
লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির নতুন নিবন্ধ: আমাদের ডিজিটাল জগতকে সুরক্ষিত রাখা
ছোট্ট বন্ধু, তুমি কি কখনও ভেবে দেখেছ যে আমরা প্রতিদিন যে সব কম্পিউটার, ফোন, এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করি, সেগুলো আসলে কেমন করে কাজ করে? আর সেগুলো যদি হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে কী হবে?
লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি (Lawrence Berkeley National Laboratory), যা LBNL নামেও পরিচিত, এমন একটি দারুণ জায়গা যেখানে অনেক বিজ্ঞানী কঠিন কঠিন সব সমস্যা নিয়ে কাজ করেন। সম্প্রতি, তারা ‘Expert Interview: Sean Peisert on Cybersecurity Research’ নামে একটি চমৎকার নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এই নিবন্ধে, শন পেইজার্ট (Sean Peisert) নামে একজন বিশেষজ্ঞ আমাদের বুঝিয়েছেন যে, আমাদের ডিজিটাল জগতকে কীভাবে আরও সুরক্ষিত রাখা যায়।
শন পেইজার্ট কে?
শন পেইজার্ট একজন সাইবারসিকিউরিটি (Cybersecurity) বিশেষজ্ঞ। এর মানে হলো, তিনি কম্পিউটারের ভেতরের যত গোপন জিনিস আছে, সেগুলো কীভাবে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি এমন সব উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন যাতে আমাদের তথ্য, আমাদের গেম, এবং আমরা ইন্টারনেটে যা কিছু করি, তা যেন কোনো খারাপ লোক চুরি করতে না পারে বা নষ্ট করতে না পারে।
সাইবারসিকিউরিটি কী?
চলো, আমরা একটা খেলা খেলি। ধরো, তোমার কাছে একটা সুন্দর খেলনা আছে। তুমি সেটা তোমার বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নাও, কিন্তু তুমি চাও না যে কেউ সেটা ভেঙে ফেলুক বা নিয়ে যাক। তাই তুমি সেটা সাবধানে রাখো, তাই না?
সাইবারসিকিউরিটি অনেকটা সেরকমই। আমাদের কম্পিউটার, ফোন, এবং ইন্টারনেটের ভেতরের যত তথ্য আছে, সেগুলো আসলে আমাদের ডিজিটাল খেলনার মতো। সাইবারসিকিউরিটি হলো সেইসব খেলনাকে রক্ষা করার উপায়। হ্যাকাররা (hackers) হলো সেইসব খারাপ লোক যারা তোমার খেলনা ভেঙে দিতে চায় বা নিয়ে নিতে চায়। সাইবারসিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা এই হ্যাকারদের হাত থেকে আমাদের ডিজিটাল খেলনাকে বাঁচানোর জন্য কাজ করেন।
শন পেইজার্ট কী নিয়ে কাজ করেন?
শন পেইজার্ট সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন দুটি বিষয়ের উপর:
-
রক্ষণাবেক্ষণ (Resilience): এর মানে হলো, যদি কোনো খারাপ ঘটনা ঘটেও যায়, তাহলেও যেন আমাদের সিস্টেমগুলো দ্রুত ঠিক হয়ে যায় এবং কাজ করা বন্ধ না করে। যেমন, তুমি যদি পড়ে গিয়ে ব্যথা পাও, তাহলে কিছুদিন পর তোমার ব্যথা কমে যায় এবং তুমি আবার খেলতে পারো। সাইবারসিকিউরিটিতেও সেরকম, কোনো সমস্যা হলেও যেন সবকিছু আবার আগের মতো হয়ে যায়।
-
আত্মবিশ্বাসী (Trustworthy): এর মানে হলো, আমাদের সিস্টেমগুলো যেন নির্ভরযোগ্য হয় এবং আমরা সেগুলোর উপর বিশ্বাস রাখতে পারি। তুমি যেমন তোমার বন্ধুর উপর বিশ্বাস করো যে সে তোমার খেলনাটা যত্ন করে রাখবে, সেরকমই আমাদের অনলাইন সিস্টেমগুলোর উপরও আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে।
শিশুদের জন্য সাইবারসিকিউরিটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আজকাল তোমরা অনেকেই গেম খেলো, ইউটিউব দেখো, বা অনলাইনে বন্ধুদের সাথে কথা বলো। এই সব কিছুই কিন্তু ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। তাই তোমরাও কিন্তু সাইবারসিকিউরিটির অংশ!
- তোমার গোপন তথ্য রক্ষা করো: তোমার নাম, ঠিকানা, বা তোমার বাবা-মায়ের ফোন নম্বর – এই সব তথ্য যেন কোনো অচেনা লোকের হাতে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখবে।
- ভালো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করো: যেমন, তোমার বাড়ির দরজায় যেমন একটা শক্ত তালা থাকে, তেমনি তোমার অনলাইন অ্যাকাউন্টের জন্যও শক্ত এবং মনে রাখার মতো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
- অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করো না: ইন্টারনেটে অনেক সময় অনেক সুন্দর ছবি বা লোভনীয় অফার দেখা যায়। কিন্তু সেগুলো অনেক সময় ফঁদ হতে পারে। অচেনা কোনো লিঙ্কে ক্লিক করার আগে বাবা-মায়ের সাহায্য নাও।
বিজ্ঞানীদের কাজ আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলে?
শন পেইজার্ট এবং তার মতো অন্যান্য বিজ্ঞানীরা আমাদের জন্য এক নিরাপদ ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল পৃথিবী তৈরি করতে সাহায্য করছেন। তারা এমন সব নতুন নতুন প্রযুক্তি তৈরি করছেন যা আমাদের ডেটাকে রক্ষা করবে এবং আমাদের অনলাইন জীবনকে আরও সুরক্ষিত করবে।
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরাও যদি সাইবারসিকিউরিটির মতো মজার বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে চাও, তাহলে আজ থেকেই বিজ্ঞান বই পড়া শুরু করো, কম্পিউটার সম্পর্কে জানো, এবং ইন্টারনেটের ভালো দিকগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করো। তোমরাও একদিন বড় বিজ্ঞানী হয়ে আমাদের পৃথিবীকে আরও সুন্দর ও সুরক্ষিত করে তুলতে পারো!
এই নিবন্ধটি তোমাদের বিজ্ঞানীর মতো চিন্তা করতে এবং আমাদের চারপাশের ডিজিটাল জগতকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে আশা করি।
Expert Interview: Sean Peisert on Cybersecurity Research
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-30 15:00 এ, Lawrence Berkeley National Laboratory ‘Expert Interview: Sean Peisert on Cybersecurity Research’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।