রোগ হওয়ার ঝুঁকি জানা কি ভালো, নাকি না জানা?,Harvard University


রোগ হওয়ার ঝুঁকি জানা কি ভালো, নাকি না জানা?

একটা চমকে দেওয়ার মতো প্রশ্ন, তাই না?

ভাবো তো, বিজ্ঞানীরা এমন একটা প্রশ্ন নিয়ে গবেষণা করছেন যা আমাদের সবার জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ২০২৩ সালের জুলাই মাসে একটি দারুণ নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন, যার নাম ‘Riskier to know — or not to know — you’re predisposed to a disease?’ (রোগের প্রতি পূর্ব-প্রবণতা জানা কি আরও ঝুঁকিপূর্ণ, নাকি না জানা?)। এই নিবন্ধটি আমাদের ভাবতে শেখায় যে, কিছু রোগ আমাদের হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, এই তথ্যটা জানা ভালো নাকি না জানাটাই বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।

পূর্ব-প্রবণতা মানে কী?

সহজ ভাষায়, পূর্ব-প্রবণতা হলো আমাদের শরীরের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যা আমাদের নির্দিষ্ট কিছু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এটা অনেকটা জন্মসূত্রেই পাওয়া কিছু ‘বিশেষ ক্ষমতা’ বা ‘দুর্বলতা’-র মতো। ধরো, তোমার কোনো বন্ধু হয়তো খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে, এটা তার একটা বিশেষ ক্ষমতা। আবার, তোমার হয়তো ঠান্ডা লাগলে একটু বেশি কষ্ট হয়, এটা তোমার একটা দুর্বলতা। তেমনই, আমাদের জিন বা আমাদের শরীরের ভেতরের গঠন কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

কেন এই প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ?

বিজ্ঞানীরা এখন এমন অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন যা বলে দেয় ভবিষ্যতে আমাদের কোনো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কতটা। যেমন, কিছু রক্ত পরীক্ষা বা জিন পরীক্ষা করে জানা যায় যে, ভবিষ্যতে আমাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো বিশেষ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কিনা।

এখন প্রশ্ন হলো, এই তথ্যটা জানা কি আমাদের জন্য ভালো?

এই নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা কিছু মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন:

  • জ্ঞানের শক্তি: যদি আমরা জানতে পারি যে আমাদের কোনো রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাহলে আমরা আগে থেকেই সতর্ক হতে পারি। যেমন, যদি আমরা জানি যে আমাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাহলে আমরা এখন থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারি, নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারি, এবং মিষ্টি কম খেতে পারি। এতে রোগটা হলেও তা হালকাভাবে হতে পারে বা নাও হতে পারে। এটা অনেকটা ভবিষ্যৎ বিপদ সম্পর্কে জেনে, সেটা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মতো।

  • মানসিক চাপ: কিন্তু, সব সময় এই তথ্য জানাটা সহজ নয়। এই তথ্য জানার ফলে অনেকে খুব বেশি চিন্তিত হয়ে পড়তে পারেন। তারা হয়তো সারাক্ষণ এই ভয়েই বাঁচেন যে তাদের রোগটা হবেই। এই মানসিক চাপ তাদের স্বাভাবিক জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। ধরো, তুমি জানো যে তোমার পাহাড় ভাঙার সময় পিছলে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তুমি কি তাহলে আর পাহাড় ভাঙতেই যাবে না? নাকি তুমি আরও সাবধানে, সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে যাবে?

  • ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত: মনে রাখতে হবে, এই পরীক্ষাগুলো শুধু সম্ভাবনা বলে দেয়, নিশ্চিতভাবে কিছু বলে না। অর্থাৎ, রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও যে রোগটা হবেই, এমনটা নয়। আবার, সম্ভাবনা না থাকলেও যে রোগটা হবে না, তাও নয়। জীবন অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনার সমন্বয়ে গড়া।

তাহলে কোনটা ভালো? জানা নাকি না জানা?

এই প্রশ্নের সহজ কোনো উত্তর নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর:

  • রোগের ধরণ: কিছু রোগ আছে যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সহজেই নিরাময় করা যায়। আবার কিছু রোগ আছে যা খুব জটিল।
  • ব্যক্তির মানসিক অবস্থা: কিছু মানুষ আছে যারা এই তথ্য জানার পর আরও বেশি সতর্ক ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে শুরু করেন। আবার কিছু মানুষ অতিরিক্ত চিন্তায় ভেঙে পড়েন।
  • পরিবারের সমর্থন: পরিবার এবং বন্ধুদের পাশে থাকাটাও এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

তোমরা, ছোট্ট বিজ্ঞানীরা, কী ভাবতে পারো?

এই পুরো ব্যাপারটা নিয়ে তোমরা নিজেরাও ভাবতে পারো। তোমরা যখন বড় হবে, তখন তোমরা হয়তো আরও অনেক নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা পদ্ধতি দেখতে পাবে। তোমরা কি মনে করো, রোগ হওয়ার সম্ভাবনা জানার পর আমাদের কী করা উচিত?

  • জ্ঞান অর্জন: বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও জানো। তোমরা যত বেশি জানবে, তত বেশি ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
  • প্রশ্ন জিজ্ঞাসা: তোমাদের শিক্ষক, বাবা-মা, বা ডাক্তারদের কাছে এই ধরণের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারো।
  • স্বাস্থ্যকর জীবন: এখন থেকেই ভালো খাবার খাওয়া, খেলাধুলা করা, এবং পর্যাপ্ত ঘুমোনোর অভ্যাস গড়ে তোলো। এতে তোমরা সুস্থ থাকবে এবং যেকোনো রোগের সাথে লড়াই করার জন্য শক্তিশালী হবে।

বিজ্ঞান শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর তথ্য জানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে আরও ভালোভাবে বাঁচতে শেখায়। এই ধরণের জটিল প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবা এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তার উত্তর খোঁজাটাই হলো একজন সত্যিকারের বিজ্ঞানীর কাজ। তোমরাও এই যাত্রার অংশীদার হতে পারো!


Riskier to know — or not to know — you’re predisposed to a disease?


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-01 21:01 এ, Harvard University ‘Riskier to know — or not to know — you’re predisposed to a disease?’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন