খারাপ থেকে আরও খারাপ: কেন আমরা খারাপ লোকেদের নিয়ে এত আগ্রহী?,Harvard University


খারাপ থেকে আরও খারাপ: কেন আমরা খারাপ লোকেদের নিয়ে এত আগ্রহী?

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণা বলছে, আমরা প্রায়শই খারাপ লোকেদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হই। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন! যখন আমরা কোনো বিখ্যাত বা ঐতিহাসিক ব্যক্তির জীবন কাহিনী পড়ি, তখন ভালো কাজের চেয়ে খারাপ কাজের প্রতি আমাদের মনোযোগ বেশি থাকে। এই গবেষণাটি “From bad to worse: Biographies of Bad People” (খারাপ থেকে আরও খারাপ: খারাপ লোকেদের জীবন কাহিনী) নামে প্রকাশিত হয়েছে।

এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বিজ্ঞানের জগতে, আমরা প্রায়শই নতুন জিনিস আবিষ্কার করি এবং আমাদের চারপাশের জগৎকে বোঝার চেষ্টা করি। এই গবেষণাটি আমাদের মানব আচরণ এবং মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে নতুন কিছু শেখায়। এটি বুঝতে সাহায্য করে কেন আমরা কিছু নির্দিষ্ট ধরনের গল্পে বেশি আগ্রহী হই।

ছোট ছোট উদাহরণ:

ভাবুন তো, আপনি যখন কোনো গল্প বা সিনেমা দেখেন, তখন কি ভালো চরিত্রের চেয়ে খারাপ চরিত্রের দিকে বেশি মনোযোগ দেন? হয়তো আপনি সেই খলনায়কের পরিকল্পনা, তার উদ্দেশ্য, বা সে কেন এমন করছে, তা জানার চেষ্টা করেন। এই গবেষণাটি বলছে, আমাদের ব্রেইন (মস্তিষ্ক) সম্ভবত এই ধরনের তথ্যের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।

কেন খারাপ বিষয়গুলো আমাদের আকর্ষণ করে?

গবেষকরা মনে করেন, এর কয়েকটি কারণ থাকতে পারে:

  • অজানা ও বিপদ: খারাপ বা অনৈতিক কাজগুলো প্রায়শই আমাদের সাধারণ অভিজ্ঞতার বাইরে থাকে। আমরা হয়তো জানতে চাই যে মানুষ কতটা খারাপ হতে পারে, বা তারা কী ধরনের বিপজ্জনক কাজ করতে পারে। এটি একধরনের “ভয়ের আকর্ষণ”।
  • নৈতিক বিচার: যখন আমরা খারাপ কাজ সম্পর্কে শুনি, তখন আমরা স্বাভাবিকভাবেই সেগুলোকে ভালো কাজের সাথে তুলনা করি এবং নিজেদের নৈতিকতা নিয়ে চিন্তা করি। এটি আমাদের শেখায় কোনটি ঠিক এবং কোনটি ভুল।
  • কৌতূহল: খারাপ লোকেরা প্রায়শই সমাজের নিয়ম ভাঙে বা ব্যতিক্রমী আচরণ করে। তাদের এই ব্যতিক্রমী স্বভাব আমাদের কৌতূহলী করে তোলে। আমরা জানতে চাই তারা কেন এমন করে, এবং তাদের জীবনে কী ঘটে।
  • সরলীকরণ: অনেক সময় খারাপ লোকেদের কাজের পেছনের কারণগুলো জটিল হলেও, আমরা সেগুলোকে সরলভাবে বোঝার চেষ্টা করি। এটি আমাদের মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞান কিভাবে এর সাথে যুক্ত?

আমাদের মস্তিষ্ক তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য তৈরি। খারাপ বা নেতিবাচক তথ্য আমাদের মস্তিষ্কের কিছু বিশেষ অংশকে সক্রিয় করে, যা আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এর কারণ হতে পারে যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের টিকে থাকার জন্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক থাকাটা খুব জরুরি ছিল। তাই, নেতিবাচক তথ্য আমাদের মস্তিষ্কের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুরা কিভাবে উপকৃত হতে পারে?

এই ধরনের গবেষণা শিশুদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারে। যখন শিশুরা জানতে পারে যে, আমরা কেন নির্দিষ্ট কিছু জিনিস নিয়ে কৌতূহলী হই, অথবা আমাদের মন কিভাবে কাজ করে, তখন তারা মানব আচরণ এবং মনস্তত্ত্বের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আরও জানতে আগ্রহী হবে।

কিভাবে আপনিও বিজ্ঞানে আগ্রহী হতে পারেন?

  • প্রশ্ন করুন: যেকোনো কিছুতেই প্রশ্ন করার অভ্যাস করুন। কেন এমন হয়? কিভাবে এটা কাজ করে?
  • পড়ুন: নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে পড়ুন, যেমন এই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি।
  • পর্যবেক্ষণ করুন: আপনার চারপাশের মানুষ এবং তাদের আচরণ লক্ষ্য করুন।
  • আলোচনা করুন: বন্ধু, পরিবার বা শিক্ষকদের সাথে বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন।

খারাপ লোকেদের নিয়ে পড়া বা জানাটা হয়তো সব সময় মজার নয়, তবে এটি আমাদের নিজেদের এবং আমাদের চারপাশের জগৎকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। আর এই বোঝাপড়াই হলো বিজ্ঞানের প্রথম ধাপ!


From bad to worse


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-23 16:54 এ, Harvard University ‘From bad to worse’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন