
ভাবনা পড়ার যন্ত্র: কথা বলতে না পারা মানুষের জন্য এক নতুন আশা!
কল্পনা করো তো, যদি তোমার মনের কথা কেউ পড়তে পারত, বিশেষ করে যদি তুমি কথা বলতে না পারো? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা ঠিক এটাই সম্ভব করে তুলেছেন! তারা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন যা কথা বলতে অক্ষম মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরের কথাগুলোকে “পড়তে” পারে। এটি আমাদের বিজ্ঞানের জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
এই যন্ত্রটি আসলে কী করে?
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এটি আমাদের মস্তিষ্কের সেই অংশকে শনাক্ত করে যা কথা বলার সময় সক্রিয় থাকে। যখন আমরা কিছু বলার কথা ভাবি, তখন আমাদের মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশ কাজ করে। বিজ্ঞানীরা এই কাজের ধরণকে “পড়তে” পারেন।
ভাবো তো, তুমি মনে মনে একটি বাক্য বলছো, যেমন – “আমি এখন এক গ্লাস জল খাবো।” এই চিন্তা যখন তোমার মস্তিষ্কে আসছে, তখন সেই অংশের কিছু নির্দিষ্ট সংকেত তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা সেই সংকেতগুলোকে ধরতে পারেন এবং একটি বিশেষ কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেগুলোকে আবার শব্দে পরিণত করতে পারেন। অর্থাৎ, তোমার মনের কথাগুলো যন্ত্রের মাধ্যমে বাইরে শোনা যাচ্ছে!
কারা এই যন্ত্র থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে?
এই যন্ত্রটি তাদের জন্য একটি আশীর্বাদ যারা কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা রোগের কারণে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। যেমন, যারা স্ট্রোক করেছেন, অথবা যারা মেরুদণ্ডের আঘাতের কারণে (paralysis) আক্রান্ত, তাদের জন্য এটি একটি নতুন জীবনের মতো। তারা হয়তো কথা বলতে পারছেন না, কিন্তু তারা তাদের মনের ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে পারবেন।
ধরো, এমন একজন মানুষ আছেন যিনি বিছানায় শুয়ে আছেন এবং কারো সাথে কথা বলতে চান। তিনি হয়তো নিজের হাত-পা নাড়াতে পারছেন না। কিন্তু এই নতুন যন্ত্রের সাহায্যে তিনি মনে মনে বলতে পারেন, “আমার খিদে পেয়েছে” বা “আমার কষ্ট হচ্ছে”। তার এই মনের কথাগুলো যন্ত্রের মাধ্যমে তার আত্মীয় বা সেবাকারীর কাছে পৌঁছে যাবে। এতে তাদের যত্ন নেওয়া অনেক সহজ হবে এবং সেই মানুষটিও একা বোধ করবেন না।
বিজ্ঞানীরা কিভাবে এই কাজটি করলেন?
বিজ্ঞানীরা এই কাজটি করতে অনেক গবেষণা করেছেন। তারা কিছু বিশেষ “ইলেক্ট্রন” বা সেন্সর ব্যবহার করেছেন যা মস্তিষ্কের খুব কাছাকাছি স্থাপন করা হয়। যখন মস্তিষ্কের ভেতরের কোষগুলো (neurons) সংকেত পাঠায়, তখন এই সেন্সরগুলো সেই সংকেতগুলোকে ধরতে পারে।
এরপর, এই ধরা পড়া সংকেতগুলো একটি বিশেষ কম্পিউটারের কাছে যায়। কম্পিউটারটি একটি “ভাষা শেখা” (machine learning) পদ্ধতির মাধ্যমে এই সংকেতগুলোর অর্থ বুঝতে শেখে। অনেকটা যেমন আমরা ছোটবেলায় শব্দ শুনে কথা বলতে শিখি, তেমনই কম্পিউটারও এই সংকেতগুলোকে “কথা” বলতে শেখে।
এই আবিষ্কার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই আবিষ্কার শুধু কথা বলতে না পারা মানুষের জন্যই নয়, পুরো মানবজাতির জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- যোগাযোগের নতুন পথ: যারা কথা বলতে পারে না, তাদের যোগাযোগের একটি নতুন এবং শক্তিশালী মাধ্যম করে দেবে।
- স্বাধীন জীবন: এই যন্ত্রের সাহায্যে তারা আরও স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রয়োজন এবং অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে।
- চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি: এটি মানুষের মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাদের আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
- ভবিষ্যতের সম্ভাবনা: ভবিষ্যতে হয়তো এমন আরও উন্নত যন্ত্র তৈরি হবে যা আরও ভালোভাবে আমাদের মনের কথা বুঝতে পারবে, যা হয়তো রোবটদের নিয়ন্ত্রণ করা বা ভার্চুয়াল জগতে (virtual reality) আরও সহজে বিচরণ করার কাজেও লাগতে পারে।
শিশুরা কেন এই বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী হবে?
এই ধরণের গবেষণা দেখলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভাববে, “বাহ! বিজ্ঞান কত মজার! আমি কি এমন কিছু তৈরি করতে পারি?”
- রহস্য সমাধান: মস্তিষ্ক একটি বিশাল রহস্য। বিজ্ঞানীরা সেই রহস্যের সমাধান করছেন।
- মানুষকে সাহায্য করা: এই বিজ্ঞান মানুষের দুঃখ দূর করতে এবং তাদের জীবনকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
- নতুন কিছু তৈরি করা: এটা শেখায় যে, যদি আমরা চেষ্টা করি, আমরা নতুন এবং অবাক করা জিনিস তৈরি করতে পারি।
- কল্পনা বাস্তব: যা আমরা শুধু গল্পে বা সিনেমায় দেখি, তা বিজ্ঞানীরা সত্যি করে দেখাচ্ছেন।
সুতরাং, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই আবিষ্কার আমাদের মনে আশা জাগায়। এটি বিজ্ঞান কিভাবে আমাদের চারপাশের জগৎকে এবং বিশেষ করে মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে, তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। কে জানে, হয়তো এই তরুণ বিজ্ঞানীরাই একদিন এমন আরও বড় আবিষ্কার করে বসবেন!
Scientists develop interface that ‘reads’ thoughts from speech-impaired patients
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-14 00:00 এ, Stanford University ‘Scientists develop interface that ‘reads’ thoughts from speech-impaired patients’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।