ভূমিকা:,GOV UK


এসিএমডি ৩-বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ থেকে ২০২৮: কমিশনপত্র (ACMD 3-year work programme 2025 to 2028: commissioning letter) নিয়ে একটি নিবন্ধ নিচে দেওয়া হলো:

ভূমিকা:

২ জুন, ২০২৫ তারিখে যুক্তরাজ্যের সরকার ‘এসিএমডি ৩-বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ থেকে ২০২৮: কমিশনপত্র’ প্রকাশ করেছে। এই কমিশনপত্রটি অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল অন দ্য মিসইউজ অফ ড্রাগস (Advisory Council on the Misuse of Drugs – ACMD)-এর ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে কাজের অগ্রাধিকার এবং ক্ষেত্রগুলো নির্ধারণ করে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য এসিএমডি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এই কর্মপরিকল্পনাটি মূলত মাদক-সংক্রান্ত নীতি এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোকে বাস্তবায়িত করতে এসিএমডি-কে একটি কাঠামো প্রদান করবে।

কর্মপরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য:

এই ৩-বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • মাদক ব্যবহারের প্রবণতা বোঝা: বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্যের ব্যবহার এবং এর পরিবর্তনের ধারা সম্পর্কে সরকারকে অবগত করা, যাতে সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে পারে।
  • নতুন মাদক এবং ঝুঁকি চিহ্নিত করা: বাজারে আসা নতুন মাদক এবং সেগুলো ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে সরকারকে জানানো, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
  • প্রমাণ-ভিত্তিক পরামর্শ প্রদান: মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার কমাতে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর নীতি প্রণয়নের জন্য সরকারকে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং নির্ভরযোগ্য পরামর্শ দেওয়া।
  • সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি: মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো।

কাজের ক্ষেত্রসমূহ:

কমিশনপত্রে এসিএমডি-র কাজের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে:

  1. মাদকদ্রব্যের ব্যবহার এবং প্রবণতা পর্যবেক্ষণ: বিভিন্ন ডেটা উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কোন মাদক বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ব্যবহারের ধরনে কী পরিবর্তন আসছে, তা নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদক ব্যবহারের প্রবণতা এবং এর কারণগুলো বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা।

  2. নতুন সাইকোঅ্যাক্টিভ পদার্থ (NPS) মূল্যায়ন: বাজারে আসা নতুন সাইকোঅ্যাক্টিভ পদার্থগুলোর রাসায়নিক গঠন, ফার্মাকোলজিক্যাল প্রভাব এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন করা। এই পদার্থগুলো ব্যবহারের ফলে কী ধরনের সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে সরকারকে জানানো।

  3. ক্যানাবিস (Cannabis) এবং ক্যানাবিনয়েডস (Cannabinoids) নিয়ে গবেষণা: ক্যানাবিস এবং ক্যানাবিনয়েডস-এর ব্যবহার, স্বাস্থ্যগত প্রভাব এবং আইনি দিকগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করা এবং সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।

  4. ওপিওডস (Opioids) এবং ব্যথানাশক ওষুধ (Pain Medication): ব্যথানাশক ওষুধ এবং ওপিওডস-এর ব্যবহার এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং এই বিষয়ে কার্যকর সমাধান খোঁজা।

  5. মাদকাসক্তির চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন: মাদকাসক্তদের জন্য উন্নত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।

  6. মাদক-সংক্রান্ত অপরাধ এবং আইন: মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের ধরণ এবং মাদক আইনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা এবং এ বিষয়ে সরকারকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা।

গুরুত্ব:

এই কর্মপরিকল্পনাটি যুক্তরাজ্যের মাদক-সংক্রান্ত নীতি এবং জনস্বাস্থ্য কৌশলগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসিএমডি-র পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে সরকার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার কমাতে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আসক্ত ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে। এছাড়াও, এটি মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত গবেষণাকে উৎসাহিত করবে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে সহায়তা করবে।

উপসংহার:

এসিএমডি-র এই ৩-বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সংক্রান্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সরকারের নীতি নির্ধারণে সহায়তা করা হবে। এই কর্মপরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।


ACMD 3-year work programme 2025 to 2028: commissioning letter


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-02 11:06 এ, ‘ACMD 3-year work programme 2025 to 2028: commissioning letter’ GOV UK অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।


463

মন্তব্য করুন