আমাদের ডিএনএ-তেই কি লুকিয়ে আছে অমরত্বের চাবিকাঠি?,Harvard University


আমাদের ডিএনএ-তেই কি লুকিয়ে আছে অমরত্বের চাবিকাঠি?

হার্ভার্ডের নতুন গবেষণা এক রোমাঞ্চকর প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে!

বন্ধুরা, তোমরা কি কখনো ভেবেছো, মানুষ কি চিরকাল বাঁচতে পারে? ভাবতেই কেমন লাগে, তাই না? আমরা সবাই জানি, আমরা বড় হই, তারপর বুড়ো হই এবং শেষে আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। কিন্তু যদি এমন কোনো উপায় থাকত, যাতে আমরা অনেক অনেক বছর ধরে বাঁচতে পারি, তাহলে কেমন হতো? হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরাও এই একই প্রশ্ন নিয়ে ভাবছেন! তারা সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ গবেষণা প্রকাশ করেছেন, যার শিরোনাম হলো: “Is the secret to immortality in our DNA?”। এই গবেষণার মাধ্যমে তারা জানতে চাইছেন, আমাদের শরীরের ভেতরের এক গোপন কোড, যার নাম ‘ডিএনএ’, তার মধ্যেই কি লুকিয়ে আছে চিরকাল বেঁচে থাকার রহস্য?

ডিএনএ কি, তা একটু সহজ করে বলা যাক:

ধরো, তোমার শরীর একটা বিশাল বাড়ির মতো। এই বাড়িটা তৈরি করতে যেমন অনেক ইট, সিমেন্ট, তার ইত্যাদি লাগে, তেমনই আমাদের শরীরও তৈরি হয় অনেক ছোট ছোট জিনিস দিয়ে, যাদের নাম ‘কোষ’। আর এই কোষগুলো ঠিক কীভাবে কাজ করবে, আমাদের চুল কেমন হবে, আমরা কেমন দেখতে হব – এই সবকিছুই লেখা থাকে আমাদের ডিএনএ-তে। তুমি যখন জন্ম নাও, তখন বাবা-মায়ের কাছ থেকে তুমি কিছু ডিএনএ পাও, যা তোমার পরিচয় তৈরি করে। এই ডিএনএ অনেকটা একটা সুপার-ডুপার নির্দেশিকা বইয়ের মতো, যেখানে জীবনের সব নিয়মকানুন লেখা আছে।

তবে, কেন ডিএনএ-কে নিয়ে এত কথা?

আমরা যখন ছোট থাকি, তখন আমাদের শরীর খুব দ্রুত বাড়ে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের শরীরের ভেতরের কোষগুলো পুরনো হতে থাকে। ঠিক যেমন একটা খেলনা অনেকদিন ধরে ব্যবহার করলে সেটা একটু খারাপ হয়ে যায়, তেমনই আমাদের শরীরের কোষগুলোও বয়সের সাথে সাথে কাজ করার ক্ষমতা হারায়। আমাদের ডিএনএ-র কিছু অংশ, যাকে ‘জিন’ বলা হয়, তারা এই কোষগুলোর মেরামত এবং নতুন কোষ তৈরির নির্দেশ দেয়। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে এই নির্দেশিকাগুলোও একটু অস্পষ্ট হয়ে যায়, এবং কোষগুলো ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না।

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা কী নিয়ে গবেষণা করছেন?

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা আসলে সেই ডিএনএ-র অংশগুলোকেই খুঁজছেন, যারা আমাদের শরীরকে বুড়ো হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। তারা দেখছেন, কিছু প্রাণীর (যেমন – কিছু বিশেষ ধরণের কচ্ছপ বা তিমি) জীবনকাল অনেক দীর্ঘ হয়। তারা কেন এত দীর্ঘজীবী হয়? তাদের ডিএনএ-তে কি এমন কোনো বিশেষ জিনিস আছে, যা আমাদের ডিএনএ-তে নেই?

তারা আরও দেখছেন, কিছু ছোট ছোট পোকা বা অন্য প্রাণীর ডিএনএ-তে এমন কিছু পরিবর্তন আনা যায় কিনা, যাতে তাদের জীবনকাল বাড়ে। যদি তারা এই রহস্যের সমাধান করতে পারে, তাহলে হয়তো একদিন আমরাও এমন কিছু উপায় খুঁজে বের করতে পারব, যাতে মানুষের শরীরও অনেক বেশি দিন পর্যন্ত সুস্থ এবং সবল থাকতে পারে।

এটা কি তাহলে সত্যিই সম্ভব?

এখনও পর্যন্ত এটা শুধুমাত্র একটা প্রশ্ন, যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে, বিজ্ঞানের জগতে অসম্ভব বলে কিছু নেই! বিজ্ঞানীরা দিনরাত কাজ করছেন, নতুন নতুন যন্ত্র ব্যবহার করছেন, কম্পিউটারের মাধ্যমে অনেক তথ্য বিশ্লেষণ করছেন, যাতে তারা ডিএনএ-র গোপন ভাষা বুঝতে পারেন।

তোমাদের কী মনে হয়?

বন্ধুরা, তোমরাও কিন্তু এই বড় রহস্যের অংশ হতে পারো! তোমরা যখন বড় হবে, তখন তোমরাও হয়তো এমন কোনো আবিষ্কার করতে পারো, যা মানুষের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলবে। বিজ্ঞান শুধু বইয়ের পাতায় নয়, আমাদের চারপাশের সবকিছুতেই লুকিয়ে আছে। তোমরা যদি এই ডিএনএ-র মতো বিষয়গুলো নিয়ে কৌতূহলী হও, তাহলে কিন্তু তোমরাও একদিন দারুণ কিছু করতে পারবে।

এই গবেষণা আমাদের শেখায় যে, আমাদের শরীরের ভেতরেই লুকিয়ে আছে অনেক অজানা রহস্য। আর সেই রহস্যের টানেই বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন পথের সন্ধান করছেন। কে জানে, হয়তো একদিন আমাদের ডিএনএ-তেই লুকিয়ে থাকা অমরত্বের চাবিকাঠি আমরা খুঁজে পাব! তোমরাও এই ব্যাপারে আরও জানার চেষ্টা করো, কারণ বিজ্ঞান সবসময়ই নতুন কিছু শেখার সুযোগ করে দেয়!


Is the secret to immortality in our DNA?


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-08 20:28 এ, Harvard University ‘Is the secret to immortality in our DNA?’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন