কাগজের মতো দেখতে, কিন্তু আসলে ডিজিটাল! স্যামসাং-এর এক নতুন জাদু!,Samsung


কাগজের মতো দেখতে, কিন্তু আসলে ডিজিটাল! স্যামসাং-এর এক নতুন জাদু!

আজ, অর্থাৎ ২৭ জুন, ২০২৫, স্যামসাং আমাদের জন্য এক দারুণ খবর নিয়ে এসেছে। তারা এমন একটি জিনিস তৈরি করেছে যা দেখতে একদম আসল কাগজের মতো, কিন্তু আসলে তা একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে! এর নাম দেওয়া হয়েছে “স্যামসাং কালার ই-পেপার”। ভাবা যায়?

কী এই স্যামসাং কালার ই-পেপার?

আমরা যখন কোনো বই পড়ি বা খবরের কাগজ দেখি, তখন কাগজ দেখতে কেমন লাগে? সেগুলোর উপর লেখা বা ছবি থাকে, যা আমরা সহজে পড়তে পারি। স্যামসাং-এর এই নতুন ডিসপ্লেটিও ঠিক সেরকম। তবে এটি শুধু সাদা-কালো নয়, বরং ২৫ লক্ষ (২.৫ মিলিয়ন) রঙ দেখাতে পারে! ভাবুন তো, এত রঙ!

এটার জাদুটা কোথায়?

সবচেয়ে বড় জাদু হলো, একবার ছবি বা লেখা দেখানোর পর এটিকে কোনো বিদ্যুৎ খরচ করতে হয় না! মানে, আমরা যেমন একবার ছবি আঁকলে তা দেখতে পাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ লাগে না, এটাও তেমনই। যতক্ষণ না আমরা অন্য কিছু দেখতে চাই, ততক্ষণ এটি আগের ছবিটিই দেখিয়ে যাবে, কিন্তু বিদ্যুৎ লাগবে না। এটা কি দারুণ নয়?

এটা কেন এত বিশেষ?

  • বিদ্যুৎ বাঁচায়: যেহেতু বিদ্যুৎ লাগে না, তাই এটি পরিবেশের জন্যও খুব ভালো। আমরা জানি, বিদ্যুৎ বানাতে অনেক সময় কয়লা পোড়াতে হয়, যা পরিবেশের ক্ষতি করে। এই ডিসপ্লে ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হবে।
  • চোখের জন্য আরামদায়ক: আমরা যখন মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিন দেখি, তখন আমাদের চোখে একটু চাপ পড়ে। কিন্তু এই ই-পেপার দেখতে একদম আসল কাগজের মতো, তাই এটি চোখের জন্য অনেক আরামদায়ক। মনে হবে যেন আপনি বই পড়ছেন!
  • অনেক রঙ: শুধু সাদা-কালো নয়, এটি দিয়ে অনেক সুন্দর, রঙিন ছবিও দেখানো সম্ভব। অনেকটা আমাদের আঁকা ছবির মতো।

কীভাবে এটি কাজ করে?

এই নতুন প্রযুক্তিটি “ই-ইঙ্ক” (E-ink) নামক এক বিশেষ ধরণের প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। সাধারণ ডিসপ্লেতে ছবি তৈরি হয় আলোর মাধ্যমে, কিন্তু ই-ইঙ্ক ডিসপ্লেতে থাকে ছোট ছোট রঙিন কণা, যা বিদ্যুতের সাহায্যে নড়াচড়া করে এবং বিভিন্ন রঙ তৈরি করে। একবার ছবি তৈরি হয়ে গেলে, এই কণাগুলো তাদের জায়গাতেই স্থির থাকে, তাই বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না।

এই ডিসপ্লে কোথায় ব্যবহার করা যেতে পারে?

  • দোকানে: দোকানের নাম বা কোন জিনিস কী দামে বিক্রি হচ্ছে, তা দেখানোর জন্য খুব সুন্দরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • স্কুলে/লাইব্রেরিতে: স্কুলের নোটিশ বোর্ড বা লাইব্রেরির বইয়ের তালিকা দেখানোর জন্য এটি ব্যবহার করলে দেখতে খুব আকর্ষণীয় হবে।
  • তথ্য কেন্দ্র: বাস স্টপ বা রেল স্টেশনে যাত্রীদের তথ্য দেখানোর জন্যও এটি খুব উপযোগী।
  • স্মার্ট হোম: আমাদের বাড়িতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন – আজকের আবহাওয়া, জরুরি বার্তা ইত্যাদি দেখানোর জন্য।

কেন এই আবিষ্কার আমাদের বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তুলবে?

এই আবিষ্কারটি আমাদের দেখায় যে, প্রযুক্তি কতটা এগিয়ে যেতে পারে। আমরা যা কিছু ব্যবহার করি, তার পিছনে অনেক বিজ্ঞান ও অনেক মানুষের বুদ্ধি কাজ করে। স্যামসাং-এর এই কালার ই-পেপার প্রমাণ করে যে, আমরা যদি চেষ্টা করি, তাহলে আমরা এমন জিনিসও তৈরি করতে পারি যা আমাদের জীবনকে সহজ এবং সুন্দর করে তোলে।

বিজ্ঞানে কিন্তু এমন আরও অনেক মজার জিনিস লুকিয়ে আছে। তুমি যদি পড়াশোনায় মন দাও, তাহলে তুমিও একদিন হয়তো এমন নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারবে যা পুরো দুনিয়াকে চমকে দেবে! কে জানে, হয়তো তুমিই হবে পরের বড় বিজ্ঞানী!

স্যামসাং-এর এই নতুন “কাগজের মতো” ডিজিটাল ডিসপ্লে আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বিজ্ঞান সবসময় নতুন নতুন পথ খুলে দেয়, যা আমাদের জীবনকে আরও রঙিন এবং সহজ করে তোলে।


[Interview] ‘I Thought It Was Real Paper’ — The Story Behind Samsung Color E-Paper: The Digital Signage Solution That Displays 2.5 Million Colors Without Continuous Power


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-27 15:30 এ, Samsung ‘[Interview] ‘I Thought It Was Real Paper’ — The Story Behind Samsung Color E-Paper: The Digital Signage Solution That Displays 2.5 Million Colors Without Continuous Power’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন