যুদ্ধের মাঝেও কেন দেশগুলো একে অপরের সাথে ব্যবসা করে? সহজ ভাষায় জানুন!,Massachusetts Institute of Technology


যুদ্ধের মাঝেও কেন দেশগুলো একে অপরের সাথে ব্যবসা করে? সহজ ভাষায় জানুন!

MIT-এর নতুন বই বলছে, শত্রুতা আর ব্যবসার পথ আলাদা হতে পারে!

ধরুন, আপনার দুই বন্ধু আছে। তারা একে অপরের উপর খুব রেগে আছে, একে অপরের সাথে কথা বলতেও চায় না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, একজন বন্ধুর কাছে যা আছে, অন্য বন্ধুর সেটা খুব দরকার। আর অন্য বন্ধুর কাছে যা আছে, সেটা প্রথম বন্ধুর দরকার। তাহলে কী হবে? তারা কি সারাজীবন একে অপরের জিনিস ব্যবহার করতে পারবে না?

আমাদের পৃথিবীটাও অনেকটা সেরকম। বিভিন্ন দেশের মধ্যে কখনো কখনো যুদ্ধ বা ঝগড়া হয়, কিন্তু তবুও তারা একে অপরের সাথে জিনিসপত্র আদান-প্রদান করে, যাকে আমরা বলি ‘ব্যবসা’ বা ‘বাণিজ্য’। কেন এমন হয়? Massachusetts Institute of Technology (MIT)-এর একজন গবেষক, মারিয়া গ্রিনবার্গ, একটি নতুন বই লিখেছেন যার নাম “Why countries trade with each other while fighting”। এই বইটি খুব সহজভাবে এই প্রশ্নটার উত্তর দেয়।

কেন আমরা ব্যবসা করি?

খুব সহজ কথায়, ব্যবসা আমরা করি কারণ আমাদের যা দরকার, সব জিনিস আমরা নিজেরা তৈরি করতে পারি না।

  • বিশেষত্ব: কিছু দেশ নির্দিষ্ট কিছু জিনিস তৈরি করতে খুব ভালো। যেমন, হয়তো কোনো দেশ খুব ভালো চা বানাতে পারে, কিন্তু অন্য কোনো দেশ হয়তো খুব ভালো ইলেকট্রনিক্স জিনিস তৈরি করতে পারে।
  • কম খরচে তৈরি: কখনো কখনো কোনো জিনিস অন্য দেশে তৈরি করা আমাদের দেশে তৈরি করার চেয়ে অনেক সস্তা হয়। যেমন, আমাদের দেশে হয়তো জুতো তৈরি করতে বেশি খরচ হবে, কিন্তু অন্য কোনো দেশে কম খরচে ভালো জুতো তৈরি হয়।
  • প্রাকৃতিক সম্পদ: কিছু দেশে এমন কিছু জিনিস পাওয়া যায় যা অন্য দেশে পাওয়া যায় না। যেমন, তেল, কয়লা বা কিছু বিশেষ ধরনের পাথর।

এই কারণগুলোর জন্য, দেশগুলো একে অপরের কাছ থেকে জিনিস কেনে বা তাদের নিজেদের তৈরি জিনিস অন্য দেশে বিক্রি করে।

কিন্তু যুদ্ধ বা ঝগড়া হলে তো ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা?

এটাই হলো সবচেয়ে মজার প্রশ্ন! মারিয়া গ্রিনবার্গ বলছেন, সবসময় এমনটা হয় না। এর পেছনে কিছু কারণ আছে:

  1. প্রয়োজনীয় জিনিস: কিছু জিনিস এতটাই দরকারি যে যুদ্ধ চললেও দেশগুলো সেগুলো ছাড়া থাকতে পারে না। যেমন, খাবার, ওষুধ বা কিছু জরুরি যন্ত্রাংশ। এগুলো বন্ধ করে দিলে সাধারণ মানুষের খুব কষ্ট হবে।

  2. ব্যবসায়ীদের লাভ: যারা ব্যবসা করেন, তারা সবসময় লাভের চিন্তা করেন। যুদ্ধ চললে হয়তো একটু কঠিন হয়, কিন্তু তারা নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করেন যাতে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া যায়। তারা হয়তো অন্য দেশের মাধ্যমে জিনিসপত্র পাঠাতে পারেন।

  3. শান্তির আশা: কখনো কখনো, ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া যুদ্ধের মধ্যে শান্তির একটা ছোট্ট আশাও জাগিয়ে রাখতে পারে। যদি দেশগুলো একে অপরের কাছ থেকে কিছু না কিছু পেতেই থাকে, তাহলে হয়তো সরাসরি লড়াইয়ে না গিয়ে অন্যভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে পারে।

  4. নিয়ম-কানুন: আন্তর্জাতিক কিছু নিয়ম-কানুন আছে, যা যুদ্ধ চলাকালীনও কিছু নির্দিষ্ট ধরনের বাণিজ্যের অনুমতি দেয়।

এটা কি বিজ্ঞান?

হ্যাঁ, এটা বিজ্ঞানেরই একটা অংশ! একে বলে অর্থনীতি (Economics)। অর্থনীতিবিদরা বোঝার চেষ্টা করেন কিভাবে মানুষ এবং দেশগুলো তাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করে। কেনা-বেচা, লাভ-ক্ষতি, অভাব-অনটন, এই সবকিছুই অর্থনীতির অংশ। মারিয়া গ্রিনবার্গ এই বইটি লিখে এই জটিল বিষয়টিকে সহজ করে তুলে ধরেছেন।

তো, আমরা কি শিখলাম?

আমরা শিখলাম যে, দেশগুলো শুধুমাত্র বন্ধু হলেই ব্যবসা করে না। অনেক সময় শত্রুতা থাকলেও, কিছু বিশেষ কারণে বা প্রয়োজনে তাদের একে অপরের সাথে ব্যবসা করতেই হয়। এই ব্যবসাগুলো আমাদের জীবনকে সহজ করে তোলে এবং কখনো কখনো কঠিন সময়েও শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

এই বইটি হয়তো তোমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগাবে, “আমিও বড় হয়ে অর্থনীতির কথা জানতে চাই!” বা “আমিও এমন কিছু আবিষ্কার করতে চাই যা আমাদের পৃথিবীর জন্য ভালো।” বিজ্ঞানের দরজা সবার জন্য খোলা, আর এইরকম মজার মজার প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মধ্যেই লুকিয়ে আছে বিজ্ঞান।


Why countries trade with each other while fighting


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-28 04:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Why countries trade with each other while fighting’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন