ভবিষ্যতের গাড়ি: তোমার ভাবনাগুলো কি সত্যি? (Capgemini-এর একটি নতুন ভাবনা),Capgemini


ভবিষ্যতের গাড়ি: তোমার ভাবনাগুলো কি সত্যি? (Capgemini-এর একটি নতুন ভাবনা)

বন্ধুরা, তোমরা কি কখনো ভেবেছো আমাদের গাড়িগুলো কেমন হতে চলেছে? এখনই যেমন আছে, নাকি আরও অনেক নতুন আর মজার জিনিস দিয়ে ভরা? Capgemini নামের এক বড় কোম্পানি কিছু দিনের মধ্যেই (আগামী বছর, ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২২ তারিখ!) এমন একটা নতুন ভাবনা নিয়ে আসবে, যার নাম ‘It’s time to rethink the Software-driven mobility value proposition from the customer’s perspective’। এই নামটা শুনতে একটু কঠিন লাগলেও, এর ভেতরের কথাটা কিন্তু খুব সহজ আর মজার। চলো, আমরা সবাই মিলে এর মানেটা বুঝি আর দেখি, আমাদের ভবিষ্যতের গাড়িগুলো কেমন হতে পারে!

‘সফটওয়্যার’ মানে কী?

তোমরা নিশ্চয়ই মোবাইল ফোন, কম্পিউটার বা গেমিং কনসোল ব্যবহার করো। এগুলোর মধ্যে যে মজার মজার অ্যাপ, গেম বা কাজগুলো হয়, সেগুলো কিন্তু সব ‘সফটওয়্যার’ দিয়ে চলে। ধরো, তোমার মোবাইলে ছবি তোলার অ্যাপটা, সেটা একটা সফটওয়্যার। গাড়ির মধ্যেও আজকাল অনেক সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে। যেমন, আমরা যখন নেভিগেশন অ্যাপ ব্যবহার করে রাস্তা খুঁজি, বা গান শুনি, সেই সব কিছুই সফটওয়্যার।

‘সফটওয়্যার-চালিত গতিশীলতা’ মানে কী?

‘গতিশীলতা’ মানে হলো চলাফেরা করা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া। আর ‘সফটওয়্যার-চালিত গতিশীলতা’ মানে হলো, আমাদের গাড়িগুলো এখন শুধু ইঞ্জিন আর চাকা দিয়ে চলছে না, বরং অনেক বেশি করে সফটওয়্যার দিয়ে চলছে। এর মানে হলো, আমাদের গাড়িগুলো আরও বুদ্ধিমান হবে!

Capgemini কী বলতে চাইছে?

Capgemini বলতে চাইছে যে, এতদিন আমরা গাড়ি তৈরি করার সময় হয়তো শুধু তার ইঞ্জিন, ব্রেক বা আরামের কথা ভেবেছি। কিন্তু এখন সময় এসেছে, ভবিষ্যতের গাড়িগুলো ‘ভিতর থেকে’ কেমন হবে, সেটা ভাবার। মানে, তার ভেতরের সফটওয়্যারগুলো কতটা উন্নত হবে, সেটা গ্রাহকদের (মানে আমাদের মতো যারা গাড়ি ব্যবহার করবে) কী সুবিধা দেবে, সেই সবকিছু নতুন করে ভাবতে হবে।

শিশুদের জন্য ভবিষ্যতের গাড়িতে কী থাকতে পারে?

চলো, আমরা একটু কল্পনা করি!

  • গাড়ি হবে তোমার বন্ধু: ভাবো তো, তোমার গাড়ি তোমার নাম ধরে ডাকছে! তুমি কেমন আছো জিজ্ঞাসা করছে। তোমার পছন্দের গান বাজিয়ে দিচ্ছে। তুমি কোন স্কুলে যাবে বা কোথায় ঘুরতে যাবে, সেটা জেনে নিজেই রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে। যদি কখনো তোমার মন খারাপ থাকে, তাহলে হয়তো গাড়িটাও তোমাকে মজার কিছু বলতে পারে! এটা সম্ভব কারণ গাড়ির ভেতরের সফটওয়্যারগুলো আরও উন্নত হবে, যা তোমাকে চিনতে পারবে এবং তোমার সাথে কথা বলতে পারবে।
  • নিরাপত্তা আরও বেশি: অনেক সময় গাড়ি চালানোর সময় আমাদের একটু ভয় লাগে। কিন্তু ভবিষ্যতের গাড়িতে এমন সফটওয়্যার থাকবে, যা আমাদের অনেক বেশি নিরাপদে রাখবে। যেমন, যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে গাড়ি নিজেই সেটা বুঝতে পারবে এবং নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে। রাস্তার অন্য গাড়ি বা পথচারীদের সাথে ধাক্কা লাগা থেকে বাঁচানোর জন্য গাড়ি নিজেই ব্রেক কষতে পারে বা দিক বদলাতে পারে।
  • গাড়ি হবে তোমার খেলার মাঠ: শুধু ভ্রমণ করাই নয়, গাড়ি তোমার জন্য একটা ছোট খেলার মাঠও হয়ে উঠতে পারে! ভবিষ্যতে এমন গাড়ি আসবে, যার স্ক্রিনে তুমি গেম খেলতে পারবে, কার্টুন দেখতে পারবে বা নিজের মতো করে গাড়িটিকে সাজিয়ে নিতে পারবে।
  • পরিবেশের বন্ধু: এই গাড়িগুলো হবে আরও পরিবেশ-বান্ধব। মানে, তারা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না। হয়তো তারা সূর্যের আলো বা অন্য কোনো নবায়নযোগ্য শক্তি দিয়ে চলবে, যা আমাদের পৃথিবীর জন্য খুব ভালো।
  • গাড়ি হবে আরও স্মার্ট: তুমি যখন স্কুলে যাবে, তখন তোমার গাড়িটা হয়তো তোমার হোমওয়ার্ক করতেও সাহায্য করতে পারবে! অথবা যদি তোমার কোনো কিছু জানার থাকে, তাহলে গাড়ি তোমাকে সেই তথ্যগুলো দিয়ে দিতে পারবে। সে তোমার পছন্দ-অপছন্দগুলো শিখবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে বদলে নেবে।

কেন এটা বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

তোমাদের মধ্যে যারা বিজ্ঞান ভালোবাসো, তাদের জন্য এই ভাবনাগুলো খুব exciting।

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence): ভবিষ্যতের গাড়িগুলো উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবে। এর মানে হলো, মেশিনগুলো বা যন্ত্রগুলো মানুষের মতো করে চিন্তা করতে শিখবে। বিজ্ঞানীরা এই ধরনের বুদ্ধিমান সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য কাজ করছেন।
  • রোবোটিক্স (Robotics): গাড়িগুলো আরও বেশি করে রোবটের মতো কাজ করবে। রোবট মানে হলো, যেসব যন্ত্র মানুষের মতো কাজ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এমন রোবট তৈরি করছেন, যারা গাড়ির বিভিন্ন অংশকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
  • ডেটা সায়েন্স (Data Science): গাড়িগুলো অনেক তথ্য সংগ্রহ করবে। যেমন, রাস্তা কেমন, আবহাওয়া কেমন, তুমি কেমন গাড়ি চালাচ্ছো – এই সব তথ্য। বিজ্ঞানীরা এই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে গাড়িকে আরও ভালো এবং নিরাপদ বানাবেন।
  • ইন্টারনেট অফ থিংস (Internet of Things – IoT): তোমার গাড়ি শুধু তোমার সাথেই নয়, রাস্তার অন্যান্য গাড়ি, বা তোমার বাড়ির স্মার্ট ডিভাইসগুলোর সাথেও কথা বলতে পারবে। ভাবো তো, তুমি বাড়ি পৌঁছানোর আগেই তোমার ফ্রিজ জানতে পারবে তুমি কী খেতে চাও!

তোমাদের কী করা উচিত?

যদি তোমরা ভবিষ্যতের এই দারুণ গাড়িগুলো দেখতে চাও এবং এদের তৈরিতে সাহায্য করতে চাও, তাহলে এখনই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত (STEM) নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দাও। এই বিষয়গুলো শিখলে তোমরা নিজেরাই ভবিষ্যতের গাড়ি তৈরি করতে পারবে, রোবট বানাতে পারবে, বা এমন সফটওয়্যার লিখতে পারবে যা পুরো পৃথিবীকে বদলে দেবে!

Capgemini-এর এই নতুন ভাবনা আমাদের এটাই শেখাচ্ছে যে, ভবিষ্যতের গাড়িগুলো শুধু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার মাধ্যম হবে না, বরং তারা হবে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা হবে আমাদের বন্ধু, আমাদের সাহায্যকারী এবং আমাদের বিনোদনদাতা। তাই, চলো আমরা সবাই মিলে ভবিষ্যতের এই স্মার্ট গাড়ির স্বপ্ন দেখি আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য বিজ্ঞান শিখি!


It’s time to rethink the Software-driven mobility value proposition from the customer’s perspective


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-22 12:40 এ, Capgemini ‘It’s time to rethink the Software-driven mobility value proposition from the customer’s perspective’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন