
অগ্রগতির পথে দিশারী: কিন্তু কেন এখনও বহু দূর যেতে হবে? – ২০২৫ সালের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এক বিশ্লেষণ
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) বিশ্বজুড়ে অগ্রগতি ও মানবকল্যাণের এক মহৎ অঙ্গীকার। ২০৩০ সালের মধ্যে একটি উন্নত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে গৃহীত এই ১৫টি লক্ষ্যমাত্রা বিশ্বকে একটি সঠিক দিশা দেখানোর কথা। কিন্তু ১৪ জুলাই, ২০২৫ তারিখে জাতিসংঘের সংবাদে প্রকাশিত তথ্য আমাদের এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করে দেয় – অনেক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাই এখনো কাঙ্ক্ষিত পথে এগোতে পারেনি।
এই প্রতিবেদনটি স্পষ্টতই বলছে যে, যদিও এসডিজিগুলি একটি “অগ্রগতির দিশারী” হিসেবে কাজ করছে, তবুও অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এখনও লক্ষ্যমাত্রা থেকে যোজন যোজন দূরে। এর অর্থ হল, বিশ্বব্যাপী বহু মানুষ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অসমতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুতর সমস্যাগুলির শিকার। এই লক্ষ্যমাত্রাগুলির অর্জন কেবল উন্নত দেশগুলির জন্য নয়, বরং বিশ্বের প্রতিটি কোণে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য।
কেন এই পিছিয়ে পড়া? কারণগুলি অনুসন্ধান:
প্রতিবেদনটি নির্দিষ্টভাবে কোন কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার কথা বলছে তা বিস্তারিত না জানালেও, আমরা বেশ কিছু সাধারণ কারণ অনুমান করতে পারি যা এই ধরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধা সৃষ্টি করে:
- অপর্যাপ্ত অর্থায়ন: এসডিজি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক দেশই তাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এই ব্যয় বহন করতে পারছে না, এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার পরিমাণও অনেক সময় যথেষ্ট নয়।
- কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব: বিগত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী মহামারী অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। অনেক দেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে পিছিয়ে পড়েছে এবং দারিদ্র্যের হার বেড়েছে।
- ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সংঘাত: যুদ্ধ, সংঘাত এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা এসডিজি অর্জনের পথে বড় বাধা। সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রায়শই বন্ধ হয়ে যায় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, খরা, এবং ঘূর্ণিঝড়, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়।
- নীতি বাস্তবায়নের দুর্বলতা: অনেক সময় ভালো নীতি থাকলেও তার সঠিক বাস্তবায়ন হয় না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দুর্নীতির অভিযোগ এবং জনসচেতনতার অভাবও এসডিজি অর্জনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
- অসমতা: বিশ্বজুড়ে এবং দেশগুলির মধ্যেও ক্রমবর্ধমান অসমতা এসডিজি অর্জনের পথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বৈষম্য দূর না হলে, সমাজের সকল স্তরের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অগ্রগতির পথ এখনও খোলা:
যদিও প্রতিবেদনটি একটি সতর্কবাণী, এটি আমাদের হতাশ হওয়ার জন্য নয়, বরং নতুন করে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার জন্য উৎসাহিত করে। এসডিজিগুলি এখনও আমাদের সামনে একটি স্পষ্ট পথনির্দেশিকা রেখেছে। প্রয়োজন আরও জোরদার রাজনৈতিক সদিচ্ছা, কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
- সমন্বিত প্রচেষ্টা: সরকার, বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ এবং ব্যক্তি প্রত্যেকেরই এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
- উদ্ভাবনী সমাধান: নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী ধারণা এবং সৃজনশীল পদ্ধতির ব্যবহার এসডিজি অর্জনের গতি বাড়াতে পারে।
- গণসচেতনতা বৃদ্ধি: এসডিজি সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। যখন সাধারণ মানুষ এই লক্ষ্যমাত্রাগুলির গুরুত্ব বুঝবে, তখন সরকার ও নীতি নির্ধারকদের উপর চাপ সৃষ্টি হবে তাদের কার্যকর করার জন্য।
- অসমতা মোকাবেলা: বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি এবং সকল স্তরের মানুষের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা এসডিজি অর্জনের জন্য অপরিহার্য।
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনটি একটি আয়নার মতো, যা আমাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সচেতন করে। এসডিজিগুলি ২০৩০ সালের একটি স্বপ্ন হলেও, এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের প্রত্যেককেই আজই কাজ শুরু করতে হবে। এই “অগ্রগতির দিশারী”কে অনুসরণ করে আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।
‘A compass towards progress’ – but key development goals remain way off track
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
‘‘A compass towards progress’ – but key development goals remain way off track’ SDGs দ্বারা 2025-07-14 12:00 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।