
রহস্যময় রঙের জলকে দাও বিদায়: এক সহজ কিন্তু জাদুকরী পরীক্ষামূলক যাত্রায়
রঙিন জল দেখলে মনে হয় যেন কোনো জাদুকর তার জাদুর কাঠি ঘুরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই রঙিন জলকে আবার স্বচ্ছ করে তোলাও সম্ভব, যদি আমরা একটু বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চিন্তা করি। সম্প্রতি, “国立大学55工学系学部” (৫২টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ) ‘色のついた水を透明にしてみよう!’ (রঙিন জলকে স্বচ্ছ করে তুলুন!) শিরোনামে একটি চমৎকার এবং শিক্ষামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে, যা আমাদের এই জাদুকরী প্রক্রিয়াটি সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেছে। এটি কেবল একটি পরীক্ষা নয়, বরং বিজ্ঞান এবং প্রকৃতির এক সুন্দর মেলবন্ধন, যা আমাদের কৌতূহল নিবারণের পাশাপাশি শেখারও এক দারুণ সুযোগ করে দেয়।
কৌতূহলের জন্ম: কেন জল রঙিন হয়?
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে, জল আসলে কেন রঙিন হয়। আমরা সাধারণত যে জল পান করি, তা বর্ণহীন। কিন্তু যখন জলে বিভিন্ন ধরণের রঞ্জক পদার্থ (dyes) মেশানো হয়, তখন তা রঙিন হয়ে ওঠে। এই রঞ্জক পদার্থগুলি আলোর নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে এবং অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে প্রতিফলিত করে, যার ফলে আমরা জলকে নির্দিষ্ট রঙে দেখতে পাই। যেমন, নীল রঙের রঞ্জক নীল আলো প্রতিফলিত করে, আর অন্য রং শোষণ করে নেয়।
জাদুর মন্ত্র: জলকে স্বচ্ছ করার উপায়
‘国立大学55工学系学部’-এর প্রবন্ধটি আমাদের এই রঙিন জলকে আবার স্বচ্ছ করে তোলার জন্য কয়েকটি সহজ অথচ কার্যকরী পদ্ধতির কথা জানিয়েছে। মূলত, এই পরীক্ষাগুলি আমাদের শেখায় কিভাবে প্রকৃতির নিয়মের সাহায্যে কোনো কিছুকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।
-
অধঃক্ষেপণ (Precipitation): কিছু রঞ্জক পদার্থ আছে, যা নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে অধঃক্ষিপ্ত হয়। অর্থাৎ, তারা দ্রবণ থেকে কঠিন কণায় পরিণত হয়ে নিচে জমা হয়। যেমন, কিছু অ্যাসিড বা ক্ষার যোগ করলে রঙের অণুগুলি একসঙ্গে জোট বেঁধে জমাট বেঁধে যায়। এই জমাট বাঁধা কঠিন পদার্থগুলিকে তারপর ফিল্টার করে জল থেকে আলাদা করে ফেলা যায়, এবং জল স্বচ্ছ হয়ে ওঠে।
-
শোষণ (Adsorption): কিছু পদার্থ আছে, যারা নিজেদের পৃষ্ঠতলে অন্য পদার্থকে আকৃষ্ট করে ধরে রাখতে পারে।Activated charcoal বা সক্রিয় কার্বন এমন একটি উদাহরণ। যখন রঙিন জল অ্যাক্টিভেটেড চারকোলের সংস্পর্শে আসে, তখন রঙের অণুগুলি অ্যাক্টিভেটেড চারকোলের অসংখ্য ছিদ্রের মধ্যে আটকে যায়। এর ফলে জল থেকে রং অপসারিত হয় এবং জল স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। এই পদ্ধতিটি জল পরিশোধনেও ব্যবহার করা হয়।
-
জারণ-বিজারণ (Oxidation-Reduction): কিছু রঞ্জক পদার্থ তাদের রাসায়নিক গঠন পরিবর্তন করে বর্ণহীন হয়ে যেতে পারে। যেমন, শক্তিশালী জারক (oxidizing agent) বা বিজারক (reducing agent) ব্যবহার করলে রঙের অণুর রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে যায় এবং তার রঙ নষ্ট হয়ে যায়। হাইড্রোজেন পারক্সাইড (hydrogen peroxide) একটি সাধারণ জারক, যা কিছু ক্ষেত্রে রঙের অণুকে ভেঙে দিয়ে জলকে স্বচ্ছ করতে পারে।
কেন এই পরীক্ষাটি গুরুত্বপূর্ণ?
এই সহজ পরীক্ষাটি আমাদের অনেক কিছু শেখায়:
- কৌতূহল এবং অনুসন্ধিৎসা: এটি শিশুদের এবং বড়দেরও সমানভাবে বিজ্ঞান সম্পর্কে কৌতূহলী করে তোলে। কেন এমন হচ্ছে, তার পেছনের কারণ কী, তা জানার আগ্রহ তৈরি হয়।
- বিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা: অধঃক্ষেপণ, শোষণ, জারণ-বিজারণ – এই মৌলিক রাসায়নিক ধারণাগুলি খুব সহজে হাতে-কলমে শেখা যায়।
- পরিবেশ সচেতনতা: জল পরিশোধনের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়, যা আমাদের পরিবেশ সম্পর্কে আরও সচেতন করে তোলে। আমরা শিখি কিভাবে দূষিত জলকে পরিশোধন করা যায়।
- ধৈর্য এবং পর্যবেক্ষণ: পরীক্ষা করার সময় আমাদের ধৈর্য ধরে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। কোন ধাপে কী পরিবর্তন হচ্ছে, তা লক্ষ্য করা বিজ্ঞান শেখার একটি অপরিহার্য অংশ।
‘国立大学55工学系学部’-এর এই প্রয়াস প্রশংসার যোগ্য। তারা জটিল বৈজ্ঞানিক বিষয়কে একটি সহজ এবং মজাদার পরীক্ষার মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরেছে। এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে এবং তাদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসার জন্ম দেবে। তাই, পরের বার যখন আপনি কোনো রঙিন জলের বোতল দেখবেন, তখন মনে রাখবেন – সেখানে লুকিয়ে আছে এক সহজ বৈজ্ঞানিক রহস্য, যা আপনি চাইলে নিজেই উন্মোচন করতে পারেন!
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
‘色のついた水を透明にしてみよう!’ 国立大学55工学系学部 দ্বারা 2025-09-05 00:00 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।