শিল্প আর প্রযুক্তি: শিশুদের জন্য এক নতুন জগৎ!,Samsung


শিল্প আর প্রযুক্তি: শিশুদের জন্য এক নতুন জগৎ!

Samsung ও Art Basel-এর হাত ধরে শিশুদের সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন

ভাবো তো, তোমার ঘরের দেওয়ালটা যদি একটা জাদুর স্ক্রিন হত, যেখানে তুমি তোমার আঁকা ছবি, বা তোমার তৈরি করা কোনো গল্প জীবন্ত হয়ে উঠতে পারত! অথবা, তুমি যদি তোমার পছন্দের শিল্পকর্মকে তোমার পকেটে নিয়ে ঘুরতে পারতে, এবং যখন খুশি তা দেখতে পেতে! শুনতে দারুণ লাগছে, তাই না? Samsung আর Art Basel, অর্থাৎ শিল্পকলার এক বিখ্যাত মেলা, মিলে এমনই এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখাচ্ছে আমাদের।

‘Living With Art’ – নামেই জাদু!

Samsung এবং Art Basel একসাথে একটি দারুণ উদ্যোগের নাম দিয়েছে ‘Living With Art: Samsung and Art Basel Spark Global Dialogue on Digital Art and Everyday Creativity’। এই লম্বা নামটা শুনে ভয় পেও না। এর মানে হলো, আমরা সবাই কিভাবে শিল্পের সাথে, বিশেষ করে ডিজিটাল শিল্পের সাথে, প্রতিদিনের জীবনে জড়িয়ে থাকতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা করা।

ডিজিটাল শিল্প কী?

সহজ ভাষায়, ডিজিটাল শিল্প হলো কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তৈরি করা শিল্প। যেমন, তুমি যদি একটি রঙ ব্যবহার না করে, স্ক্রিনে আঙুল চালিয়ে বা একটি বিশেষ পেনসিল দিয়ে ছবি আঁকো, তবে সেটি ডিজিটাল শিল্প। এই শিল্পকর্মগুলো খুব সহজেই সংরক্ষণ করা যায়, শেয়ার করা যায়, এবং সেগুলোকে নতুন রূপ দেওয়া যায়।

Samsung কীভাবে সাহায্য করছে?

Samsung হলো প্রযুক্তির এক বিশাল নাম। ওরা এমন সব জিনিস তৈরি করে যা আমাদের জীবনকে সহজ করে তোলে। যেমন, স্মার্টফোন, টেলিভিশন, ট্যাবলেট। এখন Samsung বলছে, এই সব প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আমরা নতুন ধরনের শিল্প তৈরি করতে পারি এবং সেগুলোকে উপভোগ করতে পারি।

ভাবো তো, তোমার Samsung ফোন বা ট্যাবলেটে তুমি একটি সুন্দর ছবি আঁকলে। সেই ছবিটি হয়তো তোমার Samsung Smart TV-তে দেখা যাবে, বা তোমার বন্ধুরা সেটা তোমার ফোন থেকেই দেখতে পাবে। এভাবেই প্রযুক্তি আমাদের শিল্প তৈরির এবং ভাগ করে নেওয়ার নতুন পথ খুলে দিচ্ছে।

Art Basel – শিল্পের এক বিশাল উৎসব!

Art Basel হলো পৃথিবীর অন্যতম বড় এবং বিখ্যাত শিল্প মেলা। এখানে সারা পৃথিবীর শিল্পীরা তাদের অসাধারণ সব কাজ নিয়ে আসেন। তাদের তৈরি করা ছবি, ভাস্কর্য, এবং নানা ধরনের ইনস্টলেশন দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই। Art Basel-এর সাথে Samsung-এর এই অংশীদারিত্বের মানে হলো, তারা শুধু বিখ্যাত শিল্পীদের নয়, বরং আমাদের মতো ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যেও শিল্পীর বীজ খুঁজে বের করতে চায়।

শিশুদের সৃজনশীলতা কেন জরুরি?

