
জীবাণু যুদ্ধের নতুন অস্ত্র: সাধারণ জীবাণুনাশক যখন সুপারহিরো!
শিশুদের জন্য এক দারুণ খবর! তোমরা কি জানো, আমরা প্রতিদিন যে জীবাণুনাশক (disinfectant) ব্যবহার করি, যেমন সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সেগুলো আসলে আমাদের শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা এক বিশেষ শত্রুর বিরুদ্ধেও লড়তে পারে? এই শত্রুটির নাম হলো ‘অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া’ (antibiotic-resistant bacteria)। একটু বড় হয়ে গেলে তোমরা এর সাথে পরিচিত হবে, কিন্তু এখনকার জন্য ভাবো যে এরা হলো সুপার ভিলেন, যাদের সাধারণ ওষুধ কাজ করে না!
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের (University of Washington) কিছু বুদ্ধিমান বিজ্ঞানী এই সুপার ভিলেনদের নিয়ে এক দারুণ গবেষণা করেছেন। তাদের এই আবিষ্কারটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভবিষ্যতে আমাদের হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে আরও অনেক বেশি নিরাপদ করে তুলবে।
কীভাবে কাজ করে এই জীবাণুনাশক?
তোমরা হয়তো জানো, ব্যাকটেরিয়া হলো খুব ছোট ছোট জীব, যারা অনেক সময় আমাদের অসুস্থ করে দেয়। যখন আমরা অ্যান্টিবায়োটিক (antibiotic) খাই, তখন সেগুলো এই ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে সাহায্য করে। কিন্তু কিছু ব্যাকটেরিয়া সময়ের সাথে সাথে খুব চালাক হয়ে যায়। তারা এমন কিছু পরিবর্তন করে ফেলে যাতে অ্যান্টিবায়োটিক আর তাদের ক্ষতি করতে পারে না। এটাই হলো “অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ” (antibiotic resistance)।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, সাধারণ জীবাণুনাশক, যা আমরা হাত ধোওয়া বা জিনিসপত্র পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করি, সেগুলো এই অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার ভেতরের কিছু বিশেষ জিনিসকে নষ্ট করে দিতে পারে। এই বিশেষ জিনিসগুলো হলো ‘জিন’ (genes)।
জিন কী?
আচ্ছা, তোমরা কি জানো যে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কীভাবে কাজ করবে, আমাদের চুল কোন রঙের হবে, আমাদের চোখ কেমন হবে – এই সব কিছু আগে থেকেই ঠিক করা থাকে? এই সব তথ্য লুকিয়ে থাকে আমাদের শরীরের ভেতরে থাকা ‘ডিএনএ’ (DNA) নামের এক লম্বা চেইনে, আর ডিএনএর ছোট ছোট অংশগুলোকে বলা হয় ‘জিন’। ঠিক যেমন একটা বইয়ের মধ্যে অনেকগুলো অধ্যায় থাকে, সেরকম।
এবার ভাবো, যে ব্যাকটেরিয়াগুলো অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিরোধ করতে শিখেছে, তাদের ডিএনএ-তে এমন কিছু বিশেষ ‘জিন’ আছে যা তাদের এই ক্ষমতা দেয়। বিজ্ঞানীরা যখন সাধারণ জীবাণুনাশক ব্যবহার করেন, তখন সেটা ওই বিশেষ ‘জিন’-গুলোকে ভেঙে দেয় বা নষ্ট করে দেয়। ফলে, ব্যাকটেরিয়া আর অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিরোধ করতে পারে না!
এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এটা ভাবো যে, যদি অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করে, তাহলে আমাদের অসুখ হলে ডাক্তাররা আমাদের কীভাবে সারিয়ে তুলবেন? এই অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াগুলো হাসপাতালে থাকা মানুষের জন্য খুবই বিপদজনক হতে পারে, কারণ তাদের রোগ সহজে সারে না।
এই নতুন গবেষণাটি আমাদের শেখালো যে, আমরা প্রতিদিন যে সাধারণ জিনিসগুলো ব্যবহার করি, সেগুলোও এই শক্তিশালী শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। এর মানে হলো, আমরা যদি সঠিকভাবে জীবাণুনাশক ব্যবহার করি, তাহলে আমরা হাসপাতালে এই সুপার ভিলেন ব্যাকটেরিয়াদের সংখ্যা অনেক কমাতে পারবো।
তোমার কী করা উচিত?
তোমরা যারা এই গল্পটি পড়ছো, তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ হলো:
- ভালো করে হাত ধোয়া: যখনই বাইরে থেকে আসবে, বিশেষ করে কিছু খাবার খাওয়ার আগে, সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধোবে। এটা শুধু তোমার শরীরকেই ভালো রাখবে না, বরং এই শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সাহায্য করবে।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা: তোমার খেলার জিনিস, পড়ার টেবিল, সব কিছু পরিষ্কার রাখো।
- এগিয়ে যাও, বিজ্ঞানী হও! তোমরাও বড় হয়ে এমন অনেক দারুণ আবিষ্কার করতে পারো। বিজ্ঞান শেখা খুব মজার, আর পৃথিবীটাকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য অনেক সুযোগও আছে!
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের এই বিজ্ঞানীরা আমাদের দেখিয়েছেন যে, কখনো কখনো সাধারণ জিনিসের মধ্যেও অসাধারণ শক্তি লুকিয়ে থাকে। আমাদের ছোট ছোট অভ্যাসগুলোও যে বড় বড় সমস্যায় সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে, এটা তারই প্রমাণ। চলো, আমরা সবাই মিলে এই জীবাণু যুদ্ধের লড়াইয়ে আমাদের ক্ষুদ্র কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি!
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-11 16:15 এ, University of Washington ‘UW researchers test common disinfectants’ abilities to fight antibiotic resistance at the genetic level’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।