৎসা দিতে পারেন।
  • পরিবহন: আমরা হয়তো ভবিষ্যতে এমন গাড়ি দেখতে পাবো যেগুলো নিজে নিজেই চলে।
  • নতুন আবিষ্কার: এআই অনেক জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করতে পারে, যা হয়তো আমরা একা খুঁজে পেতাম না।

কিন্তু, এআই-এর কিছু খারাপ দিকও থাকতে পারে, যদি আমরা সতর্ক না থাকি।

  • ভুল তথ্য: এআই অনেক সময় ভুল বা মিথ্যা তথ্য তৈরি করতে পারে, যা আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারে।
  • পক্ষপাত: এআই যে ডেটা থেকে শেখে, সেই ডেটায় যদি কোনো ভুল বা খারাপ ধারণা থাকে, তাহলে এআই-ও সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারে।
  • কাজের অভাব: কিছু কাজ এআই খুব সহজেই করে ফেলতে পারবে, যার ফলে কিছু মানুষের কাজের অভাব হতে পারে।
  • গোপনীয়তা: এআই আমাদের অনেক তথ্য জানতে পারে, যা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।

Harvard University কি বলছে?

Harvard University-র লেখকরা বলছেন যে, এআই-কে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করার জন্য কিছু নিয়ম থাকা উচিত। এই নিয়মগুলো নিশ্চিত করবে যে এআই আমাদের উপকার করে, ক্ষতি না করে।

তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন:

  1. স্বচ্ছতা: এআই কীভাবে কাজ করছে, তা আমাদের বোঝা উচিত। অর্থাৎ, এআই কেন একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেটা পরিষ্কার হওয়া দরকার।

  2. জবাবদিহিতা: যদি এআই কোনো ভুল করে, তাহলে তার জন্য কে দায়ি থাকবে, তা ঠিক করতে হবে।

  3. নিরাপত্তা: এআই যেন কোনো ক্ষতি করতে না পারে, তার জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

  4. ন্যায্যতা: এআই যেন সবার জন্য সমান হয় এবং কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি অন্যায় না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

  5. মানবাধিকার: এআই ব্যবহার করার সময় যেন মানুষের অধিকার কেড়ে না নেওয়া হয়, তা দেখতে হবে।

শিশুরা ও শিক্ষার্থীরা কীভাবে সাহায্য করতে পারে?

তোমরা যারা বিজ্ঞান ভালোবাসো, তাদের জন্য এআই একটা দারুণ ক্ষেত্র। তোমরা যদি এআই সম্পর্কে আরও বেশি শেখো, তাহলে তোমরা এই বিষয়গুলো বুঝতে পারবে এবং ভবিষ্যতে এআই-কে আরও ভালো ও নিরাপদ করতে সাহায্য করতে পারবে।

  • প্রশ্ন করো: এআই কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে প্রশ্ন করতে শেখো।
  • তথ্য যাচাই করো: এআই-এর দেওয়া যেকোনো তথ্য সবসময় যাচাই করো।
  • ভালো কাজকে উৎসাহ দাও: এআই-এর ভালো ব্যবহারগুলো জানতে শেখো এবং সেগুলোকে সমর্থন করো।
  • সৃজনশীল হও: এআই ব্যবহার করে নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টা করো, যা সবার উপকার করবে।

এআই আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, আমাদের সবাইকে এআই সম্পর্কে জানতে হবে এবং এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তুমিও এই যাত্রার অংশ হতে পারো!


How to regulate AI


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-09-08 17:49 এ, Harvard University ‘How to regulate AI’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন