
মাটির তলার এক আশ্চর্য ল্যাব: মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন!
আজ থেকে প্রায় এক বছর পর, ২০২৫ সালের ২৬ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ গবেষণাগার, যার নাম ফার্মি ন্যাশনাল অ্যাক্সিলারেটর ল্যাবরেটরি (Fermi National Accelerator Laboratory), একটি নতুন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করবে। এই আবিষ্কারের নাম ‘Stepping into SURF, the underground lab, and the fabric of our universe’। নামটি বেশ বড় শোনাচ্ছে, তাই না? কিন্তু এর মানে খুব সহজ। এসো, আমরা সবাই মিলে এই মাটির তলার আশ্চর্য ল্যাবটি সম্পর্কে জানি এবং বোঝার চেষ্টা করি যে এটি কীভাবে আমাদের মহাবিশ্বের গোপন রহস্যগুলো জানতে সাহায্য করে।
SURF মানে কী?
SURF-এর পুরো নাম হলো সাউথ ডাকোটা আন্ডারগ্রাউন্ড ল্যাবরেটরি (South Dakota Underground Laboratory)। সহজ ভাষায় বললে, এটি মাটির অনেক গভীরে অবস্থিত একটি পরীক্ষাগার। ভাবো তো, মাটির নিচে একটা বিশাল বাড়ি, যেখানে বিজ্ঞানীরা নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন!
কেন মাটির নিচে?
আমরা যখন আকাশে তাকাই, তখন নানা রকম আলো আর রশ্মি দেখতে পাই। এর মধ্যে কিছু রশ্মি আমাদের শরীরের জন্য তেমন ভালো নয়। এই রশ্মিগুলো মহাকাশ থেকে আসে, অনেকটা মহাকাশের কণা বৃষ্টির মতো। মাটির নিচে থাকার সুবিধা হলো, এই রশ্মিগুলো মাটির অনেক স্তর ভেদ করে আসতে পারে না। তাই SURF ল্যাবটি এই সব অবাঞ্ছিত রশ্মি থেকে মুক্ত থাকে।
বিজ্ঞানীরা এই ল্যাবটি ব্যবহার করেন কিছু খুব ছোট, প্রায় অদৃশ্য কণা নিয়ে গবেষণা করার জন্য, যেগুলোকে বলা হয় নিউট্রিনো (Neutrino) এবং ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)। এই কণাগুলো এতটাই হালকা এবং অদৃশ্য যে এদের শনাক্ত করা খুব কঠিন। কিন্তু SURF ল্যাবরেটরির শান্ত, রশ্মিমুক্ত পরিবেশে বিজ্ঞানীরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে এদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন।
মহাবিশ্বের কাপড়ের সাথে যোগ?
নিবন্ধের নামে ‘the fabric of our universe’ অর্থাৎ ‘মহাবিশ্বের কাপড়’ কথাটি বেশ রহস্যময়, তাই না? আসলে, বিজ্ঞানীরা মনে করেন আমাদের এই মহাবিশ্বটা একটা বিশাল চাদরের মতো, যেখানে সবকিছু সুতো দিয়ে বাঁধা। এই সুতোগুলোই হলো মহাবিশ্বের মৌলিক নিয়ম বা শক্তি, যা সবকিছুকে একসাথে ধরে রেখেছে।
নিউট্রিনো এবং ডার্ক ম্যাটার হলো এই মহাবিশ্বের কাপড়ের কিছু বিশেষ ধরনের সুতো।
-
নিউট্রিনো: এগুলো হলো খুব হালকা কণা, যা প্রায় সবকিছু ভেদ করে চলে যেতে পারে। এমনকি আমাদের শরীর ভেদ করেও এরা চলে যায়, কিন্তু আমরা টের পাই না! সূর্যের আলো তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে মহাকাশে বিস্ফোরণ পর্যন্ত, সবকিছুতেই নিউট্রিনো তৈরি হয়। এদের সম্পর্কে জানলে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে নক্ষত্ররা জন্মায় এবং মরে যায়।
-
ডার্ক ম্যাটার: এটি হলো এক ধরনের বিশেষ পদার্থ, যা আলো বিকিরণ করে না, তাই আমরা এদের দেখতে পাই না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মহাবিশ্বের বেশিরভাগ পদার্থই হলো ডার্ক ম্যাটার! এরা মহাকাশের বড় বড় গঠন, যেমন গ্যালাক্সি বা ছায়াপথগুলোকে একসাথে ধরে রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কে জানলে আমরা এই মহাবিশ্ব কীভাবে তৈরি হয়েছে, তা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব।
SURF ল্যাবে কী কী পরীক্ষা হয়?
SURF ল্যাবে অনেক উন্নত মানের যন্ত্র বসানো আছে। এই যন্ত্রগুলো নিউট্রিনো এবং ডার্ক ম্যাটারের মতো সূক্ষ্ম কণাগুলোকে শনাক্ত করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই ল্যাবে গিয়ে বিশাল আকারের সনাক্তকারী যন্ত্র (detector) ব্যবহার করেন। এই যন্ত্রগুলো মাটির তলার শান্ত পরিবেশে বসে মহাকাশ থেকে আসা অতি ক্ষুদ্র সংকেতগুলো ধরে ফেলে।
বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন কী?
বিজ্ঞানীরা SURF ল্যাবের মাধ্যমে মহাবিশ্বের অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চান। যেমন:
- নিউট্রিনো কীভাবে তৈরি হয়?
- মহাবিশ্বে ডার্ক ম্যাটার আসলে কী?
- আমাদের মহাবিশ্ব কি একা, নাকি এর মতো আরও অনেক মহাবিশ্ব আছে?
এইসব প্রশ্নের উত্তর পেলে আমরা আমাদের নিজেদের এবং আমাদের চারপাশের জগৎকে আরও ভালোভাবে জানতে পারব।
তোমারও কি এই সব জানতে ইচ্ছে করে?
বিজ্ঞানীদের এই কাজগুলো আমাদের মহাবিশ্বের রহস্যের দিকে এক একটি ধাপ। SURF ল্যাবের মতো আরও অনেক গবেষণাগার রয়েছে যেখানে বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। তুমিও যদি এই মহাবিশ্বের রহস্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হও, তাহলে বিজ্ঞান হতে পারে তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু! বই পড়ে, ভিডিও দেখে, বা বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তুমিও এই রোমাঞ্চকর জগতে প্রবেশ করতে পারো। কে জানে, হয়তো তুমিই একদিন মহাবিশ্বের কোনো বড় রহস্যের সমাধান করে ফেলবে!
Stepping into SURF, the underground lab, and the fabric of our universe
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-27 22:04 এ, Fermi National Accelerator Laboratory ‘Stepping into SURF, the underground lab, and the fabric of our universe’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।