
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ৭ই জুন প্রকাশিত “বধির হওয়ার কারণে stigmatised: Zénabou’s story” শীর্ষক সংবাদ নিবন্ধ অনুসারে, জেনাবুর গল্পটি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে সেই সংবাদের ওপর ভিত্তি করে একটি বিস্তারিত নিবন্ধ দেওয়া হলো:
বধিরতার অভিশাপ: জেনাবুর জীবন সংগ্রাম
জেনাবু, একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী নারী। সমাজের চোখে তিনি শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি যেন এক জীবন্ত উদাহরণ, যেখানে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয় সামাজিক stigmatism বা কলঙ্কের বিরুদ্ধে। জেনাবুর এই গল্পটি মূলত বধির হওয়ার কারণে সমাজের তৈরি করা বাধা এবং সেই বাধা অতিক্রম করার অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রতিচ্ছবি।
আফ্রিকার কোনো একটি দরিদ্র জনপদে জেনাবুর বাস। ছোটবেলা থেকেই তিনি কানে কম শুনতেন, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তার শ্রবণক্ষমতা পুরোপুরি হ্রাস পায়। দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা তার কাছে ছিল কল্পনাতীত। ধীরে ধীরে তিনি সমাজের মূল স্রোত থেকে ছিটকে পড়েন। স্বাভাবিক জীবনযাপন তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
সমস্যা শুরু হয় তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়। সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে অসুবিধা হওয়ায় তিনি একাকীত্বে ভুগতে শুরু করেন। স্থানীয় মানুষজন তাকে এড়িয়ে চলতো, কারণ তারা মনে করতো জেনাবু হয়তো তাদের কথা বুঝতে পারবে না। স্কুলে যেতে না পারায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তিনি। এমনকি, পরিবারের সদস্যরাও তাকে বোঝা মনে করতে শুরু করে।
তবে জেনাবু হার মানেননি। তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন, নিজের জীবনকে তিনি নিজেই পরিবর্তন করবেন। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় তিনি সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ (ইশারা ভাষা) শেখেন। এই ভাষা তাকে অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে। ধীরে ধীরে তিনি নিজের মতো আরও অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হন, যারা শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তাদের সাথে জেনাবু একটি নতুন জগৎ খুঁজে পান।
এরপর জেনাবু বধির শিশুদের জন্য একটি স্কুল খোলার স্বপ্ন দেখেন। তিনি বুঝতে পারেন, শিক্ষার মাধ্যমেই এই শিশুদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তিনি তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন। নিজের অভিজ্ঞতা আর অর্জিত জ্ঞান দিয়ে তিনি শিশুদের শেখাতে শুরু করেন।
বর্তমানে জেনাবু একজন সফল শিক্ষিকা এবং সমাজকর্মী। তিনি শুধু নিজের জীবনকেই পরিবর্তন করেননি, বরং তার মতো আরও অনেক মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। জেনাবুর গল্প আমাদের শেখায়, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না। প্রয়োজন শুধু অদম্য সাহস, চেষ্টা আর ইতিবাচক মানসিকতা।
জাতিসংঘের এই নিবন্ধে জেনাবুর জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার এবং সম্মানজনক জীবন যাপনের বার্তা দেয়। জেনাবুর মতো মানুষগুলো প্রমাণ করে যে, সুযোগ পেলে তারাও সমাজে অবদান রাখতে সক্ষম। প্রয়োজন শুধু তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা এবং তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা।
Stigmatised for being deaf: Zénabou’s story
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-07 12:00 এ, ‘Stigmatised for being deaf: Zénabou’s story’ Top Stories অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।
67