বিজ্ঞান কী? বিজ্ঞান হলো আমাদের চারপাশের জগতকে জানা, বোঝা এবং প্রশ্ন করা। আর শিল্প হলো সেই জগতটাকে নতুন করে দেখা, নিজের মতো করে প্রকাশ করা। যখন তুমি ছবি আঁকো, গান গাও, বা কোনো গল্প লেখো, তখন তুমি তোমার মনের ভেতরকার ভাবনাগুলোকে বাইরে নিয়ে আসো। এটাই সৃজনশীলতা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। আর শিল্প সেই সমাধানগুলোকে আরও সুন্দর, আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যেমন, একটি রোবট তৈরি করা হলো বিজ্ঞান। কিন্তু সেই রোবটটিকে সুন্দর করে ডিজাইন করা, সেটিকে মজার কোনো কাজ শেখানো – এগুলো হলো শিল্পের কাজ।

শিশুদের জন্য নতুন দিগন্ত:

‘Living With Art’ এই উদ্যোগটি শিশুদের জন্য খুব সুন্দর একটা সুযোগ তৈরি করছে। এর মাধ্যমে বাচ্চারা শিখবে:

  • কিভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিল্প তৈরি করতে হয়: তারা হয়তো বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে ছবি আঁকতে শিখবে, অ্যানিমেশন তৈরি করতে শিখবে, অথবা তাদের পছন্দের কার্টুন চরিত্রকে নতুন গল্প বলতে শেখাবে।
  • কিভাবে শিল্পের মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশ করতে হয়: তাদের মনের ভেতরের সব সুন্দর ভাবনা, অনুভূতি, তারা হয়তো রং, শব্দ বা ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবে।
  • কিভাবে শিল্প ও বিজ্ঞান একসাথে কাজ করে: তারা বুঝতে পারবে যে, শুধু বিজ্ঞান নয়, শিল্পও আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুন্দর ডিজাইন করা গাড়ি যেমন দ্রুত চলে, তেমনই একটি সুন্দরভাবে সাজানো ল্যাবরেটরিও অনেক বেশি কাজের।

তোমাদের জন্য একটি প্রশ্ন:

তুমি যদি একটি জাদুর পেনসিল পেতে, যেটা দিয়ে যা আঁকবে সেটাই জীবন্ত হয়ে উঠবে, তবে তুমি কী আঁকবে? একটি উড়ন্ত গাড়ি? একটি কথা বলা পুতুল? নাকি এমন একটি বন্ধু, যে তোমার সব গোপন কথা শুনবে?

Samsung ও Art Basel-এর এই উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রযুক্তি শুধু যন্ত্র নয়, এটা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করারও একটা মাধ্যম। আর শিল্প হলো সেই স্বপ্নগুলোকে আরও রঙিন করে তোলার জাদু। তাই, যারা বিজ্ঞান ভালোবাসো, তারা শিল্পের জগতটাকেও একটু দেখো। দেখবে, দুটোই মিলেমিশে তোমাদের জন্য এক দারুণ ভবিষ্যতের পথ খুলে দিচ্ছে!

এই ‘Living With Art’ উদ্যোগের মাধ্যমে আরও অনেক শিশু তাদের নিজেদের শিল্প প্রতিভাকে খুঁজে পাবে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতাকে আরও উন্নত করতে পারবে। কে জানে, হয়তো আগামী দিনের বিখ্যাত শিল্পী বা বিজ্ঞানী তোমার মধ্যেই লুকিয়ে আছে!


Living With Art: Samsung and Art Basel Spark Global Dialogue on Digital Art and Everyday Creativity


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-20 08:00 এ, Samsung ‘Living With Art: Samsung and Art Basel Spark Global Dialogue on Digital Art and Everyday Creativity’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন