ইউনেস্কো, ‘ওপেন সায়েন্স’ এর অগ্রগতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন,カレントアウェアネス・ポータル


ইউনেস্কো, ‘ওপেন সায়েন্স’ এর অগ্রগতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন

২০২৫ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ক্যারেণ্ট অ্যাওয়্যারনেস পোর্টাল কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন আমাদের জানাচ্ছে যে, ইউনেস্কো ‘ওপেন সায়েন্স’ (মুক্ত বিজ্ঞান) সম্পর্কিত তাদের ‘Recommendation on Open Science’ গ্রহণের পর সদস্য রাষ্ট্রগুলির কার্যকারিতা মূল্যায়নের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রথম সমন্বিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনটি বিজ্ঞান, গবেষণা এবং তথ্যের প্রসারে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে, যা সারা বিশ্বের গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং নীতি নির্ধারকদের জন্য এক আশার আলো।

‘ওপেন সায়েন্স’ কী এবং কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?

‘ওপেন সায়েন্স’ হলো বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, ডেটা এবং পদ্ধতিগুলোকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার একটি আন্দোলন। এর মূল লক্ষ্য হলো বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে আরও স্বচ্ছ, প্রবেশযোগ্য, পুনরাবৃত্তিযোগ্য এবং সহযোগিতা-বান্ধব করে তোলা। এর ফলে, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলি কেবল কিছু নির্দিষ্ট গবেষক বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে, বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে, নতুন নতুন উদ্ভাবনের পথ খুলে যাবে এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞান আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।

‘ওপেন সায়েন্স’-এর প্রধান কিছু দিক হলো:

  • ওপেন অ্যাক্সেস (Open Access): গবেষণাপত্র এবং প্রকাশনাগুলো যাতে যে কেউ বিনামূল্যে পড়তে এবং ডাউনলোড করতে পারে।
  • ওপেন ডেটা (Open Data): গবেষণায় ব্যবহৃত ডেটাগুলো অন্যদের জন্য উন্মুক্ত রাখা, যাতে তারা সেগুলোকে বিশ্লেষণ করতে পারে এবং নতুন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে।
  • ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (Open Source Software): গবেষণায় ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলো যাতে উন্মুক্ত থাকে এবং সকলে ব্যবহার ও উন্নত করতে পারে।
  • ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্সেস (Open Educational Resources): শিক্ষামূলক উপকরণগুলো সকলের জন্য সহজলভ্য করা।
  • পাবলিক এনগেজমেন্ট (Public Engagement): সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞান চর্চার সাথে যুক্ত করা।

ইউনেস্কোর ‘Recommendation on Open Science’ এবং প্রতিবেদনটির তাৎপর্য:

২০২১ সালে ইউনেস্কো ‘Recommendation on Open Science’ গ্রহণ করে, যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য ‘ওপেন সায়েন্স’ নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। এই সুপারিশের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং বিজ্ঞানকে সকলের জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলা।

এই নতুন প্রকাশিত সমন্বিত প্রতিবেদনটি হলো সেই সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে আসা প্রথম বিস্তারিত মূল্যায়ন। এটি বিভিন্ন দেশের ‘ওপেন সায়েন্স’ নীতি, আইন, এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ চিত্র তুলে ধরে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায় যে, বিভিন্ন দেশ ‘ওপেন সায়েন্স’ নীতি প্রণয়নে কতটা উদ্যোগী হয়েছে, সেখানে কী কী বাধা রয়েছে, এবং ভবিষ্যতে এই নীতিগুলো আরও ভালোভাবে বাস্তবায়নের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু ও আশার আলো:

এই প্রতিবেদনটি কেবল তথ্যই নয়, এটি ‘ওপেন সায়েন্স’ বাস্তবায়নে দেশগুলোর বিভিন্ন প্রচেষ্টা, চ্যালেঞ্জ এবং অর্জিত সাফল্যের একটি মিশ্র চিত্র উপস্থাপন করে। আমরা আশা করতে পারি যে, এই প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যগুলো বিভিন্ন দেশের সরকারকে ‘ওপেন সায়েন্স’-এর পথে এগিয়ে যেতে আরও উৎসাহিত করবে।

  • নীতি প্রণয়নে অগ্রগতি: অনেক দেশই ‘ওপেন সায়েন্স’-এর জন্য নিজস্ব নীতি এবং আইনি কাঠামো তৈরি করতে শুরু করেছে।
  • পরিকাঠামো উন্নয়ন: উন্মুক্ত ডেটা রিপোজিটরি, ওপেন অ্যাক্সেস প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরিতেও অনেক দেশ জোর দিচ্ছে।
  • সচেতনতা বৃদ্ধি: গবেষক, প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘ওপেন সায়েন্স’-এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে।
  • সহযোগিতার নতুন দিগন্ত: ‘ওপেন সায়েন্স’ বিশ্বজুড়ে গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করছে, যা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে আরও দ্রুততর করতে সহায়ক।

তবে, প্রতিবেদনটি এটাও ইঙ্গিত দেয় যে, ‘ওপেন সায়েন্স’-এর পথে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন –

  • অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা: ‘ওপেন সায়েন্স’ পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং ডেটা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রয়োজন।
  • গবেষকদের প্রশিক্ষণ: ‘ওপেন সায়েন্স’ নীতিগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য গবেষকদের নতুন দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
  • সাংস্কৃতিক পরিবর্তন: গবেষণার সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা, যেখানে উন্মুক্ততা এবং সহযোগিতাকে পুরস্কৃত করা হয়।
  • মেধাস্বত্ব (Intellectual Property) এবং ডেটা গোপনীয়তা (Data Privacy): ‘ওপেন সায়েন্স’-এর সাথে মেধাস্বত্ব এবং ডেটা গোপনীয়তার বিষয়গুলো কিভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায়, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।

ভবিষ্যতের পথ:

ইউনেস্কোর এই প্রতিবেদনটি ‘ওপেন সায়েন্স’ আন্দোলনের জন্য একটি মাইলফলক। এটি বিশ্বজুড়ে বৈজ্ঞানিক তথ্যের অবাধ আদান-প্রদানের নতুন দুয়ার খুলে দেবে বলে আশা করা যায়। এই প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে, সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের ‘ওপেন সায়েন্স’ নীতিগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে এবং বিজ্ঞানকে সত্যিই সকলের জন্য সহজলভ্য করে তুলতে পারবে।

‘ওপেন সায়েন্স’ কেবল একটি প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি একটি দার্শনিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বিজ্ঞান আরও গণতান্ত্রিক, ন্যায়সঙ্গত এবং মানবজাতির কল্যাণে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে। ইউনেস্কোর এই প্রতিবেদনটি সেই লক্ষ্যের দিকে আমাদের আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।


ユネスコ、「オープンサイエンスに関する勧告」を受けた、加盟国の取組状況をまとめた初の統合報告書を公開


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:

‘ユネスコ、「オープンサイエンスに関する勧告」を受けた、加盟国の取組状況をまとめた初の統合報告書を公開’ カレントアウェアネス・ポータル দ্বারা 2025-09-04 07:57 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।

মন্তব্য করুন