
তথ্যকে বাস্তবে রূপ দেওয়া: হার্ভার্ডের এক নতুন আবিষ্কার!
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ১১ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে একটি দারুণ খবর প্রকাশ করেছে। তারা এমন এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যার মাধ্যমে আমরা তথ্যকে দেখতে এবং স্পর্শ করতে পারি – সহজ কথায়, তথ্যকে বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব! ভাবুন তো, আপনার প্রিয় গল্পের বইয়ের চরিত্ররা যেন আপনার হাতের তালুতে চলে আসছে!
এটা কি করে সম্ভব?
সাধারণত, আমরা তথ্য বলতে বুঝি ডিজিটাল ডেটা, যা আমরা কম্পিউটার, ফোন বা ট্যাবলেটে দেখি। কিন্তু হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা এক বিশেষ ধরনের “বায়ো-ইঙ্ক” (bio-ink) তৈরি করেছেন। এই ইঙ্ক সাধারণ কালির মতো নয়। এটি জীবন্ত কোষ এবং ডিএনএ (DNA) দিয়ে তৈরি। ডিএনএ হলো আমাদের শরীরের ব্লুপ্রিন্ট, যা বলে দেয় আমরা দেখতে কেমন হব, আমাদের চুল কালো হবে নাকি সোনালী, ইত্যাদি।
এই বায়ো-ইঙ্ককে তারা এক বিশেষ “বায়ো-প্রিন্টার” (bio-printer) মেশিনে ব্যবহার করেন। অনেকটা থ্রিডি প্রিন্টারের মতো, যা দিয়ে আমরা প্লাস্টিক বা অন্য জিনিস দিয়ে বিভিন্ন আকৃতি তৈরি করতে পারি। তবে এই বায়ো-প্রিন্টার কোষ দিয়ে জীবন্ত জিনিস তৈরি করে।
বিজ্ঞানীরা কি করছেন?
বিজ্ঞানীরা এই বায়ো-ইঙ্ক এবং বায়ো-প্রিন্টার ব্যবহার করে তথ্যের টুকরোগুলোকে আসলে “জীবন্ত” অবস্থায় তৈরি করছেন। তারা একটি নির্দিষ্ট তথ্যকে (যেমন, একটি ছোট প্রাণীর আকার বা শরীরের একটি অংশের নকশা) ডিএনএ কোডের মাধ্যমে বায়ো-ইঙ্কে প্রবেশ করান। তারপর, বায়ো-প্রিন্টার সেই ডিএনএ কোড অনুযায়ী কোষগুলোকে সাজিয়ে একটি বাস্তব রূপ দেয়।
এটা কেন এত জরুরি?
-
নতুন ওষুধ আবিষ্কার: বিজ্ঞানীরা এখন রোগের কারণ এবং শরীরের ভেতরের অবস্থা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। তারা হয়তো শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তৈরি করতে পারবেন, যা সুস্থ হতে সাহায্য করবে।
-
চিকিৎসা: ভবিষ্যতে হয়তো আমরা হারানো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু (tissue) এই পদ্ধতিতে তৈরি করতে পারব।
-
নতুন জিনিস শেখা: ছাত্র-ছাত্রীরা জীববিদ্যা বা শারীরবিদ্যা আরও সহজে বুঝতে পারবে। তারা জীবন্ত কোষের মডেল তৈরি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে।
-
তথ্য সংরক্ষণ: অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা আমরা সাধারণত ডিজিটাল ফরম্যাটে রাখি, তা ভবিষ্যতে জীবন্ত, টেকসই উপায়ে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
শিশুদের জন্য এর মানে কি?
কল্পনা করো, তুমি তোমার প্রিয় কার্টুন চরিত্রকে জীবন্ত অবস্থায় তোমার সামনে দেখতে পাচ্ছো! অথবা, তুমি যে প্রশ্নটি নিয়ে ভাবছো, তার উত্তর যদি জীবন্ত মডেলের মাধ্যমে দেখতে পাও, তাহলে শেখাটা কত মজার হবে!
এই আবিষ্কার বিজ্ঞানকে আরও বাস্তব করে তুলেছে। এখন শুধু বই পড়ে বা ছবি দেখে শিখতে হবে না, বরং জীবন্ত মডেল তৈরি করে এবং সেগুলোর সাথে কাজ করে শেখা যাবে।
ভবিষ্যৎ কী বলছে?
এই আবিষ্কার বিজ্ঞানের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো আমরা আরও অনেক আশ্চর্যজনক জিনিস দেখতে পাবো। তথ্য শুধু আমাদের মনে বা স্ক্রিনে থাকবে না, বরং আমাদের জীবনেও প্রভাব ফেলবে – জীবন্ত আকারে!
এই হার্ভার্ডের আবিষ্কার আমাদের শেখায় যে, বিজ্ঞান আমাদের চারপাশের জগতকে আরও সুন্দর, সহজ এবং বিস্ময়কর করে তুলতে পারে। যারা বিজ্ঞান ভালোবাসে, তাদের জন্য এটা এক অসাধারণ সুযোগ!
‘Turning information into something physical’
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-11 18:10 এ, Harvard University ‘‘Turning information into something physical’’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।