তথ্যকে কীভাবে বস্তুতে পরিণত করা যায়? হার্ভার্ডের নতুন আবিষ্কার!,Harvard University


তথ্যকে কীভাবে বস্তুতে পরিণত করা যায়? হার্ভার্ডের নতুন আবিষ্কার!

বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, আমাদের চারপাশের সব জিনিস—যেমন টেবিল, চেয়ার, খেলনা, এমনকি আমরা নিজেরাও—ছোট ছোট কণা দিয়ে তৈরি? এগুলোকে আমরা ‘অ্যাটম’ বলি। আর এই অ্যাটমগুলো আমাদের চারপাশের সব তথ্য বা ‘ইনফরমেশন’ ধারণ করে।

ভাবছো, তথ্য আবার কী?

আমরা যখন কোনো কিছু দেখি, শুনি বা স্পর্শ করি, তখন আমাদের ব্রেন সেই অভিজ্ঞতাগুলো মনে রাখে। যেমন, তুমি যখন তোমার প্রিয় খেলনার রঙ দেখো, তার আকার কেমন, বা সেটা ধরতে কেমন লাগে—এই সব কিছুই আসলে তথ্য। এই তথ্যগুলো আমাদের ব্রেনের ভেতর এক ধরণের কোড বা সাংকেতিক ভাষায় জমা থাকে।

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা কী করেছেন?

সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা একটি দারুণ কাজ করেছেন। তারা এমন একটি উপায় খুঁজে বের করেছেন, যার মাধ্যমে এই ‘তথ্য’-কে আমরা চোখে দেখতে পারি বা হাতে ছুঁয়ে অনুভব করতে পারি—অর্থাৎ, তথ্যকে আমরা ‘বস্তু’ বা ‘ফিজিক্যাল’ জিনিস হিসেবে তৈরি করতে পারি!

এটা কীভাবে সম্ভব?

ধরো, তোমার একটি ছবি আছে। ছবিটা আসলে অনেকগুলো ছোট ছোট বিন্দুর সমষ্টি, যেখানে প্রতিটি বিন্দু একটি নির্দিষ্ট রঙ নির্দেশ করে। বিজ্ঞানীরা এই তথ্যগুলোকে ব্যবহার করে অ্যাটমগুলোকে এমনভাবে সাজাতে পারেন, যাতে তারা ওই ছবির বিন্দুগুলোর মতোই আচরণ করে।

আরও সহজ করে বললে, তারা বিশেষ কিছু যন্ত্র ব্যবহার করে অ্যাটমগুলোকে নাচাতে বা একটি নির্দিষ্ট নকশায় সাজাতে পারেন। এই অ্যাটমগুলো যখন একসাথে কোনো নকশা তৈরি করে, তখন আমরা সেটিকে দেখতে পাই বা অনুভব করতে পারি। এটা অনেকটা পাজল মেলানোর মতো, যেখানে প্রতিটি টুকরা (অ্যাটম) একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে বসে পুরো ছবিটি তৈরি করে।

এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

এই আবিষ্কারটি বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। যেমন:

  • নতুন ওষুধ তৈরি: বিজ্ঞানীরা শরীরের ভেতরের অণু-পরমাণুগুলো (যেগুলো তথ্য বহন করে) বুঝতে পারেন এবং সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে নতুন ও উন্নত ওষুধ তৈরি করতে পারেন।
  • কম্পিউটার উন্নত করা: ভবিষ্যতে হয়তো আমরা এমন কম্পিউটার বানাতে পারব, যা আজকের কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, কারণ তারা তথ্যের সাথে সরাসরি অ্যাটম দিয়ে কাজ করতে পারবে।
  • নতুন উপকরণ তৈরি: আমরা এমন নতুন জিনিস বানাতে পারব, যা আগে কখনো ছিল না। যেমন, খুব হালকা কিন্তু খুব শক্তিশালী প্লাস্টিক, বা খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী কোনো জিনিস।
  • জ্ঞানকে দৃশ্যমান করা: অনেক সময় জটিল বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলো বুঝতে আমাদের কষ্ট হয়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে সেই ধারণাগুলোকে বস্তুর আকারে তৈরি করে দেখা গেলে, সেগুলো বোঝা অনেক সহজ হবে।

বিজ্ঞানের মজার দিক!

এই আবিষ্কারটি আমাদের এটাই শেখায় যে, বিজ্ঞান শুধু বইয়ের পাতায় বা ল্যাবরেটরিতে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের চারপাশের জগৎকে নতুনভাবে দেখতে এবং বুঝতে সাহায্য করে। তোমার মনেও নিশ্চয়ই নতুন নতুন প্রশ্ন আসছে? যেমন, “আমি কি আমার প্রিয় কার্টুন চরিত্রকে অ্যাটম দিয়ে বানাতে পারব?” বা “আমার ছবিটিকে কি আমি একটি বস্তুতে পরিণত করতে পারব?”

এগুলো সবই ভালো প্রশ্ন! বিজ্ঞানের জগতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মধ্যেই রয়েছে আসল আনন্দ। তাই, তোমরাও যদি বিজ্ঞান নিয়ে এমন মজার মজার প্রশ্ন করো এবং উত্তর খুঁজতে শুরু করো, তাহলে হয়তো তোমরাও একদিন বড় হয়ে এমন কোনো অভাবনীয় আবিষ্কার করে ফেলবে!

বিজ্ঞান আসলেই এক জাদুর মতো। আর এই জাদুর দুনিয়ায় তোমাদের স্বাগতম!


‘Turning information into something physical’


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-11 18:10 এ, Harvard University ‘‘Turning information into something physical’’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন