রঙিন বইয়ের দিনে বিজ্ঞান শিখি!,University of Texas at Austin


রঙিন বইয়ের দিনে বিজ্ঞান শিখি!

আজ, ১লা আগস্ট, ২০২৫, সারা বিশ্বে ‘ন্যাশনাল কালারিং বুক ডে’ পালিত হচ্ছে। আর এই বিশেষ দিনে, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, অস্টিন (University of Texas at Austin) তাদের ‘ফোর্টি একরস’ (Forty Acres) প্রাঙ্গণে এক দারুণ আয়োজন করেছে, যার নাম ‘ন্যাশনাল কালারিং বুক ডে – দ্য ফোর্টি একরস ওয়ে’। এই আয়োজনটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ছোটদের এবং শিক্ষার্থীদের জন্য, যাতে তারা খেলার ছলে বিজ্ঞান শিখতে পারে এবং বিজ্ঞানের প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়ে যায়।

রঙিন বইয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞান যাত্রা!

ভাবুন তো, আপনার হাতে রয়েছে একটি রঙিন বই, আর সেই বইয়ের পাতায় পাতায় লুকিয়ে আছে বিজ্ঞানের নানা রহস্য! টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজন ঠিক তাই। তারা শুধু রঙিন বই দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, বরং এই রঙিন বইগুলোতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন মজার বিষয় তুলে ধরেছে। যেমন:

  • রঙের জাদু: আমরা যে রং দেখি, সেগুলো কিভাবে তৈরি হয়? আলোর সাথে রঙের কী সম্পর্ক? এই বিষয়গুলো আপনি রঙিন বইয়ের ছবির মাধ্যমে সহজেই বুঝতে পারবেন। একটি গাছের পাতা সবুজ দেখায় কেন, অথবা আকাশে রামধনু কেন দেখা যায় – এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে রং দিয়ে ছবি আঁকার সময়।

  • জীবনের রহস্য: আমাদের শরীর কিভাবে কাজ করে? আমাদের চারপাশে যে পশুপাখি, গাছপালা আছে, তারা কিভাবে বড় হয়? রঙিন বইয়ে হয়তো থাকবে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি, যা রং করার মাধ্যমে আপনি চিনতে পারবেন। অথবা বিভিন্ন প্রাণীর ছবি, যাদের জীবনচক্র (জন্ম থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত) আপনি রং করে বুঝতে পারবেন।

  • মহাকাশের বিস্ময়: চাঁদ, তারা, গ্রহ – এগুলো দেখতে কেমন? মহাকাশে কি আর কেউ আছে? রঙিন বইয়ে মহাকাশের ছবি থাকলে, রং করার সময় আপনি বিভিন্ন গ্রহের নাম, তাদের আকৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। হয়তো তারাগুলো বিভিন্ন নক্ষত্রমন্ডল তৈরি করে, যা আপনি রং দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

  • পদার্থের খেলা: জল কিভাবে বরফ হয়, অথবা বাষ্প হয়? আগুন কি? পদার্থবিদ্যার এই সাধারণ বিষয়গুলোও ছবির মাধ্যমে রঙিন বইয়ে তুলে ধরা হতে পারে। হয়তো আপনি একটি আগ্নেয়গিরির ছবি রং করবেন, আর সেই রং করার সময়ই জেনে যাবেন লাভা কিভাবে তৈরি হয়।

কেন এই আয়োজন?

বিজ্ঞান কিন্তু ভয়ের কিছু নয়, বরং খুবই মজার! অনেক সময় আমরা মনে করি বিজ্ঞান অনেক কঠিন, অনেক মুখস্থ করতে হয়। কিন্তু এই রঙিন বইয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ছোটদের বোঝাতে চান যে, বিজ্ঞান আসলে আমাদের চারপাশের সবকিছুতেই রয়েছে। আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু অনুভব করি, তার সবকিছুর পেছনেই লুকিয়ে আছে বিজ্ঞানের কোন না কোন নিয়ম।

এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হল:

  • শিশুদের কল্পনা শক্তি বাড়ানো: রং করার মাধ্যমে শিশুরা তাদের নিজস্ব জগৎ তৈরি করে। এর সাথে যদি বিজ্ঞান জড়িয়ে যায়, তবে তাদের কল্পনা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
  • কৌতূহল বৃদ্ধি: রঙিন বইয়ের ছবিগুলো দেখে শিশুদের মনে প্রশ্ন আসবে – এটা কেন এমন? ওটা কিভাবে হলো? এই প্রশ্নগুলোই তাদের বিজ্ঞানী হওয়ার প্রথম ধাপ।
  • শেখার আনন্দ: যখন কোনো কিছু খেলার ছলে শেখা যায়, তখন তা সবচেয়ে বেশি মনে থাকে। রঙিন বইয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞান শেখা ঠিক তেমনই আনন্দদায়ক।

আপনি কিভাবে বিজ্ঞানকে ভালোবাসতে পারেন?

শুধু টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজনই নয়, আপনি নিজেও আপনার বাসায় বসে বিজ্ঞান শিখতে পারেন।

  • রঙিন বই ব্যবহার করুন: যেকোনো রঙিন বই নিন, যেখানে গাছপালা, পশুপাখি, মহাকাশ বা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি আছে। রং করার সময় সেই জিনিসগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
  • প্রশ্ন করুন: কোনো কিছু দেখলে বা পড়লে মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। সেই প্রশ্নগুলো বড়দের জিজ্ঞাসা করুন।
  • পরীক্ষা নিরীক্ষা করুন: বাড়িতে ছোট ছোট পরীক্ষা করতে পারেন। যেমন, জল গরম করলে কি হয়, বা কোন জিনিস জলে ভাসে আর কোনটা ডুবে যায়।

আসুন, আমরা সবাই মিলে এই ‘ন্যাশনাল কালারিং বুক ডে’-তে বিজ্ঞানকে নতুন করে আবিষ্কার করি। আর এই রঙিন বইয়ের পাতার মাধ্যমে আমাদের মনের কৌতূহলকে জাগিয়ে তুলি, যাতে আরও অনেক শিশু বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে পারে। বিজ্ঞান সবার জন্য!


Celebrating National Coloring Book Day — the Forty Acres Way


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-01 20:22 এ, University of Texas at Austin ‘Celebrating National Coloring Book Day — the Forty Acres Way’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন