মহাকাশে চোখ, বিজ্ঞানের চমক: CSIR-এর নতুন উদ্যোগ!,Council for Scientific and Industrial Research


মহাকাশে চোখ, বিজ্ঞানের চমক: CSIR-এর নতুন উদ্যোগ!

কল্পনা করো তো, রাতের আকাশে লক্ষ লক্ষ তারা, গ্রহ, উপগ্রহ! আমরা খালি চোখে এদের অনেককেই দেখতে পাই। কিন্তু, এই মহাকাশে আরও কত রহস্য লুকিয়ে আছে, যা আমাদের চোখে ধরা পড়ে না! তেমনই কিছু রহস্য উন্মোচনের জন্য, ভারতের Council for Scientific and Industrial Research (CSIR) একটি দারুণ কাজ শুরু করেছে। তারা নতুন ধরণের ‘রাডার’ (Radar) তৈরি করতে চাইছে।

রাডার কী?

সহজ কথায়, রাডার হলো এক ধরণের যন্ত্র যা অদৃশ্য তরঙ্গ ব্যবহার করে আমাদের চারপাশের জিনিস দেখতে সাহায্য করে। ঠিক যেমন, অন্ধকারে আমরা কান পেতে শব্দ শুনি, রাডার তেমনি “শব্দ” (তরঙ্গ) ছুঁড়ে দেয় এবং জিনিস থেকে প্রতিফলিত হয়ে আসা তরঙ্গ শুনে বলে দেয় সেখানে কী আছে, কত দূরে আছে, এবং কীভাবেই বা নড়ছে।

CSIR কী করতে চলেছে?

CSIR আগামী ৫ বছরের জন্য এমন ইঞ্জিনিয়ারিং সেবা খুঁজছে যারা এই নতুন রাডার তৈরি করতে পারবে। এই রাডারগুলো শুধু মহাকাশের জিনিস দেখতেই সাহায্য করবে না, বরং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগবে।

এই রাডার দিয়ে কী কী করা যেতে পারে?

  • মহাকাশে নজরদারি: বিজ্ঞানীরা এই রাডার ব্যবহার করে মহাকাশে ঘুরতে থাকা ছোট-বড় অনেক জিনিস, যেমন – স্যাটেলাইট, মহাকাশ আবর্জনা (space debris) ইত্যাদি দেখতে পারবেন। এতে আমাদের পৃথিবীর আশেপাশে মহাকাশের পরিবেশ আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস: এই রাডার দিয়ে আমরা মেঘের গতিবিধি, বৃষ্টির সম্ভাবনা, ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস আরও নির্ভুলভাবে জানতে পারবো। এতে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে পারবো।
  • বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ: বিমানবন্দরে রাডার ব্যবহার করে বিমান ওঠানামা ও উড়ানের সময় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নতুন রাডার ব্যবহার করে এই কাজটি আরও সুরক্ষিত ও সহজ হবে।
  • দেশ রক্ষা: আমাদের দেশের সুরক্ষার জন্যও এই রাডার খুব গুরুত্বপূর্ণ। শত্রুদের বিমান বা অন্য কোনো জিনিস দেশের সীমানায় প্রবেশ করার আগেই রাডার তা ধরে ফেলতে পারবে।

শিশুরা কেন আগ্রহী হবে?

বিজ্ঞান সব সময়ই মজার! রাডার তৈরি করা, সেটা দিয়ে মহাকাশের জিনিস দেখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া – এই সব কিছুই আমাদের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। CSIR-এর এই উদ্যোগ নতুন প্রজন্মের শিশুদের বিজ্ঞানের প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলবে।

  • ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী: এই ধরণের প্রকল্পে কাজ করে অনেক তরুণ-তরুণী ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হতে অনুপ্রাণিত হবে। তারা হয়তো এই নতুন রাডার তৈরি করার কাজে অংশ নেবে, অথবা এই রাডার ব্যবহার করে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে।
  • কৌতূহল বৃদ্ধি: যখন আমরা জানতে পারি যে এমন যন্ত্র আছে যা না দেখেই অনেক কিছু দেখতে পায়, তখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে, “এটা কীভাবে কাজ করে?” এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নেয় নতুন জ্ঞান।
  • নতুন জ্ঞান অর্জন: রাডার সম্পর্কে জানলে আমরা বুঝতে পারবো কিভাবে বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে সহজ ও উন্নত করছে।

CSIR-এর এই উদ্যোগটি সত্যিই দারুণ। এই ধরণের কাজ আমাদের মনে বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে এবং আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। তোমরাও এই ধরণের খবর শুনে অনুপ্রাণিত হও এবং বিজ্ঞানকে জানার চেষ্টা করো! কে জানে, হয়তো আগামী দিনের নতুন রাডার বা মহাকাশ যান তোমার হাতেই তৈরি হবে!


Expression of Interest (EOI) for The provision of engineering services for the development of radar systems at the CSIR for a period of 5 years


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-09-02 12:20 এ, Council for Scientific and Industrial Research ‘Expression of Interest (EOI) for The provision of engineering services for the development of radar systems at the CSIR for a period of 5 years’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন