
আমাদের আবেগ, অবশেষে! – হার্ভার্ডের নতুন এক আবিষ্কার যা আমাদের নিজেদের আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে!
২০২৫ সালের ১৩ই আগস্ট, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে একটি দারুণ খবর এসেছে! তারা একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছে, যার নাম “In touch with our emotions, finally” অর্থাৎ “আমাদের আবেগ, অবশেষে!”। এই গবেষণাপত্রটি আমাদের নিজেদের অনুভূতিগুলো, অর্থাৎ আমাদের মন খারাপ হওয়া, আনন্দিত হওয়া, ভয় লাগা – এই সব কিছুকে বুঝতে সাহায্য করবে। যারা বিজ্ঞান ভালোবাসে, বিশেষ করে ছোটো ছোটো বিজ্ঞানী এবং যারা ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চায়, তাদের জন্য এই খবরটি খুবই exciting!
আমাদের আবেগ কী?
ভাবো তো, যখন তোমার প্রিয় খেলনাটা হারিয়ে যায়, তখন তোমার মন খারাপ হয়ে যায়, তাই না? আবার যখন তোমার বাবা-মা তোমাকে জন্মদিনের উপহার দেয়, তখন তোমার মন খুশিতে ভরে ওঠে। এই যে মন খারাপ হওয়া, আনন্দ হওয়া, বা যখন তুমি অন্ধকারে একা থাকো তখন যে একটু ভয় লাগে – এগুলোই হলো আমাদের আবেগ।
বিজ্ঞানীরা সবসময়ই জানার চেষ্টা করেন, আমাদের এই আবেগগুলো কেন হয়, কোথা থেকে আসে, আর আমরা কীভাবে এগুলো অনুভব করি। হার্ভার্ডের এই নতুন গবেষণাটিও ঠিক এই বিষয়গুলো নিয়েই।
নতুন কী জানতে পারলাম আমরা?
এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ নিয়ে কাজ করেছেন। এই অংশটি আমাদের বিভিন্ন অনুভূতি বোঝার এবং প্রকাশ করার জন্য খুব দরকারি। তারা জানতে পেরেছেন যে, আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরের কিছু ছোট্ট বার্তা (signals) এই আবেগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।
কল্পনা করো, তোমার মস্তিষ্ক একটি বড় কন্ট্রোল রুমের মতো। সেখানে অনেক তার এবং বোতাম আছে। হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা সেই কন্ট্রোল রুমের কিছু তার এবং বোতাম খুঁজে পেয়েছেন, যেগুলো আমাদের আবেগগুলোর সাথে জড়িত। যখন সেই তারগুলো ঠিকঠাক কাজ করে, তখন আমরা শান্ত থাকি, যখন সেগুলো একটু অন্যরকম হয়ে যায়, তখন আমরা হয়তো রেগে যাই বা ভয় পাই।
শিশুদের জন্য এই আবিষ্কার কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- নিজেদের বোঝা: যখন তুমি বুঝতে পারবে কেন তোমার মন খারাপ হচ্ছে বা কেন তুমি খুশি হচ্ছো, তখন তুমি নিজের অনুভূতিগুলো আরও ভালোভাবে সামলাতে পারবে। ধরো, তোমার খুব রাগ হচ্ছে, তখন তুমি বুঝতে পারবে যে এই রাগটা মস্তিষ্কের কোন সংকেতের জন্য হচ্ছে এবং তখন তুমি শান্ত হওয়ার উপায় খুঁজতে পারবে।
- অন্যদের বোঝা: শুধু নিজের নয়, অন্যেরা যখন রেগে যায় বা কষ্ট পায়, তখন আমরাও তাদের অনুভূতিগুলো আরও ভালো বুঝতে পারবো। এতে আমরা আরও ভালো বন্ধু হতে পারবো।
- বিজ্ঞানে আগ্রহ: এই গবেষণাটি বিজ্ঞানকে অনেক সহজ করে তুলেছে। ছোটো ছোটো বন্ধুরা যখন জানতে পারবে যে মানুষের মন বা মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, তখন তাদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে। তারা ভাবতে শুরু করবে, “আহা! বিজ্ঞান তো কত মজার! আমিও বড় হয়ে এমন কিছু আবিষ্কার করবো।”
- নতুন সম্ভাবনা: এই আবিষ্কারের ফলে ভবিষ্যতে এমন অনেক নতুন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি হতে পারে, যা আমাদের মানসিক সমস্যা যেমন – দুশ্চিন্তা বা মন খারাপের মতো রোগ সারাতে সাহায্য করবে।
ছোট্ট বিজ্ঞানীরা যা করতে পারে:
- পর্যবেক্ষণ করো: তোমার চারপাশের মানুষদের দেখো। কে কখন হাসছে, কে কখন কাঁদছে? কেন এমন হচ্ছে? একটু একটু করে পর্যবেক্ষণের অভ্যাস করো।
- প্রশ্ন করো: যদি কিছু বুঝতে না পারো, তাহলে বড়দের বা শিক্ষকদের প্রশ্ন করতে ভয় পেয়ো না। তোমার সব প্রশ্নই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- বই পড়ো: বিজ্ঞান বিষয়ক মজার মজার বই পড়ো। বিভিন্ন প্রাণীর আচরণ, মহাকাশ, বা আমাদের শরীর সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করো।
- পরীক্ষা করো (নিরাপদে): বাড়িতে বা স্কুলে সহজ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারো। যেমন – জল দিয়ে রং মেশানো, বা গাছ কীভাবে বড় হয় তা দেখা।
হার্ভার্ডের এই গবেষণাটি একটি দারুণ পদক্ষেপ। এটি আমাদের শেখাবে কীভাবে আমরা নিজেদের আবেগগুলোর সাথে “ইন টাচ” অর্থাৎ যোগাযোগ রাখতে পারি। আর এই শেখাটা আমাদের আরও সুখী, আরও সহানুভূতিশীল এবং আরও স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
তাহলে, কি তোমরা তৈরি ছোটো ছোটো বিজ্ঞানীরা? বিজ্ঞানের এই দারুণ জগতে প্রবেশ করার জন্য? চলো, আমরা সবাই মিলে আবিষ্কার করি আমাদের চারপাশের এই সুন্দর জগতটাকে!
In touch with our emotions, finally
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-13 20:05 এ, Harvard University ‘In touch with our emotions, finally’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।