
নোনা জলের অবাক কাণ্ড: বিজ্ঞানীরা দেখলো লবণের হেঁটে চলা!
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, আমাদের রান্নাঘরে থাকা সাধারণ লবণ, অর্থাৎ নুন, আসলে একা একা হেঁটে বেড়াতে পারে! ভাবছো কি করে? মাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (MIT) বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন এক অবাক করা জিনিস দেখতে পেয়েছেন, যা লবণের সাধারণ ধারণাই বদলে দিতে পারে। তারা খুব ছোট্ট, একটা দানার চেয়েও ছোট লবণের স্ফটিককে “হেঁটে” চলতে দেখেছেন!
লবণ আসলে কি?
আমরা যখন নুন খাই, তখন সেটা আসলে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) নামের এক রাসায়নিক পদার্থের ছোট ছোট দানা। এই দানাগুলো আসলে আরও ছোট ছোট অণুর তৈরি, যারা একে অপরের সাথে খুব শক্তভাবে লেগে থাকে। আমরা এদের বলি স্ফটিক (crystal)।
এই “হেঁটে চলা” আসলে কি?
বিজ্ঞানীরা যখন খুব মনোযোগ দিয়ে, বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ছোট ছোট লবণের স্ফটিকগুলোকে দেখছিলেন, তখন তারা দেখতে পান যে স্ফটিকগুলো যেন ধীরে ধীরে একটু একটু করে সরে যাচ্ছে। যেন তারা একা একা হেঁটে চলেছে! এই ঘটনাকে তারা বলছেন “সল্ট ক্রিপ” (Salt Creep), অর্থাৎ লবণের হেঁটে চলা।
কিভাবে এটা হচ্ছে?
তোমরা হয়তো ভাবছো, লবণ তো কোনো পা নয়, তাহলে হাঁটবে কি করে? এর কারণটা খুব মজার। যখন লবণের স্ফটিকের আশেপাশে জলীয় বাষ্প বা আর্দ্রতা থাকে, তখন কিছু জলীয় কণা লবণের গায়ে লেগে যায়। এই জলের কণাগুলো লবণের ভেতরের অণুগুলোকে একটু আলগা করে দেয়। মনে করো, তোমরা যখন নরম মাটি দিয়ে কিছু বানাও, তখন মাটিটা যেমন নরম হয়ে যায়, তেমনই জল লাগলে লবণের ভেতরের অণুগুলোও একটু নড়াচড়া করার সুযোগ পায়।
এইভাবে, লবণের গায়ে জলীয় কণা লাগা এবং সরে যাওয়া – এই প্রক্রিয়াটা একটু একটু করে চলতে থাকে। যখন লবণের একটা অংশ থেকে জলীয় কণা সরে যায়, তখন অন্য একটা অংশ থেকে আবার জলীয় কণা লাগে। ঠিক যেমন আমরা এক পা ফেলে অন্য পা এগিয়ে দিই, তেমনই লবণের স্ফটিকও একদিক থেকে একটু আলগা হয়ে অন্য দিকে সরে যায়। এইভাবে, খুব ধীরে ধীরে, অনেক সময় ধরে, স্ফটিকটা যেন নিজের জায়গায় একটু একটু করে হেঁটে চলে।
এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এটা শুনতে হয়তো খুব সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু এই আবিষ্কারটি বিজ্ঞানীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
-
পুরনো জিনিস কেন ভালো থাকে: তোমরা কি জানো, অনেক পুরোনো বাড়িঘর বা স্থাপত্য (architecture) বছরের পর বছর ধরে কেন টিকে থাকে? এর কারণ হতে পারে, অনেক সময় কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে এরকম ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়, যা তাদের টিকে থাকতে সাহায্য করে। এই “সল্ট ক্রিপ” হয়তো তেমন এক কারণ হতে পারে, যা পুরোনো জিনিসগুলোকে সময়ের সাথে সাথে নিজেদের গুছিয়ে নিতে সাহায্য করে।
-
নতুন জিনিস বানাতে সাহায্য করবে: বিজ্ঞানীরা এখন এটা নিয়ে গবেষণা করছেন যে, এই “সল্ট ক্রিপ” ব্যবহার করে তারা নতুন ধরণের জিনিস বানাতে পারবেন কিনা। হতে পারে, এমন কিছু জিনিস তৈরি করা যাবে যা খুব ধীরে ধীরে নিজেদের আকার বদলাতে পারে বা ভেঙে যাওয়া অংশগুলোকে জোড়া লাগাতে পারে।
-
আমাদের চারপাশের জিনিস বুঝতে সাহায্য করবে: আমাদের চারপাশের অনেক বস্তুই কিন্তু নীরবে নিজেদের মধ্যে নানা রকম পরিবর্তন ঘটায়। এই আবিষ্কার আমাদের সেইসব পরিবর্তনগুলোকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
ছোট্ট বিজ্ঞানীদের জন্য:
তোমরাও কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই এই ধরণের ছোটখাটো পরীক্ষা করতে পারো। বাড়িতে নুন রেখে দাও, আর দেখবে ভেজা হাতে ধরলে নুন কেমন গলে যায়। কিংবা, একটা নুনের দানা নিয়ে সাবধানে জল দিয়ে ধুয়ে দেখো। নিজেরা চেষ্টা করলে, তোমরাও নতুন কিছু আবিষ্কার করে ফেলতে পারো!
বিজ্ঞান মানে শুধু বই পড়া নয়, বিজ্ঞান মানে চারপাশের সব জিনিসকে অবাক হয়ে দেখা এবং প্রশ্ন করা। এই লবণের হেঁটে চলা যেমন এক অবাক করা ঘটনা, তেমনই আমাদের চারপাশের কত কিছুই না লুকিয়ে আছে, যা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা সবসময় চেষ্টা করে চলেছেন। তোমরাও এই ধরণের মজার সব জিনিস আবিষ্কার করার স্বপ্ন দেখো!
Creeping crystals: Scientists observe “salt creep” at the single-crystal scale
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-30 19:45 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Creeping crystals: Scientists observe “salt creep” at the single-crystal scale’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।