
পর্যটন অধিদপ্তরের বহুভাষিক ব্যাখ্যা ডাটাবেস অনুসারে, কাঠের তৈরি “আইজেন মায়ো-ও মূর্তি, শিন্ডোজি”, “কাঠের ফুডো মায়ো-ও মূর্তি”, “কাঠের অ্যামিদা বুদ্ধের মূর্তি”, এবং “কাঠের নিক্কো ও গাক্কো (চাঁদ) বোধিসত্ত্বের মূর্তি”- এই চারটি মূর্তি ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে H30-00795 আইডির অধীনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই নিবন্ধে এই মূর্তিগুলোর তাৎপর্য এবং পর্যটকদের জন্য এই স্থানগুলির আকর্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরা হলো:
ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্য:
জাপানের সংস্কৃতিতে বৌদ্ধ ধর্ম এবং কাঠের তৈরি শিল্পকলার এক বিশেষ স্থান আছে। এই মূর্তিগুলো শুধু ধর্মীয় অনুষঙ্গই নয়, বরং শিল্পকলার দিক থেকেও অত্যন্ত মূল্যবান। প্রতিটি মূর্তি ভিন্ন ভিন্ন বৌদ্ধ সত্তাকে উপস্থাপন করে এবং তাদের নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে:
-
কাঠের আইজেন মায়ো-ও মূর্তি (Wooden Aizen Myō-ō Statue): আইজেন মায়ো-ও মূর্তি বৌদ্ধ ধর্মে প্রেম, কামনা এবং আধ্যাত্মিক জাগরণের প্রতীক। এই মূর্তি সাধারণত রাগান্বিত রূপে প্রকাশ করা হয়, যা আসলে মানুষের ভেতরের নেতিবাচক আবেগ এবং আসক্তিকে জয় করার প্রতীক। মনে করা হয়, এই মূর্তির পূজা করলে মনের ভেতরের দ্বন্দ্ব দূর হয় এবং জীবনে শান্তি আসে।
-
কাঠের ফুডো মায়ো-ও মূর্তি (Wooden Fudō Myō-ō Statue): ফুডো মায়ো-ও মূর্তি ক্রোধপূর্ণ দৃষ্টি এবং হাতে তলোয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্মে অটল বিশ্বাস এবং সুরক্ষার প্রতীক। ফুডো মায়ো-ও মূর্তি ভক্তদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন এবং তাদের জীবনে আসা বাধা দূর করেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
-
কাঠের অ্যামিদা বুদ্ধের মূর্তি (Wooden Amida Buddha Statue): অ্যামিদা বুদ্ধের মূর্তিটি বৌদ্ধ ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যামিদা বুদ্ধ করুণা ও জ্ঞানের প্রতীক। এই মূর্তি সাধারণত পদ্মাসনে উপবিষ্ট অবস্থায় দেখা যায় এবং এটি ধ্যান ও শান্তির প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্বাস করা হয় যে, অ্যামিদা বুদ্ধের প্রতি ভক্তি রাখলে পুনর্জন্মের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
-
কাঠের নিক্কো ও গাক্কো (চাঁদ) বোধিসত্ত্বের মূর্তি (Wooden Nikkō & Gakkō (Moonlight) Bodhisattva Statue): নিক্কো (সূর্য) এবং গাক্কো (চন্দ্র) বোধিসত্ত্বের মূর্তিগুলো প্রায়শই অ্যামিদা বুদ্ধের পাশে দেখা যায়। এই মূর্তিগুলো আলো এবং প্রজ্ঞার প্রতীক। তারা অজ্ঞতা দূর করে জ্ঞান এবং আলোকিত পথে পরিচালিত করে।
পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ: এই মূর্তিগুলো যে স্থানে স্থাপন করা হয়েছে, সেই স্থানগুলো পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় হতে পারে।
-
ঐতিহাসিক মন্দির ও স্থাপত্য: এই মূর্তিগুলো সাধারণত ঐতিহাসিক মন্দিরগুলোতে স্থাপন করা হয়। এই মন্দিরগুলো জাপানের ঐতিহ্য ও স্থাপত্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
-
সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা: এই স্থানগুলোতে পরিদর্শনের মাধ্যমে জাপানের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং শিল্পকলা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।
-
ধ্যান ও শান্তি: অনেক পর্যটক এই মন্দিরগুলোতে এসে ধ্যান এবং প্রার্থনা করেন, যা তাদের মানসিক শান্তি এনে দেয়।
-
ফটোগ্রাফি: কাঠের তৈরি এই মূর্তিগুলো এবং মন্দিরের স্থাপত্য ফটোগ্রাফির জন্য চমৎকার সুযোগ এনে দেয়।
ভ্রমণের টিপস: এই স্থানগুলো পরিদর্শনের সময় কিছু বিষয় মনে রাখা দরকার:
- পোশাক: মন্দির পরিদর্শনের সময় শালীন পোশাক পরিধান করা উচিত।
- আচরণ: মন্দির এবং মূর্তিগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
- ভাষা: জাপানি ভাষা জানা না থাকলে, কিছু বেসিক জাপানি শব্দ শিখে গেলে সুবিধা হবে।
উপসংহার: কাঠের তৈরি এই মূর্তিগুলো জাপানের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বৌদ্ধ দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পর্যটকদের জন্য এই স্থানগুলো কেবল দর্শনীয় স্থান নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক এবং শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ। যারা জাপান ভ্রমণে আগ্রহী, তাদের জন্য এই মূর্তিগুলো এবং সংশ্লিষ্ট মন্দিরগুলো একটি বিশেষ আকর্ষণ হতে পারে।
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-04-20 00:30 এ, ‘কাঠের আইজেন মায়ো-ও মূর্তি শিন্ডোজি, কাঠের ফুডো মায়ো-ও মূর্তি কাঠের মূর্তিটির কাঠের অ্যামিদা বুদ্ধের মূর্তি, কাঠের নিক্কো চাঁদ বোধিসত্ত্বের মূর্তি কাঠের মূর্তিটির কাঠের মূর্তির কাঠের মূর্তি’ প্রকাশিত হয়েছে 観光庁多言語解説文データベース অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে।
830