
মহাকাশে ভেনাস বা মঙ্গল গ্রহের মতো বায়ুমণ্ডল সহ অন্য কোনো গ্রহ কি আছে? নতুন এক গবেষণায় জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য!
মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া – আমাদের সৌরজগতের বাইরে, যেখানে সূর্য থেকে সঠিক দূরত্বে জীবন ধারণের উপযোগী বলে মনে করা গ্রহগুলো (habitable zone) আছে, সেখানে ভেনাস বা মঙ্গল গ্রহের মতো বায়ুমণ্ডল থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)-এর বিজ্ঞানীরা এই চাঞ্চল্যকর তথ্য আবিষ্কার করেছেন। MIT-এর গবেষকরা TRAPPIST-1e নামের একটি গ্রহ নিয়ে গবেষণা করেছেন, যা আমাদের পৃথিবীর মতোই বাসযোগ্য অঞ্চলে অবস্থিত।
TRAPPIST-1e গ্রহ কি?
TRAPPIST-1e হলো একটি এক্সোপ্ল্যানেট। এক্সোপ্ল্যানেট হলো আমাদের সৌরজগতের বাইরের গ্রহ, যা অন্য কোনো নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। TRAPPIST-1e প্রায় 40 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, যা মহাকাশের হিসাবে খুব বেশি দূরে নয়। এই গ্রহটি TRAPPIST-1 নামক একটি শীতল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। এটি এমন একটি দূরত্বে রয়েছে যেখানে তরল জল পৃষ্ঠে থাকতে পারে, যা জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণার ফলাফল কী বলছে?
MIT-এর বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে TRAPPIST-1e গ্রহের বায়ুমণ্ডল কেমন হতে পারে, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তারা দেখেছেন যে, এই গ্রহটিতে যদি ভেনাস বা মঙ্গলের মতো বায়ুমণ্ডল থাকে, তাহলে তা আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মতো অতটা ঘন বা পাতলা হবে না।
-
কেন এমন হলো? বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, TRAPPIST-1e গ্রহটির নক্ষত্রটি আমাদের সূর্যের চেয়ে অনেক বেশি ঠান্ডা এবং ম্লান। এই কারণে, গ্রহটির উপর সূর্যের আলো কম পড়ে। ফলে, গ্রহের তাপমাত্রা কম থাকে এবং বায়ুমণ্ডল ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পায় না।
-
জীবন ধারণের সম্ভাবনা: এই গবেষণা থেকে বোঝা যায় যে, TRAPPIST-1e গ্রহে জীবন ধারণের সম্ভাবনা কম। কারণ, জীবন ধারণের জন্য একটি স্থিতিশীল এবং সঠিক বায়ুমণ্ডল প্রয়োজন।
শিশুরা কেন এই গবেষণা থেকে উপকৃত হবে?
এই গবেষণাটি বিজ্ঞান এবং মহাকাশ সম্পর্কে শিশুদের মনে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে।
-
রহস্য উন্মোচন: মহাকাশ সবসময়ই রহস্যে ভরা। এই ধরনের গবেষণা সেই রহস্য উন্মোচনে সাহায্য করে। শিশুরা জানতে পারে যে, মহাকাশে আমাদের পরিচিত গ্রহগুলো ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে।
-
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: বিজ্ঞানীরা কীভাবে গবেষণা করেন, তা শিশুরা শিখতে পারে। কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করা, ডেটা বিশ্লেষণ করা – এই সবই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অংশ।
-
প্রশ্ন জিজ্ঞাসা: এই গবেষণা শিশুদের মনে প্রশ্ন তৈরি করতে পারে। যেমন, “অন্য গ্রহে কি সত্যিই জীবন আছে?”, “মহাকাশযান কীভাবে কাজ করে?”, “আমরা কীভাবে অন্য গ্রহ সম্পর্কে জানতে পারি?” এই প্রশ্নগুলো তাদের বিজ্ঞানের প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলবে।
-
ভবিষ্যতের স্বপ্ন: অনেক শিশু বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়। এই ধরনের গবেষণার খবর তাদের সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারে।
ভবিষ্যৎ কী বলছে?
বিজ্ঞানীরা TRAPPIST-1e এবং অন্যান্য এক্সোপ্ল্যানেট সম্পর্কে আরও জানার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন টেলিস্কোপ এবং প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা ভবিষ্যতে আরও অনেক আশ্চর্যজনক তথ্য জানতে পারব। হয়তো একদিন আমরা সত্যিই জানতে পারব যে, আমরা কি এই মহাবিশ্বে একা?
এই গবেষণাটি MIT-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আমাদের মহাবিশ্ব এবং জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Study finds exoplanet TRAPPIST-1e is unlikely to have a Venus- or Mars-like atmosphere
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-09-08 14:50 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Study finds exoplanet TRAPPIST-1e is unlikely to have a Venus- or Mars-like atmosphere’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।