ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা কি জানো? আমাদের পৃথিবীর আবহাওয়া নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কতটা মজার হতে পারে!,Massachusetts Institute of Technology


ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা কি জানো? আমাদের পৃথিবীর আবহাওয়া নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কতটা মজার হতে পারে!

মাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (MIT) বিজ্ঞানীরা একটি দারুণ আবিষ্কার করেছেন! তারা দেখেছেন যে, অনেক সময় খুব সহজ নিয়মকানুন দিয়ে তৈরি করা মডেল, আমাদের পৃথিবীর আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য অত্যাধুনিক ও অনেক বেশি জটিল কম্পিউটার মডেলের থেকেও ভালো কাজ করতে পারে। ভাবা যায়?

বিজ্ঞানীরা কী করছেন?

আমাদের পৃথিবীটা একটা বিশাল বলের মতো, যেখানে নানা রকম জিনিস ঘটছে। কোথাও গরম, কোথাও ঠান্ডা, কোথাও ঝড়, কোথাও বৃষ্টি। এই সবকিছুর একটা নিয়ম আছে, যা বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করেন। এই নিয়মগুলোকে ‘মডেল’ বলা হয়।

কল্পনা করো, তুমি একটি খেলনা গাড়ি চালাচ্ছ। গাড়িটা কীভাবে চলবে, সেটা নির্ভর করে তুমি অ্যাক্সিলারেটর (গতি বাড়ানোর প্যাডেল) কতটা চাপছ, ব্রেক কতটা লাগাচ্ছ, বা স্টিয়ারিং (ঘোরানোর চাকা) কীভাবে ঘোরাচ্ছ তার উপর। ঠিক তেমনি, পৃথিবীর আবহাওয়াও নানা জিনিসের উপর নির্ভর করে, যেমন – সূর্যের আলো, সমুদ্রের জল, বাতাসের গতি, মেঘের পরিমাণ ইত্যাদি।

বিজ্ঞানীরা এই সবকিছুর জন্য জটিল সব কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেন, যেগুলোকে ‘ডিপ লার্নিং’ মডেল বলা হয়। এই মডেলগুলো অনেক অনেক তথ্য (ডেটা) ব্যবহার করে শেখে এবং তারপর আমাদের বলে দেয় আগামী দিনে কেমন আবহাওয়া হতে পারে। যেমন, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি হবে কিনা, বা শীতকালে কেমন ঠান্ডা পড়বে।

কিন্তু MIT-এর বিজ্ঞানীরা কী দেখেছেন?

তারা দেখেছেন যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে, এই বিশাল ও জটিল ডিপ লার্নিং মডেলগুলোর চেয়ে, অনেক সহজ কিছু নিয়ম দিয়ে তৈরি মডেল অনেক ভালো পূর্বাভাস দিতে পারে।

এটা কীভাবে সম্ভব?

এটা অনেকটা এমন যে, তুমি যখন অঙ্ক করছ, তখন হয়তো তুমি ক্যালকুলেটর ব্যবহার না করে, হাতে হাতে কিছু সহজ হিসাব করেই সঠিক উত্তর পেয়ে গেলে। এক্ষেত্রে, হাতে হাতে করা সহজ হিসাবটাই ক্যালকুলেটরের চেয়ে দ্রুত এবং সঠিক হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অনেক সময় ডিপ লার্নিং মডেলগুলো এত বেশি তথ্য নিয়ে কাজ করে যে, তারা আসল বিষয়টাকেই হারিয়ে ফেলে। ঠিক যেমন, অনেক বেশি খেলনা থাকলে তুমি কোনটা নিয়ে খেলবে, সেটাই ঠিক করতে পারছ না। কিন্তু সহজ মডেলগুলো, কিছু জরুরি নিয়মের উপর জোর দিয়ে, আসল ছবিটা দেখতে সাহায্য করে।

এতে আমাদের কী লাভ?

  1. আরও সঠিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস: যদি সহজ মডেলগুলো ভালো কাজ করে, তাহলে আমরা আরও নির্ভুলভাবে জানতে পারব আগামী দিনে আমাদের পৃথিবীর আবহাওয়া কেমন থাকবে। এটা কৃষকদের জন্য খুবই দরকারি, কারণ তারা সেই অনুযায়ী ফসল ফলাতে পারবে।
  2. জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা: পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, যা আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। বিজ্ঞানীরা এই সহজ মডেলগুলো ব্যবহার করে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন কেন এমন হচ্ছে এবং কীভাবে আমরা একে আটকাতে পারি।
  3. কম্পিউটার শক্তির সাশ্রয়: জটিল মডেল চালানোর জন্য অনেক বেশি শক্তিশালী কম্পিউটার লাগে এবং অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয়। সহজ মডেল ব্যবহার করলে আমাদের কম শক্তি খরচ করে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
  4. বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো: এই আবিষ্কার দেখায় যে, বিজ্ঞানে সবসময় নতুন কিছু শেখার আছে। আমরা সবসময় জটিল জিনিস খুঁজলেও, কখনও কখনও সহজ জিনিসগুলোই আমাদের বড় সমস্যার সমাধান দিতে পারে।

ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা কি মনে করো?

তোমরাও কি কখনও মজার কোনও খেলা বা পাজল (ধাঁধা) সমাধান করেছ যেখানে সহজ নিয়মই সবচেয়ে বেশি কার্যকর ছিল? বিজ্ঞানের এই নতুন আবিষ্কার আমাদের সেটাই মনে করিয়ে দেয়। তোমরাও যদি প্রকৃতির নিয়মগুলো নিয়ে ভাবতে শুরু করো, নতুন কিছু নিয়ে প্রশ্ন করো, তাহলে হয়তো একদিন তোমরাও এমন কোনো দারুণ আবিষ্কার করে ফেলতে পারো!

তাই, আগামী দিনে যখন তোমরা মেঘ দেখবে, বৃষ্টিতে ভিজবে বা রোদে ঘুরবে, তখন মনে রেখো, আমাদের এই পৃথিবীটা কত সুন্দর আর রহস্যময়! আর বিজ্ঞানীরা সবসময়ই চেষ্টা করছেন এই রহস্যগুলোকে সহজভাবে জানার, যাতে আমরা আমাদের পৃথিবীর ভালো যত্ন নিতে পারি।


Simpler models can outperform deep learning at climate prediction


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-26 13:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Simpler models can outperform deep learning at climate prediction’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন