
মস্তিস্কের এক নতুন রহস্য উন্মোচন: আলঝেইমার্স রোগের কারণ কেন কিছু মানুষের একটু আলাদা?
বিজ্ঞানীরা যেমন গোয়েন্দা!
কল্পনা করো, আমাদের মস্তিস্ক হল একটি বিশাল, জটিল শহর। এই শহরে কোটি কোটি ছোট্ট বাসিন্দা আছে, যাদের আমরা নাম দিয়েছি “কোষ”। এই কোষেরা একে অপরের সাথে কথা বলে, তথ্য আদান-প্রদান করে, এবং আমাদের চিন্তা করতে, শিখতে, মনে রাখতে এবং সবকিছু করতে সাহায্য করে। কিন্তু মাঝে মাঝে, এই শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দেয়।
আজ আমরা তোমাদের একটি খুব মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানীর আবিষ্কারের কথা বলব। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (MIT) বিজ্ঞানীরা এমন একটি নতুন রহস্যের সমাধান করেছেন যা আলঝেইমার্স নামক একটি রোগের সাথে জড়িত। আলঝেইমার্স হলো এমন একটি রোগ যা মানুষের স্মৃতিশক্তিকে ধীরে ধীরে কেড়ে নেয়, যার ফলে তারা তাদের প্রিয়জনদের এবং নিজেদেরকেও চিনতে পারে না। এটা খুবই দুঃখের ব্যাপার, তাই না?
“APOE” নামের এক নায়ক (বা খলনায়ক)!
বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ জিন খুঁজে পেয়েছেন, যার নাম “APOE”। জিন হলো আমাদের শরীরের নকশা। যেমন একটি বাড়ির নকশা দেখে বোঝা যায় বাড়িটি কেমন হবে, তেমনই আমাদের জিন বলে দেয় আমরা দেখতে কেমন হব, আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কীভাবে কাজ করবে।
“APOE” জিনটি আমাদের মস্তিস্কের কোষগুলির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোলেস্টেরল নামক একটি জিনিসকে শরীরের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের অনেক কাজে লাগে, বিশেষ করে মস্তিস্কের কোষগুলি সুস্থ রাখার জন্য।
একটু আলাদা “APOE” কি সমস্যা তৈরি করে?
“APOE” জিনের কয়েকটি রূপ আছে, যেমন কিছু লোক A, কিছু লোক B, আর কিছু লোক C। এর মধ্যে একটি বিশেষ রূপ আছে, যার নাম “APOE e4″। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, যাদের এই “APOE e4” রূপটি আছে, তাদের আলঝেইমার্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে।
তবে, এটা মনে রাখতে হবে যে “APOE e4” মানেই যে তোমার আলঝেইমার্স হবেই, তা কিন্তু নয়। এটা শুধু একটি সম্ভাবনা বাড়ায়। ভাবো তো, তোমার কাছে একটি বিশেষ চাবি আছে যা একটি নির্দিষ্ট দরজার তালার সাথে খাপ খায়। যাদের “APOE e4” আছে, তাদের কাছে সেই বিশেষ চাবিটি আছে। কিন্তু সেই দরজাটি সবসময় খোলা থাকবে, এমন কোনো মানে নেই।
MIT-এর বিজ্ঞানীরা কী আবিষ্কার করলেন?
MIT-এর বিজ্ঞানীরা খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে, “APOE e4” রূপের জিনটি আমাদের মস্তিস্কের কোষগুলিতে কীভাবে কাজ করে। তারা দেখেছেন যে, এই বিশেষ “APOE e4” জিনটি আমাদের মস্তিস্কের এক ধরণের কোষ, যাদের “মাইক্রোগ্লিয়া” বলা হয়, তাদের কাজে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করে।
মাইক্রোগ্লিয়া হলো মস্তিস্কের “পরিষ্কার কর্মী”। তারা মস্তিস্কের নোংরা জিনিস, পুরনো বা নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষগুলিকে সরিয়ে দেয়, যাতে মস্তিস্ক পরিষ্কার থাকে এবং নতুন করে কাজ করতে পারে। কিন্তু “APOE e4” জিন থাকলে, এই “পরিষ্কার কর্মীরা” ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তারা আরও দ্রুত এবং বেশি পরিমাণে জমে থাকা “আবর্জনা” পরিষ্কার করতে পারে না।
“আবর্জনা” জমলে কি হয়?
যখন মস্তিস্কের “পরিষ্কার কর্মীরা” ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, তখন মস্তিস্কে এক ধরণের “আবর্জনা” জমতে শুরু করে। এই “আবর্জনা” হলো “বিটা-অ্যামাইলয়েড” নামক এক ধরণের প্রোটিন। ভাবো তো, মস্তিস্কের রাস্তায় যদি আবর্জনা জমতে শুরু করে, তবে গাড়ি চলাচল কি সহজ হবে? না। তেমনই, এই “বিটা-অ্যামাইলয়েড” যখন মস্তিস্কে জমতে শুরু করে, তখন মস্তিস্কের কোষগুলির একে অপরের সাথে কথা বলা কঠিন হয়ে যায়।
আর এখানেই আলঝেইমার্স রোগের সূত্রপাত। যখন কোষেরা একে অপরের সাথে কথা বলতে পারে না, তখন আমাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে শুরু করে। আমরা নতুন জিনিস মনে রাখতে পারি না, পুরনো জিনিস ভুলে যাই।
বিজ্ঞানীর এই আবিষ্কার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই আবিষ্কারটি আলঝেইমার্স রোগের চিকিৎসার নতুন পথ খুলে দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা এখন এই “পরিষ্কার কর্মীদের” (মাইক্রোগ্লিয়া) এবং “আবর্জনা” (বিটা-অ্যামাইলয়েড) পরিষ্কার করার নতুন উপায় খুঁজতে পারবেন।
ভাবো তো, যদি আমরা “পরিষ্কার কর্মীদের” আরও শক্তিশালী করতে পারি, বা “আবর্জনা” তৈরি হওয়া কমাতে পারি, তাহলে আলঝেইমার্স রোগ হয়তো আর হবে না!
তোমরা যা করতে পারো:
- প্রশ্ন করো: যেকোনো কিছু দেখলেই বা শুনলেই প্রশ্ন করো। কেন এমন হয়? কীভাবে হয়?
- পড়ো: বিজ্ঞান বিষয়ক বই, ম্যাগাজিন, বা ওয়েবসাইট (যেমন MIT-এর এই খবর!) পড়তে পারো।
- খেলা করো: এমন সব খেলনা দিয়ে খেলো যা তোমার মস্তিস্ককে চালিত করে, যেমন পাজল বা বিল্ডিং ব্লক।
- স্বাস্থ্যকর খাও: ফল, সবজি, এবং স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের মস্তিস্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এই আবিষ্কারটি বিজ্ঞানীদের একটি বড় জয়ের মতো। তারা মস্তিস্কের একটি গোপন রহস্যের সমাধান করেছেন। আর তোমরা, আগামী দিনের বিজ্ঞানী, এইভাবেই নতুন নতুন রহস্যের সমাধান করবে এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলবে। বিজ্ঞান খুবই মজার, তাই না?
Study explains how a rare gene variant contributes to Alzheimer’s disease
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-09-10 15:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Study explains how a rare gene variant contributes to Alzheimer’s disease’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।