
স্রেব্রেনিৎসা, ৩০ বছর পর: সত্য, ন্যায়বিচার এবং সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তাগণ ও ভুক্তভোগীরা
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত: ২০২২ সালের ৮ই জুলাই, ১২:০০ ঘটিকা
আজ স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনার ৩০ বছর পূর্তিতে, জাতিসংঘের কর্মকর্তাগণ এবং বেঁচে যাওয়া ভুক্তভোগীরা এক সুরে সত্য, ন্যায়বিচার এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্বব্যাপী সতর্কতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি কেবল বসনিয়ার ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় নয়, বরং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি স্থায়ী অনুস্মারক।
১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে, বসনিয়ার যুদ্ধ চলাকালীন, স্রেব্রেনিৎসা শহরটি সার্ব বাহিনীর হাতে পতিত হয়। সেখানে প্রায় ৮,০০০ বসনিয়াক পুরুষ এবং বালককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের মাটিতে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী তখন সেখানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তারা এই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর লজ্জা ও অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩০ বছর অতিক্রান্ত হলেও, স্রেব্রেনিৎসার ভয়াবহ স্মৃতি আজও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মনে তাজা। যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তারা এখনো ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তাগণ এই দীর্ঘসূত্রিতার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তারা বলেছেন যে, ন্যায়বিচার কেবল ক্ষতিগ্রস্তদের মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনবে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে যে এ ধরণের মানবতাবিরোধী অপরাধ কখনো ক্ষমা করা হবে না।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, (কাল্পনিক নাম), তাঁর বক্তব্যে বলেন, “স্রেব্রেনিৎসা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ঘৃণা ও বিদ্বেষের বিস্তার কত ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এই গণহত্যা আমাদের শিখিয়েছে যে শান্তি ও সহনশীলতা বজায় রাখার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা অপরিহার্য। যারা এই ভয়াবহ ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। আমরা তাদের প্রতি দায়বদ্ধ যে আমরা সত্য উদঘাটন করব এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করব।”
বেঁচে যাওয়া ভুক্তভোগীরাও এই অনুষ্ঠানে তাদের মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা তাদের প্রিয়জনদের হারানোর বেদনা এবং যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা বয়ে বেড়ানো মানসিক আঘাতের কথা বর্ণনা করেন। তাদের উপস্থিতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করে, যা তাদের এই মর্মান্তিক ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করে এবং একই সাথে এই ধরণের নৃশংসতা যাতে আর কখনো না ঘটে সে বিষয়ে সচেতন করে তোলে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতার প্রয়োজনীয়তার উপরও বিশেষ আলোকপাত করেন। তারা বলেন যে, উগ্র জাতীয়তাবাদ, ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং জাতিগত বিদ্বেষ বিশ্বজুড়ে এখনো বিভিন্ন রূপে বিদ্যমান। এই ধরণের প্রবণতাগুলোকে শুরুতেই চিহ্নিত করে প্রতিহত করা অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষা, সহনশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এই সবকিছুর মূলে থাকা প্রয়োজন।
স্রেব্রেনিৎসা স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি কেবল একটি স্মারক অনুষ্ঠান ছিল না, বরং এটি ছিল একটি প্রতিজ্ঞার নবায়ন। জাতিসংঘ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো স্রেব্রেনিৎসার ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শান্তি, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ৩০ বছর পর, স্রেব্রেনিৎসার ন্যায়বিচার কেবল বসনিয়ার জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই মর্মান্তিক অধ্যায় থেকে আমাদের অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি নিরাপদ ও সহনশীল বিশ্ব উপহার দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
Srebrenica, 30 years on: UN officials and survivors call for truth, justice and vigilance
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
‘Srebrenica, 30 years on: UN officials and survivors call for truth, justice and vigilance’ Human Rights দ্বারা 2025-07-08 12:00 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।