
জাতিসংঘের সংবাদ অনুসারে, ২০২৫ সালের ২৫ মার্চে Culture and Education -এর একটি প্রতিবেদনে ট্রান্সটল্যান্টিক দাস ব্যবসার অপরাধকে ‘অজ্ঞাত, অব্যক্ত এবং অব্যবহৃত’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে একটি নিবন্ধ নিচে দেওয়া হলো:
ট্রান্সটল্যান্টিক দাস ব্যবসা: একটি বিস্মৃত অপরাধ?
ট্রান্সটল্যান্টিক দাস ব্যবসা মানব ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়। লক্ষ লক্ষ আফ্রিকানকে জোর করে তাদের পরিবার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করা হয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা এই অমানবিক ব্যবসা শুধু মানুষের জীবন কেড়ে নেয়নি, এটি আফ্রিকা মহাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।
জাতিসংঘের Culture and Education বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে এই দাস ব্যবসাকে ‘অজ্ঞাত, অব্যক্ত এবং অব্যবহৃত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এর অর্থ হলো, এই অপরাধের ব্যাপকতা এবং এর শিকার হওয়া মানুষের sufrimiento (দুঃখ) আজও বিশ্ববাসীর কাছে সম্পূর্ণরূপে বোধগম্য নয়। এমনকি, এই ব্যবসার ভয়াবহতা এবং এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সম্পর্কে আলোচনাও যথেষ্ট নয়।
কেন এই অপরাধ আজও ‘অজ্ঞাত’? এর কয়েকটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ঐতিহাসিক তথ্যের অভাব: দাস ব্যবসার ইতিহাস অনেক ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি। অনেক তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা হয়েছে অথবা বিকৃত করা হয়েছে। ফলে, এই ব্যবসার প্রকৃত চিত্র আজও অস্পষ্ট।
- শিক্ষার অভাব: বিশ্বের অনেক স্থানে দাস ব্যবসার ইতিহাস স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে, নতুন প্রজন্ম এই অপরাধ সম্পর্কে জানতে পারছে না।
- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: অনেক দেশ দাস ব্যবসার ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করে, কারণ এর সাথে তাদের জাতীয়identity (পরিচয়) জড়িত।
এই প্রেক্ষাপটে, Culture and Education -এর প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, দাস ব্যবসাকে ভুলে গেলে চলবে না। এই অপরাধের শিকার হওয়া মানুষদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো উচিত এবং এর থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এই লক্ষ্যে আমাদের যা করা উচিত:
- দাস ব্যবসার ইতিহাস সম্পর্কে আরও বেশি গবেষণা করা এবং সেই তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া।
- স্কুলের পাঠ্যক্রমে দাস ব্যবসার ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা।
- এই অপরাধের শিকার হওয়া মানুষদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা এবং তাদের জীবন ও সংগ্রাম সম্পর্কে মানুষকে জানানো।
- জাতিগত বৈষম্য ও বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার হওয়া এবং একটি ন্যায়পূর্ণ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য কাজ করা।
ট্রান্সটল্যান্টিক দাস ব্যবসা শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, এর প্রভাব আজও আমাদের সমাজে বিদ্যমান। এই অপরাধকে ‘অজ্ঞাত, অব্যক্ত এবং অব্যবহৃত’ রাখা মানে হলো, আমরা নিজেদের ইতিহাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি। আমাদের অবশ্যই এই অন্ধকার দিকটি সম্পর্কে জানতে হবে এবং এর থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে হবে।
ট্রান্সটল্যান্টিক স্লেভ ট্রেডের অপরাধ ‘অজ্ঞাত, অব্যক্ত এবং অব্যবহৃত’
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-03-25 12:00 এ, ‘ট্রান্সটল্যান্টিক স্লেভ ট্রেডের অপরাধ ‘অজ্ঞাত, অব্যক্ত এবং অব্যবহৃত’’ Culture and Education অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন।
19