
ভবিষ্যতের রোগ: বিজ্ঞানীরা কীভাবে আসছে ভাইরাসের পূর্বাভাস দিচ্ছেন?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা যা আমাদের আরও সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে!
প্রকাশিত তারিখ: জুলাই ৩, ২০২৫ (দুপুর ২:৫৭) সংস্থা: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূল বিষয়: ভবিষ্যতের ভাইরাসের পূর্বাভাস
ধরুন, আপনি খেলতে ভালোবাসেন। আর আপনার প্রিয় খেলার নিয়মে হঠাৎ পরিবর্তন এল। তখন কী করবেন? হয়তো আপনি নতুন নিয়মগুলো বোঝার চেষ্টা করবেন, বা আপনার বন্ধুদের সাথে কথা বলে নতুন কৌশল শিখবেন, তাই না? বিজ্ঞানীরাও ঠিক তেমনই কাজ করেন, কিন্তু তারা খেলেন না, তারা আমাদের বাঁচানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলা খেলেন – রোগ প্রতিরোধের খেলা!
সম্প্রতি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অত্যন্ত বুদ্ধিমান বিজ্ঞানী একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছেন যার নাম “Forecasting the next variant”। এর মানে হলো, তারা ভবিষ্যতের ভাইরাস কেমন হতে পারে, তা আগে থেকেই বোঝার চেষ্টা করছেন। ভাবুন তো, এটা অনেকটা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতো, কিন্তু এখানে আমরা বাতাস বা বৃষ্টির বদলে ভাইরাসের কথা বলছি!
ভাইরাস কী এবং কেন আমরা তাদের নিয়ে চিন্তা করি?
ভাইরাস হলো খুব ছোট ছোট জীব, খালি চোখে এদের দেখা যায় না। এরা আমাদের শরীরে ঢুকে আমাদের অসুস্থ করে দিতে পারে। যেমন, সর্দি-কাশি, ফ্লু, বা করোনাভাইরাস। যখন এই ভাইরাসগুলো নিজেদের একটু একটু করে বদলাতে থাকে, তখন তাদের নতুন নাম হয়, যেমন – “ভ্যারিয়েন্ট”। এই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো কখনও কখনও পুরনো ভাইরাসের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হতে পারে, বা আমাদের শরীরকে একটু অন্যভাবে আক্রমণ করতে পারে।
হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা কী করছেন?
হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরে ভাইরাসের উপর নজর রাখছেন। তারা কম্পিউটারের সাহায্যে ভাইরাসের “জিনোম” (ভাইরাসের ভেতরের গোপন নকশা) বিশ্লেষণ করেন। ঠিক যেমন কোনো খেলনার নির্দেশিকা বা রেসিপি বই থাকে, তেমনি ভাইরাসেরও একটি জিনোম থাকে যা বলে দেয় ভাইরাসটি কীভাবে কাজ করবে।
বিজ্ঞানীরা যখন একটি ভাইরাস অসুস্থতা ছড়াতে দেখে, তখন তারা তার জিনোম পরীক্ষা করেন। তারা দেখেন যে ভাইরাসটি নিজের নকশায় কোনো পরিবর্তন এনেছে কিনা। যদি কোনো পরিবর্তন ঘটে, তাহলে তারা বুঝতে পারেন যে এটি একটি নতুন “ভ্যারিয়েন্ট”।
ভবিষ্যতের পূর্বাভাস কেন জরুরি?
ভাবুন তো, যদি আমরা আগে থেকেই জানতে পারি যে কাল বৃষ্টি হবে, তাহলে আমরা ছাতা নিয়ে বের হতে পারব। ঠিক তেমনি, যদি বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে ভবিষ্যতে একটি নতুন এবং শক্তিশালী ভাইরাস আসতে পারে, তাহলে তারা আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।
- নতুন টিকা তৈরি: বিজ্ঞানীরা নতুন ভ্যারিয়েন্টের পূর্বাভাস পেলে, তারা সেই অনুযায়ী নতুন টিকা (vaccine) তৈরি করতে পারবেন। টিকা হলো একটি বিশেষ ঔষধ যা আমাদের শরীরকে ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে শেখায়।
- আরও ভালো চিকিৎসা: বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের নতুন রূপ সম্পর্কে জানলে, তারা সেই ভাইরাসের জন্য আরও কার্যকরী চিকিৎসা (medicine) তৈরি করতে পারবেন।
- জনসাধারণকে সতর্ক করা: বিজ্ঞানীরা মানুষকে জানাতে পারবেন যে কোন ধরণের ভাইরাস আসছে এবং কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে।
এই গবেষণায় কী নতুনত্ব আছে?
হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা শুধু ভাইরাসের পরিবর্তন দেখছেন না, তারা আরও বেশি কিছু করছেন। তারা অনেক তথ্য (data) ব্যবহার করে একটি বিশেষ “মডেল” (model) তৈরি করছেন। এই মডেলটি অনেকটা ম্যাজিক স্ফটিকের মতো! এটি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ভাইরাস সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে।
তারা বলছেন, ভাইরাসের আচরণ বুঝতে আমাদের আরও উন্নত কম্পিউটার এবং আরও বেশি ডেটা প্রয়োজন। এই ডেটা আসে আমাদের চারপাশ থেকে – অসুস্থ হওয়া মানুষ, ল্যাবে পরীক্ষা করা নমুনা ইত্যাদি।
তোমরা কীভাবে সাহায্য করতে পারো?
তোমরা হয়তো সরাসরি ভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করতে পারবে না, কিন্তু তোমরা বিজ্ঞানীদের কাজে অনেক সাহায্য করতে পারো!
- বিজ্ঞানকে ভালোবাসো: নতুন নতুন জিনিস শেখার আগ্রহ রাখো। বই পড়ো, বিজ্ঞান সম্পর্কিত ডকুমেন্টারি দেখো।
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলো: নিয়মিত হাত ধোওয়া, অসুস্থ মানুষের থেকে দূরে থাকা – এই ছোট ছোট কাজগুলো ভাইরাস ছড়াতে বাধা দেয়।
- প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করো: তোমার মনে কোনো প্রশ্ন আসলে তা জিজ্ঞাসা করতে ভয় পেও না। শিক্ষক, বাবা-মা বা ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে উত্তর খুঁজে বের করো।
হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা আমাদের সবার জন্য খুব আশার আলো দেখাচ্ছে। তারা আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য দিনরাত কাজ করছেন। আর এই কাজগুলোই বিজ্ঞানকে এত মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে! কে জানে, হয়তো তোমাদের মধ্যেই কেউ একদিন এই দলের অংশ হবে এবং নতুন কোনো রোগ প্রতিরোধের উপায় বের করবে!
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-03 14:57 এ, Harvard University ‘Forecasting the next variant’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।