
আপনার ছোট বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, আমরা যখন ছোট থাকি, তখন থেকেই আমাদের পড়ার এবং লেখার ক্ষমতা গড়ে উঠতে শুরু করে?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা বলছে, আমরা যতখানি ভাবি, তার থেকেও অনেক আগে থেকেই আমাদের মস্তিষ্কে এই ক্ষমতাগুলো তৈরি হতে শুরু করে।
ভাবো তো, ছোটবেলায় তোমরা যেমন খেলনা দিয়ে খেলতে ভালোবাসো, তেমনই ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিদের মস্তিষ্কও নতুন জিনিস শিখতে ভালোবাসে। এই নতুন গবেষণাটি আসলে আমাদের ছোট্ট বন্ধুরা যখন খুব ছোট, এমনকি জন্মের পর থেকেই কেমন করে ভাষা শিখছে, অক্ষর চিনতে শিখছে, এবং সেই শেখাটা ভবিষ্যতে তাদের পড়াশোনায় কতটা সাহায্য করবে – এই বিষয়গুলো নিয়েই।
বিজ্ঞানীরা কী খুঁজে পেয়েছেন?
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, শিশুরা যখন খুব ছোট থাকে, তারা হয়তো তখনও কথা বলতে পারে না, কিন্তু তারা আমাদের মুখের ভাবভঙ্গি, আমরা যে শব্দগুলো ব্যবহার করি, এবং পরিবেশের নানা আওয়াজ খুব মন দিয়ে শোনে। তারা মনে মনে সেই শব্দগুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা করে।
-
ছোট্ট শিশুর মগজ – এক বিস্ময়কর যন্ত্র!
- তোমরা যেমন ছবি আঁকো, গান গাও, তেমনই ছোট্ট সোনামণিদের মগজও নতুন তথ্য গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
- যখন তারা কোনো গল্প শোনে বা কার্টুন দেখে, তখন তাদের মগজ সেই শব্দগুলো এবং ছবিগুলোকে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে।
- তারা হয়তো তখনো অক্ষর চিনতে পারে না, কিন্তু কোন আওয়াজ কোন বস্তুর সাথে সম্পর্কিত, সেটা তারা বুঝতে পারে। যেমন, “মা” ডাকলে যেমন মায়ের মুখটা তাদের মনে পড়ে।
-
পড়ার প্রথম ধাপ – কান ও চোখ!
- যখন মা-বাবা বা শিক্ষকরা ছোটদের বই পড়ে শোনান, তখন তারা শুধু শব্দই শোনে না, তারা বইয়ের ছবিগুলোও দেখে।
- এই ছবিগুলো এবং শব্দের মেলবন্ধন তাদের মনে নতুন ধারণা তৈরি করে। তারা বুঝতে শেখে যে, এই ছবিগুলোর সাথে এই শব্দগুলো যুক্ত।
- বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ছোট ছোট অভিজ্ঞতাগুলোই আসলে আমাদের পড়ার এবং বোঝার ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
-
কেন এটা জরুরি?
- যেই শিশুরা ছোটবেলা থেকেই এই ধরনের অভিজ্ঞতা পায়, তারা যখন স্কুলে গিয়ে পড়তে শুরু করে, তখন তাদের শিখতে অনেক সুবিধা হয়।
- তারা দ্রুত অক্ষর চিনতে পারে, শব্দগুলো বুঝতে পারে এবং পড়াটাকে উপভোগ করতে শুরু করে।
- আর যারা একটু কম এই ধরনের সুযোগ পায়, তাদের পড়তে বা বুঝতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
তোমাদের জন্য কিছু মজার টিপস!
তোমরা যারা বিজ্ঞানে আগ্রহী, তাদের জন্য একটা দারুণ খবর হলো – তোমাদের মগজও কিন্তু এইভাবেই সব শিখছে!
- তোমরা আরও বেশি করে বই পড়ো: তোমাদের পছন্দের গল্পের বই, ছবির বই, বা বিজ্ঞানের বই—সবই কিন্তু তোমাদের মগজকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
- নতুন শব্দ শেখো: নতুন নতুন শব্দ ব্যবহার করলে বা শুনলে তোমাদের শব্দভাণ্ডার বাড়বে, আর তাতে পড়াটাও সহজ হবে।
- প্রশ্ন করো: কোনো কিছু না বুঝলে ভয় পেও না। তোমার শিক্ষক বা বড়দের কাছে প্রশ্ন করো। প্রশ্ন করা মানেই তো শেখা!
- বিজ্ঞান নিয়ে জানার চেষ্টা করো: চারপাশের জগৎটা কেমন, কেন এমন হয় – এই সব প্রশ্ন যখন তোমাদের মনে আসবে, বুঝবে তোমরা বিজ্ঞানীরা হওয়ার পথে এগোচ্ছো।
- গল্প শোনো আর বলো: ছোটদের গল্প শোনালে বা তাদের সাথে গল্প করলে তাদের ভাষার বিকাশ হয়, যা পড়তে ও বুঝতে সাহায্য করে।
শেষ কথা:
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা আমাদের এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, প্রতিটি শিশুই জন্ম থেকেই শিখতে পারে। এবং ছোটবেলা থেকে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করি, তা আমাদের ভবিষ্যতের পথচলার জন্য খুবই জরুরি। তোমরা যদি বিজ্ঞানের মজাটা বুঝতে চাও, তাহলে সবার আগে জানার আগ্রহটা বাড়াও। আর ছোটবেলা থেকেই যদি এই শেখার আনন্দটা উপভোগ করতে পারো, তাহলে দেখবে, বিজ্ঞান তোমাদের জন্য কত সহজ আর কত মজাদার!
Reading skills — and struggles — manifest earlier than thought
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-23 19:23 এ, Harvard University ‘Reading skills — and struggles — manifest earlier than thought’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।