চুম্বকীয় মাছের জাদু: জলের নিচে লেগে থাকার নতুন উপায়!,Massachusetts Institute of Technology


চুম্বকীয় মাছের জাদু: জলের নিচে লেগে থাকার নতুন উপায়!

বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, সমুদ্রে বা নদীতে এমন কিছু মাছ আছে যারা অন্য বড় মাছের গায়ে লেগে থাকে? এদের বলা হয় “চুষক-মাছ” বা “সাকারফিশ”। এরা এমনভাবে লেগে থাকে যে, সমুদ্রের ঢেউয়েও তারা পড়ে যায় না! ভাবছো এটা কিভাবে সম্ভব?

Massachusetts Institute of Technology (MIT)-এর বিজ্ঞানীরা এই চুম্বকীয় মাছের জাদু দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এক নতুন এবং দারুণ জিনিস আবিষ্কার করেছেন। এটা এতটাই কাজের যে, আমরা ভবিষ্যতে অনেক কিছুতে এটা ব্যবহার করতে পারবো!

চুষক-মাছ কিভাবে লেগে থাকে?

চুষক-মাছদের মাথার উপর একটা বিশেষ জায়গা আছে, যেটা অনেকটা একটা বড় চুষকের মতো। যখন তারা অন্য কোনো বড় মাছের গায়ে বা পাথরের গায়ে লেগে থাকতে চায়, তখন তারা সেই চুষকটা ব্যবহার করে। এই চুষকটা অনেকটা মগ-এর মতো কাজ করে, যা বাতাস বের করে দিয়ে খুব শক্তভাবে আটকে যায়।

বিজ্ঞানীরা কী বানালেন?

MIT-এর বিজ্ঞানীরা চুষক-মাছের এই উপায়টা দেখে তাদের মাথায় একটা দারুণ বুদ্ধি এল। তারা এমন একটা জিনিস বানানোর চেষ্টা করলেন যা জলের নিচে, নরম জিনিসের উপরও খুব ভালোভাবে আটকে থাকতে পারে। যেমন ধরো, আমাদের চামড়া, বা অন্য কোনো নরম প্লাস্টিক বা কাপড়।

তারা এমন একটা আঠালো জিনিস বানিয়েছেন যা দেখতে অনেকটা চুষকের মতো। কিন্তু এটা কোনো আঠা নয়! এটা আসলে ছোট ছোট “চুষকের” সমষ্টি। ভাবো তো, অনেকগুলো ছোট ছোট চুষক একসাথে মিলে কী দারুণ কাজ করতে পারে!

এই নতুন আঠার জাদু কী?

এই নতুন আঠাটা জলের নিচেও খুব ভালোভাবে কাজ করে। নরম জিনিসের উপরও এটা খুব সহজে লেগে যায়। যখন আমরা এটা কোনো জিনিসের উপর রাখি, তখন এর মধ্যে থাকা ছোট ছোট চুষকগুলো সেই জিনিসটার সাথে লেগে যায়। আর একবার লেগে গেলে, সহজে ছাড়ে না!

এটা দিয়ে কী করা যেতে পারে?

ভাবো তো, এই নতুন আঠাটা ব্যবহার করে আমরা কী কী করতে পারি:

  • ডাক্তাররা: ধরো, কাউকে অপারেশন করতে হবে। কিন্তু তার চামড়া খুব নরম। তখন এই আঠা দিয়ে তারা ভেতরের জিনিসগুলো ধরে রাখতে পারবেন, যাতে কোনো সমস্যা না হয়। আবার, কোনো ঔষধ যদি চামড়ার উপর লাগাতে হয়, কিন্তু সেটা ধুয়ে যেতে চায় না, তাহলেও এটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • রোবট: সমুদ্রে অনেক কাজ করার জন্য রোবট লাগে। এই রোবটগুলো যখন পানির নিচে থাকা কোনো নরম জিনিসের সাথে আটকে থাকবে, তখন তারা অনেক সহজে কাজ করতে পারবে।
  • পোশাক: ধরো, তুমি সাঁতার কাটছো আর তোমার পোশাক যদি পানির নিচেও তোমার শরীরের সাথে লেগে থাকে, তাহলে কেমন হয়? এই আঠা দিয়ে এমন পোশাকও বানানো যেতে পারে!
  • ছোট ছোট যন্ত্র: আমরা যে ছোট ছোট যন্ত্র ব্যবহার করি, সেগুলোও যদি পানির নিচে বা নরম জায়গায় আটকে থাকতে পারে, তাহলে অনেক সুবিধা হবে।

কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?

বিজ্ঞানীরা সবসময় প্রকৃতির কাছ থেকে নতুন কিছু শেখেন। চুষক-মাছেরা কিভাবে টিকে থাকে, কিভাবে চলাচল করে – এইসব দেখে আমরা নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে পারি। এই নতুন আঠাটা তৈরি হওয়ার ফলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে, ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

বিজ্ঞানের মজা!

দেখলে তো বন্ধুরা, বিজ্ঞানের জগতে কত নতুন এবং মজার জিনিস আছে! ছোট্ট একটা মাছের কাছ থেকে শিখে বিজ্ঞানীরা কত বড় একটা আবিষ্কার করে ফেললেন! তোমরাও যদি এই রকম জিনিসগুলো নিয়ে ভাবো, প্রশ্ন করো, তাহলে তোমারাও একদিন অনেক বড় বিজ্ঞানী হতে পারবে। বিজ্ঞানের পথটা খুব মজার, এসো আমরা সবাই মিলে এই পথে এগিয়ে যাই!


Adhesive inspired by hitchhiking sucker fish sticks to soft surfaces underwater


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-23 15:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Adhesive inspired by hitchhiking sucker fish sticks to soft surfaces underwater’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন