
পর্যটকদের জন্য আইএসই-শিমা জাতীয় উদ্যানের সংস্কৃতি বিষয়ক আকর্ষণীয় তথ্যাবলী:
জাপানের আইএসই-শিমা জাতীয় উদ্যান তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। মেইজি যুগে (১৮৬৮-১৯১২) প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানটি জাপানের অন্যতম প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় উদ্যান। পর্যটকদের জন্য এখানে কী কী দেখার এবং জানার আছে, তার একটি বিস্তারিত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি:
-
আইএসই গ্র্যান্ড শ্রাইন (Ise Grand Shrine): এই উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ হলো আইএসই গ্র্যান্ড শ্রাইন, যা জাপানের সবচেয়ে পবিত্র শিন্তো মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। মনে করা হয়, প্রায় ২০০০ বছর আগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখানে দুটি প্রধান মন্দির রয়েছে: নাইকু (Naiku), যেখানে সূর্য দেবী আমাতেরাসু ওমিকামির পূজা করা হয় এবং গেকু (Geku), যেখানে খাদ্য ও শিল্পের দেবী টোয়োকিউকে ওমিকামির পূজা করা হয়। প্রতি বিশ বছর পর পর মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করা হয়, যা জাপানি শিল্প ও স্থাপত্যের এক অনন্য উদাহরণ।
-
আমাপা (Ama divers): এখানকার নারী জেলেরা মুক্তা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ সংগ্রহের জন্য ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সমুদ্রের গভীরে ডুব দেন। তাদের এই ঐতিহ্য কয়েক শতাব্দী ধরে চলে আসছে। পর্যটকরা আমাদের জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তাদের ধরা সামুদ্রিক খাবার উপভোগ করতে পারবেন।
-
মিকিমোটো পার্ল আইল্যান্ড (Mikimoto Pearl Island): কোকিচি মিকিমোটো ১৮৯৩ সালে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম মুক্তা উৎপাদন করেন। এই দ্বীপে মুক্তা চাষের ইতিহাস এবং কৌশল সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও, এখানে মুক্তা শিল্পের প্রদর্শনী এবং আমা ডাইভারদের মুক্তা সংগ্রহের কৌশল দেখানো হয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
-
আগো উপসাগর (Ago Bay): সুন্দর উপকূলরেখা, ছোট ছোট দ্বীপ এবং শান্ত জল এটিকে কায়াকিং এবং বোটিংয়ের জন্য আদর্শ করে তুলেছে। এখানকার মুক্তা চাষের কেন্দ্রগুলোও দেখার মতো।
-
দাইওসাকি lighthouse (Daiozaki Lighthouse): এই বাতিঘরটি প্রশান্ত মহাসাগরের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখার জন্য সেরা জায়গা। সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময় এর দৃশ্য খুবই মনোরম হয়।
-
তোবা অ্যাকুরিয়াম (Toba Aquarium): এখানে প্রায় ১২০০ প্রজাতির জলজ প্রাণী রয়েছে। এটি জাপানের বৃহত্তম অ্যাকুরিয়ামগুলির মধ্যে একটি।
খাবার:
আইএসই-শিমার খাদ্য সংস্কৃতিও বেশ সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়, যা স্থানীয়ভাবে বিশেষভাবে রান্না করা হয়। কিছু জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
ইসেLobster (Ise Ebi): স্থানীয় লবস্টার যা গ্রিলড বা সাশিমির সাথে পরিবেশন করা হয়।
-
টেকোনে জুশি (Tekone Zushi): ভিনেগার করা ভাত এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়।
-
আকাশারিแดง (Akafuku): এটি স্থানীয় মিষ্টি যা লাল মটরশুঁটি দিয়ে তৈরি করা হয় এবং যা আইএসই গ্র্যান্ড শ্রাইনের আশেপাশে পাওয়া যায়।
কীভাবে যাবেন:
আইএসই-শিমা জাতীয় উদ্যানটি মেই প্রদেশের শিমার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এখানে পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হলো ট্রেন। আপনি নাগোয়া বা কিয়োটো থেকে সরাসরি ট্রেন পাবেন, যা আপনাকে ইসে-শিমা স্টেশনে পৌঁছে দেবে।
থাকার ব্যবস্থা:
এখানে বিভিন্ন ধরনের হোটেল, রিসোর্ট এবং ঐতিহ্যবাহী জাপানিজ ইন (রিওকান) পাওয়া যায়। আপনার বাজেট এবং পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।
আইএসই-শিমা জাতীয় উদ্যান কেবল একটি ভ্রমণের স্থান নয়, এটি জাপানের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রকৃতির এক অপূর্ব মিশ্রণ। আপনি যদি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি আগ্রহী হন, তাহলে এই উদ্যান আপনার জন্য একটি অসাধারণ গন্তব্য হতে পারে।
আইএসই-শিমা জাতীয় উদ্যানের সংস্কৃতি
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-04-22 02:58 এ, ‘আইএসই-শিমা জাতীয় উদ্যানের সংস্কৃতি’ প্রকাশিত হয়েছে 観光庁多言語解説文データベース অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে।
45