
মহাকাশের গভীরে লুকিয়ে থাকা রহস্য ভেদ: অ্যাশফিয়া হকের সাথে একটি মজাদার যাত্রা
আজ, ১৮ জুন, ২০২৫, দুপুর ৩টে ৫ মিনিটে, লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি থেকে একটি দারুণ খবর এসেছে! সেখানে অ্যাশফিয়া হক নামে একজন অসাধারণ বিজ্ঞানী আমাদের সাথে কথা বলেছেন। অ্যাশফিয়া মহাকাশের অনেক গভীর রহস্যের উত্তর খুঁজতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। চলো, তার এই রোমাঞ্চকর জগৎ সম্পর্কে সহজ ভাষায় জেনে নিই!
অ্যাশফিয়া হক কে?
অ্যাশফিয়া হক একজন বিজ্ঞানী। তবে তিনি কোনো সাধারণ বিজ্ঞানী নন। তিনি এমন সব জিনিস নিয়ে গবেষণা করেন যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না – যেমন মহাবিশ্বের একদম শুরু বা সেই সময়ের কিছু অদ্ভুত জিনিস। ভাবো তো, একদম প্রথম আলো, যেটা মহাবিশ্ব তৈরি হওয়ার পর প্রথম জ্বলে উঠেছিল, সেটা কেমন ছিল? অ্যাশফিয়ার কাজ হলো সেই সময়ের কথাগুলো জানা।
তিনি কী নিয়ে গবেষণা করছেন?
অ্যাশফিয়া মূলত “মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড” (Cosmic Microwave Background – CMB) নিয়ে গবেষণা করেন। এটা একটু কঠিন নাম, তাই না? সহজ করে বললে, এটা হলো মহাবিশ্ব যখন একদম শিশু ছিল, তখনকার একটা ছবি। এই ছবিটা আসলে এক ধরণের আলো, যা সব দিক থেকে আমাদের দিকে আসছে। এই আলো মহাবিশ্বের একেবারে প্রথম দিনগুলোর অনেক গোপন তথ্য লুকিয়ে রেখেছে।
ভাবো তো, তোমার ছোটবেলার একটা ছবি দেখলে তুমি কেমন ছিলে, কী করতে – এসব যেমন বোঝা যায়, তেমনই এই CMB-ও মহাবিশ্বের একদম প্রথম অবস্থার অনেক কিছু বলে দেয়। অ্যাশফিয়া এই ছবির গভীরে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন যে মহাবিশ্ব কীভাবে তৈরি হলো, কীভাবে সময়ের সাথে সাথে বড় হলো, এবং কী কী জিনিস দিয়ে এটি গঠিত।
কেন এই গবেষণা এত গুরুত্বপূর্ণ?
-
মহাবিশ্বের জন্মরহস্য: আমরা সবাই জানতে চাই আমরা কোথা থেকে এসেছি। মহাবিশ্ব কীভাবে শুরু হলো, সেটাই তো আমাদের সবার বড় প্রশ্ন। অ্যাশফিয়ার গবেষণা আমাদের সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করে। CMB হলো সেই প্রথম আলোর ঝলক, যা মহাবিশ্বের জন্মের গল্প বলে।
-
আমাদের চেনা জগৎ বোঝা: আমরা যে গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, গ্রহ – সবকিছু দেখি, সেগুলো সবই কিন্তু CMB-এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে। তাই CMB-কে ভালো করে বুঝলে আমরা আমাদের চারপাশের এই বিশাল জগৎটাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি।
-
ভবিষ্যৎ জানা: মহাবিশ্ব এখন যেমন আছে, ভবিষ্যতে এটি কেমন হবে, তা জানার জন্যও এই গবেষণা খুব দরকারি।
অ্যাশফিয়ার কাজের মজার দিক:
অ্যাশফিয়ার কাজ অনেকটা ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দার মতো। গোয়েন্দারা যেমন ছোট ছোট সূত্র ধরে বড় রহস্যের সমাধান করেন, অ্যাশফিয়াও তেমনি CMB-এর মধ্যে থাকা ছোট ছোট পরিবর্তন বা বৈশিষ্ট্য দেখে মহাবিশ্বের বড় বড় রহস্যের উত্তর খোঁজেন। তিনি বিশাল টেলিস্কোপ এবং অত্যাধুনিক কম্পিউটার ব্যবহার করেন এই কাজগুলো করার জন্য।
ছোট্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বার্তা:
অ্যাশফিয়া আমাদের বলছেন যে বিজ্ঞান শুধু কঠিন বই আর পরীক্ষা নয়। বিজ্ঞান হলো প্রশ্ন করা, নতুন কিছু জানার আগ্রহ এবং অনেক মজা! যদি তোমারও মহাবিশ্ব, তারা, বা অন্য কোনো কিছু নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে ভয় পেয়ো না। প্রশ্ন করো, বই পড়ো, ভিডিও দেখো, আর নিজের মতো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেষ্টা করো। হয়তো একদিন তুমিও অ্যাশফিয়ার মতো মহাকাশের নতুন কোনো রহস্যের সমাধান করবে!
বিজ্ঞানীদের এই কাজগুলো আমাদের পৃথিবীর বাইরেও এক বিশাল জগৎ আছে, যা জানার জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে – এই বার্তা দেয়। অ্যাশফিয়া হকের মতো বিজ্ঞানীরা এই পথে আমাদের আলোকিত করেন।
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-18 15:05 এ, Lawrence Berkeley National Laboratory ‘Expert Interview: Ashfia Huq’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।