
মহাকাশের দ্রুত ঘোরার তারা: পালসারদের রহস্য ভেদ!
তুমি কি কখনও রাতের আকাশে অনেক তারা দেখেছো? তারাগুলো মিটমিট করে জ্বলছে, তাই না? কিন্তু কিছু তারা আছে যারা সাধারণ তারা নয়, তারা হলো “পালসার”! আর বিজ্ঞানীরা এই পালসারদের নিয়ে নতুন নতুন সব গবেষণা করছেন, যা আমাদের মহাবিশ্বের অনেক অজানা তথ্য জানতে সাহায্য করবে।
পালসার কী?
মনে করো, একজন জাদুকর খুব দ্রুত তার টুপি ঘোরাচ্ছেন। যখন টুপিটা ঘুরছে, তখন কিছু আলো ঝলকানি দিচ্ছে। পালসারও ঠিক তেমনই! যখন একটি বড় তারা তার জীবন শেষ করে, তখন সেটি একটি ছোট, খুব ঘন বস্তুতে পরিণত হয়, যাকে বলে নিউট্রন স্টার। এই নিউট্রন স্টারগুলো অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকে।
আর এই ঘোরার সময়, তাদের শরীর থেকে শক্তিশালী রশ্মি বের হয়, ঠিক যেমন টর্চের আলো। আমরা যখন এই রশ্মিগুলো দেখতে পাই, তখন মনে হয় যেন তারাগুলো একটি নির্দিষ্ট বিরতিতে জ্বলে উঠছে এবং নিভে যাচ্ছে। এ কারণেই এদের নাম পালসার, কারণ তারা আলোর “পালস” বা ঝলকানি পাঠায়।
কিভাবে আমরা পালসারদের সম্পর্কে জানি?
আমরা সরাসরি পালসারদের কাছে যেতে পারি না, কারণ তারা অনেক অনেক দূরে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তাদের পাঠানো রশ্মিগুলো গ্রহণ করতে পারেন। এই রশ্মিগুলো বিশ্লেষণ করে তারা পালসারদের গতি, তাপমাত্রা এবং আরও অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারেন।
নতুন গবেষণা কি বলছে?
সম্প্রতি, Lawrence Berkeley National Laboratory-এর বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন। এই প্রোগ্রামটি পালসারদের আচরণ খুব ভালোভাবে অনুকরণ (simulate) করতে পারে। এর মানে হলো, তারা কম্পিউটারেই পালসারদের ঘূর্ণন, রশ্মি নির্গমন এবং অন্যান্য জটিল কাজগুলো দেখাতে পারেন।
এই “ম্যাজিক” কম্পিউটারের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা পালসারদের শরীরের ভেতরে কি হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করছেন। তারা দেখতে পাচ্ছেন কিভাবে এই দ্রুত ঘোরার বস্তুগুলো তাদের শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে, কিভাবে আলো বের করে এবং কিভাবে তারা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে।
এই গবেষণা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই গবেষণা আমাদের দুটি বড় জিনিস বুঝতে সাহায্য করবে:
-
মহাবিশ্বের রহস্য: পালসারগুলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে চরম পরিবেশগুলোর মধ্যে একটি। এই ঘোরার তারাগুলো থেকে আমরা মহাকর্ষ (gravity), পদার্থবিদ্যা (physics) এবং মহাবিশ্বের শুরুর দিকের কিছু নিয়ম সম্পর্কে নতুন তথ্য পেতে পারি। অনেকটা ধাঁধার টুকরো জোড়া লাগানোর মতো!
-
মহাবিশ্বের নিয়ম: পালসারদের আচরণ বোঝার মাধ্যমে আমরা আসলে পদার্থবিদ্যার কিছু মৌলিক নিয়ম পরীক্ষা করতে পারি। এই নিয়মগুলো আমাদের চারপাশের সবকিছু, এমনকি আমাদের শরীরও কিভাবে কাজ করে তা বুঝতে সাহায্য করে।
শিশুদের জন্য এর মানে কি?
যদি তুমি মহাবিশ্ব, তারা, এবং রহস্যময় জিনিস পছন্দ কর, তবে এই গবেষণা তোমার জন্য দারুণ! বিজ্ঞানীরা অনেক কঠিন প্রশ্ন নিয়ে কাজ করছেন, যেমন:
- মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চুম্বক কিভাবে তৈরি হয়?
- মহাকাশে আলোর গতি কিভাবে কাজ করে?
- মহাবিশ্বের জন্ম কিভাবে হয়েছিল?
এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে পারবেন। আর তুমিও যদি এমন প্রশ্ন পছন্দ কর, তবে তুমিও একদিন বিজ্ঞানী হতে পারো!
তুমি কি করতে পারো?
- রাতের আকাশে তারা দেখতে চেষ্টা করো।
- মহাকাশ বা জ্যোতির্বিদ্যা (astronomy) নিয়ে বই পড়ো।
- ইন্টারনেটে মহাকাশ নিয়ে মজার ভিডিও বা তথ্য খুঁজে বের করো।
বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু আবিষ্কার করছেন, আর তোমার মতো কৌতূহলী মনগুলোই ভবিষ্যতে নতুন নতুন breakthrough নিয়ে আসবে! পালসারদের এই রহস্যময় জগৎ তোমাকে আকৃষ্ট করছে তো?
Basics2Breakthroughs: Simulating pulsars for insights into fundamental physics
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-03 17:58 এ, Lawrence Berkeley National Laboratory ‘Basics2Breakthroughs: Simulating pulsars for insights into fundamental physics’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।