
ট্রাম্পের প্রথম ছয় মাস: প্রত্যাশা এবং বাস্তবে ফারাক – জাপানের জনমত সমীক্ষায় ‘হতাশা’ প্রধান
টোকিও, জাপান: জুলাই ১৮, ২০২৫ – জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো) কর্তৃক প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকালের প্রথম ছয় মাসকে “প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি” বলে মনে করেন ৪৩% জাপানি নাগরিক। এই সমীক্ষাটি ট্রাম্প প্রশাসনের জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাঁর নীতিগুলির উপর জাপানি জনগণের মনোভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছে।
সমীক্ষার মূল ফলাফল:
জেটরো-র এই সমীক্ষাটি ট্রাম্প প্রশাসনের ৬ মাস পূর্তি উপলক্ষে জাপানের সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর নীতির প্রভাব এবং তাঁদের প্রত্যাশাগুলি বোঝার জন্য পরিচালিত হয়েছিল। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ (৪৩%) ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডকে “হতাশাজনক” বলে অভিহিত করেছেন। এর বিপরীতে, প্রায় ৩০% উত্তরদাতা তাঁর কাজকে “সফল” অথবা “কিছুটা সফল” বলে মনে করেছেন, এবং বাকিরা তাঁদের মতামত জানাতে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন বা কোনও নির্দিষ্ট মতামত দেননি।
হতাশার কারণ কী?
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি জাপানের কিছু অংশের এই হতাশাজনক মনোভাবের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে প্রধানগুলি হল:
-
বাণিজ্যিক নীতি ও শুল্ক: ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে তার বাণিজ্য নীতিতে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল, যার মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করা অন্তর্ভুক্ত ছিল। যদিও সরাসরি জাপানের রপ্তানির উপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করা হয়নি, ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে তাঁর অনিশ্চয়তা জাপানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়েছিল। জাপানের অর্থনীতি রপ্তানি-নির্ভর হওয়ায়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিবেশে যে কোনও পরিবর্তন তাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।
-
জাপান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তি: জাপানের সুরক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিদ্যমান নিরাপত্তা চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন জাপানের সঙ্গে তাদের জোটের গুরুত্ব স্বীকার করেছে, তবুও মাঝে মাঝে তাঁর মন্তব্য এবং এই চুক্তির শর্তাবলী পরিবর্তনের ইঙ্গিত জাপানের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি: ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি প্রায়শই ঐতিহ্যবাহী মিত্র দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা দূরত্ব তৈরি করেছিল। তাঁর বক্তৃতার ধরণ এবং কূটনৈতিক কৌশল অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল, যা জাপানের মতো একটি দেশের জন্য, যারা স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বহু-পাক্ষিক সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
-
উত্তর কোরিয়া নীতি: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাপানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। ট্রাম্প প্রশাসনের উত্তর কোরিয়া নীতি, যদিও সরাসরি জাপানের সঙ্গে যুক্ত ছিল, কিন্তু এর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল।
ইতিবাচক দিক:
তবে, সমীক্ষায় কিছু ইতিবাচক দিকও উঠে এসেছে। ৩০% জাপানি নাগরিক ট্রাম্পের কাজকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। এর পেছনে কিছু কারণ হতে পারে:
-
শক্তিশালী মার্কিন নেতৃত্ব: কিছু জাপানি নাগরিক ট্রাম্পের “শক্তিশালী নেতা” হিসেবে ভাবমূর্তি এবং তাঁর স্পষ্টবাদী ভাষাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা মনে করেছেন যে, তাঁর নীতি মার্কিন অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে, যা পরোক্ষভাবে জাপানের জন্যও উপকারী হতে পারে।
-
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক: ট্রাম্প প্রশাসন জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়েছে, এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভালো ছিল। এই সম্পর্ককে কেউ কেউ ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন।
ভবিষ্যতের পথ:
এই জনমত সমীক্ষাটি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম ছয় মাসের উপর জাপানি জনগণের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে। ভবিষ্যতে তাঁর নীতিগুলি কীভাবে জাপানের সঙ্গে সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে, তা নির্ভর করবে অনেকগুলো বিষয়ের উপর, যার মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিস্থিতি অন্যতম। জাপান সরকার সর্বদা তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। এই সমীক্ষার ফলাফলগুলি জাপান সরকারকে তাদের নীতি নির্ধারণে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।
トランプ米大統領就任6カ月の評価は「期待はずれ」が43%、世論調査
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-18 04:45 এ, ‘トランプ米大統領就任6カ月の評価は「期待はずれ」が43%、世論調査’ 日本貿易振興機構 অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।