দ্বিতীয় মন্দির, তৃতীয় মন্দির, সুসুমু শ্রাইন: এক মনোমুগ্ধকর ঐতিহাসিক যাত্রা


দ্বিতীয় মন্দির, তৃতীয় মন্দির, সুসুমু শ্রাইন: এক মনোমুগ্ধকর ঐতিহাসিক যাত্রা

প্রকাশকাল: ১৭ জুলাই, ২০২৫, সকাল ৯:০৮ উৎস: পর্যটন সংস্থা বহুভাষিক ব্যাখ্যা ডাটাবেস

পর্যটকদের জন্য এক অসাধারণ খবর! জাপানের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সাক্ষী হয়ে, বহু প্রতীক্ষিত ‘দ্বিতীয় মন্দির, তৃতীয় মন্দির, সুসুমু শ্রাইন’ (第二宮 第三宮 須須神社) এখন পর্যটন সংস্থা বহুভাষিক ব্যাখ্যা ডাটাবেস-এ প্রকাশিত হয়েছে। এই তথ্যটি ১৭ জুলাই, ২০২৫, সকাল ৯:০৮-এ জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ করা হয়েছে, যা পর্যটকদের মধ্যে দারুণ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এই নিবন্ধে আমরা এই ঐতিহাসিক স্থানটির তাৎপর্য, এর সাথে জড়িত কিংবদন্তী এবং কেন আপনার পরবর্তী ভ্রমণের গন্তব্য হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করব।

‘দ্বিতীয় মন্দির, তৃতীয় মন্দির, সুসুমু শ্রাইন’ কি?

এই শ্রাইনটি জাপানের শিমানে প্রিফেকচারের ওকি দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত। এটি জাপানের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শ্রাইনগুলির মধ্যে একটি। এর নামের মধ্যেই এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিহিত:

  • দ্বিতীয় মন্দির ও তৃতীয় মন্দির: এই শ্রাইনটি জাপানের কিনোকো (祭祀) প্রথার একটি অংশ, যেখানে সম্রাট বা রাজপরিবার কর্তৃক আয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি অনুষ্ঠিত হত। ‘দ্বিতীয় মন্দির’ এবং ‘তৃতীয় মন্দির’ নামগুলো নির্দেশ করে যে এটি জাপানের ধর্মীয় কাঠামোর মধ্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এটি সম্ভবত সেই সময়ের রাজকীয় অনুশাসনের একটি অংশ ছিল যেখানে প্রধান দেবদেবীদের উপাসনার জন্য নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে শ্রাইনগুলি স্থাপিত হত।
  • সুসুমু শ্রাইন (須須神社): ‘সুসুমু’ নামটি স্থানীয় জাপানি উপভাষায় একটি বিশেষ অর্থ বহন করে, যা সম্ভবত এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা এর সাথে জড়িত কোন পৌরাণিক কাহিনীর সাথে সম্পর্কযুক্ত।

ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য:

সুসুমু শ্রাইন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, এটি জাপানের পৌরাণিক ইতিহাস, পুরাণ এবং প্রাচীন ধর্মীয় রীতিনীতির এক জীবন্ত প্রমাণ।

  • পুরাণ ও কিংবদন্তী: এই শ্রাইনটি জাপানের আদিম দেবদেবী, যেমন আমাৎসু কামি (天つ神) বা স্বর্গীয় দেবতাদের উপাসনার সাথে জড়িত। জাপানের সৃষ্টির পৌরাণিক কাহিনী এবং সম্রাটদের ঐশ্বরিক উৎপত্তির গল্পগুলির সাথে এর গভীর সংযোগ রয়েছে। কিংবদন্তী অনুসারে, জাপানের প্রথম সম্রাট জিনমু (神武天皇) তাঁর অভিযানে এই অঞ্চলে এসেছিলেন এবং এখানকার দেবদেবীদের পূজা করেছিলেন।
  • প্রাচীনতম শ্রাইনগুলির মধ্যে অন্যতম: ওকি দ্বীপপুঞ্জের বিচ্ছিন্ন অবস্থান এটিকে দীর্ঘকাল ধরে বাহ্যিক প্রভাব থেকে রক্ষা করেছে, যার ফলে এখানকার অনেক ঐতিহ্য ও রীতিনীতি প্রাচীন রূপ ধরে রেখেছে। সুসুমু শ্রাইন এই প্রাচীনত্ব এবং ধারাবাহিকতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
  • শিন্তো ধর্মের গুরুত্ব: শিন্তো ধর্ম জাপানের indigenous ধর্ম এবং প্রকৃতির প্রতি ভক্তি এর মূল ভিত্তি। সুসুমু শ্রাইন শিন্তো ধর্মের সেই আদিম অনুভূতি এবং প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগের প্রতিনিধিত্ব করে।

পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ:

যারা জাপানের ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক দিকগুলি অন্বেষণ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য সুসুমু শ্রাইন এক অপরিহার্য গন্তব্য।

  • ঐতিহাসিক পরিবেশ: শ্রাইনটির চারপাশের পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত ও পবিত্র। এখানকার প্রাচীন গাছপালা, পাথরের তৈরি পথ এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য আপনাকে কয়েক শতাব্দী আগের এক জগতে নিয়ে যাবে।
  • বিশেষ উৎসব ও অনুষ্ঠান: বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে এখানে বিশেষ উৎসব (祭り – Matsuri) অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আপনি ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত, নৃত্য এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন। এই উৎসবগুলি জাপানি সংস্কৃতির এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: ওকি দ্বীপপুঞ্জ তার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। শ্রাইনটি যে অঞ্চলে অবস্থিত, সেটিও সবুজ উপত্যকা এবং নির্মল পরিবেশের জন্য বিখ্যাত।
  • বহুভাষিক ব্যাখ্যা: পর্যটন সংস্থা বহুভাষিক ব্যাখ্যা ডাটাবেস-এ প্রকাশিত হওয়ায়, দেশি ও বিদেশি পর্যটকরা এখন আরও সহজে এই শ্রাইন সম্পর্কে জানতে পারবেন। এটি পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে, কারণ তারা শ্রাইনটির ইতিহাস, তাৎপর্য এবং কিংবদন্তীগুলি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

কিভাবে যাবেন:

ওকি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর জন্য সাধারণত মাৎসুয়ে (Matsue) বা সাকাইমিনাতো (Sakaiminato) বন্দর থেকে ফেরি পরিষেবা ব্যবহার করা হয়। দ্বীপের মধ্যে চলাচলের জন্য বাস বা গাড়ি ভাড়া করার সুবিধা রয়েছে।

ভ্রমণের পরিকল্পনা:

  • প্রস্তুতি: শ্রাইন পরিদর্শনের জন্য আরামদায়ক পোশাক এবং জুতো পরা বাঞ্ছনীয়।
  • শ্রদ্ধা: এটি একটি ধর্মীয় স্থান, তাই এখানকার রীতিনীতি এবং শান্ত পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত।
  • জ্ঞানার্জন: ডাটাবেস থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলির সাহায্য নিয়ে আপনি আপনার ভ্রমণকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারেন।

‘দ্বিতীয় মন্দির, তৃতীয় মন্দির, সুসুমু শ্রাইন’ শুধু একটি দর্শনীয় স্থান নয়, এটি জাপানের আত্মিক যাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২০২৫ সালের এই ঘোষণা পর্যটকদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। যারা জাপানের গভীর ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার সাথে পরিচিত হতে চান, তাদের জন্য এই শ্রাইনটি অবশ্যই একটি অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। আপনার পরবর্তী জাপান ভ্রমণে এই অসাধারণ স্থানটি যুক্ত করতে ভুলবেন না!


দ্বিতীয় মন্দির, তৃতীয় মন্দির, সুসুমু শ্রাইন: এক মনোমুগ্ধকর ঐতিহাসিক যাত্রা

এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-17 09:08 এ, ‘দ্বিতীয় মন্দির, তৃতীয় মন্দির, সুসুমু শ্রাইন’ প্রকাশিত হয়েছে 観光庁多言語解説文データベース অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।


305

মন্তব্য করুন