
ব্রেনে বসানো এমন যন্ত্র যা দাগ ফেলে না!
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চমৎকার আবিষ্কার যা বিজ্ঞানকে আরও মজার করে তুলবে!
কল্পনা করো তো, তোমার মাথায় একটা ছোট্ট যন্ত্র বসানো হলো, কিন্তু সেই যন্ত্রটা এমন যে তোমার মাথায় কোনো দাগই থাকবে না! শুনতে অনেকটা সিনেমার মতো লাগছে, তাই না? কিন্তু সত্যি সত্যি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এমন এক প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যার নাম ‘ব্রেইন ইমপ্ল্যান্টস দ্যাট ডোন্ট লিভ স্কারস’ অর্থাৎ ‘ব্রেনে বসানো এমন যন্ত্র যা দাগ ফেলে না’।
এটা আসলে কী?
আমাদের ব্রেন বা মস্তিষ্ক খুব নাজুক একটা জিনিস। আমাদের শরীরে কোনো আঘাত লাগলে যেমন দাগ হয়ে যায়, তেমনি ব্রেনে কোনো যন্ত্র বসালে সেখানেও দাগ বা ক্ষত তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা এতদিন এই সমস্যা নিয়েই কাজ করছিলেন। তারা এমন যন্ত্র বানাতে চেয়েছিলেন যা ব্রেনের ভেতরে প্রবেশ করবে কিন্তু কোনো ক্ষতি করবে না, কোনো দাগও রাখবে না।
এই নতুন যন্ত্রটি ঠিক এমনই। এটি এতটাই নরম আর ছোট যে ব্রেনের ভেতরে খুব সহজে মিশে যেতে পারে। ভাবো তো, একদম জেলির মতো নরম! বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই যন্ত্রগুলো এতটাই নমনীয় যে এগুলো ব্রেনের নড়াচড়ার সাথে সাথে নিজেদের আকার বদলাতে পারে। ফলে ব্রেনের টিস্যুগুলোর কোনো ক্ষতি হয় না, আর তাই কোনো দাগও তৈরি হয় না।
এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
আমরা যখন অসুস্থ হই, তখন ডাক্তাররা আমাদের শরীরের ভেতরে নানা রকম যন্ত্র ব্যবহার করেন। যেমন, হার্টে রিং পরানো হয়, বা কোনো অঙ্গে পেসমেকার লাগানো হয়। তেমনি, যারা ব্রেনের কোনো রোগে আক্রান্ত, যেমন, মৃগীরোগ (epilepsy) বা পারকিনসন্স (Parkinson’s) রোগে, তাদের ব্রেনের কিছু অংশ ঠিকমতো কাজ করে না। এই নতুন যন্ত্রগুলো তাদের ব্রেনের সেই অংশগুলোকে ঠিকমতো কাজ করতে সাহায্য করতে পারে।
ভাবো তো, যদি কোনো ব্রেন টিউমার বা অন্য কোনো সমস্যা হলে, এই ছোট্ট, দাগ না ফেলা যন্ত্র দিয়ে খুব সহজে চিকিৎসা করা যেতে পারে! এটা রোগীদের জন্য অনেক বড় এক সুসংবাদ।
শিশুদের জন্য এর মানে কী?
এই আবিষ্কার বিজ্ঞানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তোমরা যারা ভবিষ্যতে ডাক্তার, বিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চাও, তাদের জন্য এটা একটা দারুণ উদাহরণ। এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে, বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবনকে অনেক সহজ ও উন্নত করতে পারি।
- কৌতূহল জাগায়: যখন তোমরা এমন নতুন নতুন আবিষ্কারের কথা শুনবে, তখন তোমাদের মনে প্রশ্ন আসবে – এটা কীভাবে কাজ করে? আমরা কি এর চেয়েও ভালো কিছু বানাতে পারি? এই প্রশ্নগুলোই তোমাদের বিজ্ঞানী হতে সাহায্য করবে।
- নতুন সম্ভাবনার দ্বার: ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি আসবে যা দিয়ে আমরা শুধু ব্রেনের রোগই নয়, আরও অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবো। হয়তো তোমরা বড় হয়ে এমন কিছু আবিষ্কার করবে যা আজকের বিজ্ঞানীরাও কল্পনা করতে পারছেন না!
- ভয়ের বদলে আশা: ব্রেনের মতো সংবেদনশীল অঙ্গ নিয়ে যখন কাজ করা হয়, তখন অনেকের মনে ভয় থাকে। কিন্তু এই ‘দাগ না ফেলা’ যন্ত্রগুলো প্রমাণ করে যে, আমরা বিজ্ঞানের মাধ্যমে এমন জিনিস তৈরি করতে পারি যা মানুষের জন্য অনেক উপকারী এবং নিরাপদ।
কীভাবে এটা সম্ভব হলো?
বিজ্ঞানীরা খুব ছোট ছোট, নমনীয় ইলেকট্রনিক উপাদান ব্যবহার করেছেন। এই উপাদানগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তারা ব্রেনের কোষগুলোর সাথে সহজে মিশে যেতে পারে। তারা এমন উপাদান ব্যবহার করেছেন যা ব্রেনের টিস্যুর ক্ষতি করে না।
ভবিষ্যতে কী হতে পারে?
এই প্রযুক্তি এখনও নতুন। তবে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এই যন্ত্রগুলো ব্যবহার করে ব্রেনের অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা করা যাবে। হয়তো এমন দিন আসবে যখন আমরা ব্রেনের সমস্যাগুলো সহজেই দূর করতে পারবো, ঠিক যেমন আমরা অন্য কোনো সাধারণ রোগ সারাই।
তোমরা যা করতে পারো:
- জানার আগ্রহ বাড়াও: এই ধরনের খবরগুলো মন দিয়ে পড়ো। বিজ্ঞান বইয়ের বাইরেও অনেক মজার জিনিস আছে, যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন।
- প্রশ্ন করো: কোনো কিছু না বুঝলে প্রশ্ন করতে দ্বিধা করবে না। তোমার শিক্ষক বা বড়দের কাছ থেকে জেনে নাও।
- ছোট ছোট পরীক্ষা করো: বাড়িতে কিছু সহজ বিজ্ঞান পরীক্ষা করতে পারো। এতে বিজ্ঞানের প্রতি তোমার ভালোবাসা বাড়বে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আবিষ্কার আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বিজ্ঞান হলো এক অফুরন্ত সম্ভাবনার জগৎ। আর তোমরা, নতুন প্রজন্ম, সেই জগতের ভবিষ্যৎ। কে জানে, হয়তো পরবর্তী বিস্ময়কর আবিষ্কারটি তোমাদের কাছ থেকেই আসবে!
Brain implants that don’t leave scars
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-14 13:47 এ, Harvard University ‘Brain implants that don’t leave scars’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।