
ফ্যাশন এন্টার-এর নতুন আশা: ট্রাম্পের ‘মেড ইন ইউএসএ’ নীতির হাত ধরে আমেরিকার ফ্যাশন শিল্পকে নতুন দিশা দেখানো
জাস্ট-স্টাইল.কম, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (সকাল ১০:৫০)
আমেরিকার ফ্যাশন শিল্পে এক নতুন আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ব্রিটিশ ফ্যাশন প্রস্তুতকারক ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থা, ফ্যাশন এন্টার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। সংস্থাটি আশা করছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেড ইন ইউএসএ’ (আমেরিকাতে তৈরি) নীতির প্রেক্ষাপটে আমেরিকার ফ্যাশন কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দেশের অভ্যন্তরেই পোশাক উৎপাদন শিল্পকে শক্তিশালী করার সুযোগ তারা পাবে।
ফ্যাশন এন্টার মূলত পোশাক উৎপাদন, ডিজাইন, প্রশিক্ষণ এবং ফ্যাশন ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। তাদের লক্ষ্য হলো, যেসব দেশে পোশাক উৎপাদন খরচ কম, সেখানে কারিগরি ও প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে, সেইসব দেশে উন্নত মানের উৎপাদন প্রক্রিয়া স্থাপন করা। এই নীতির আলোকে, আমেরিকার বাজারে প্রবেশের এবং দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর এক দারুণ সুযোগ তারা দেখতে পাচ্ছে।
‘মেড ইন ইউএসএ’ নীতির প্রভাব:
ট্রাম্পের ‘মেড ইন ইউএসএ’ নীতি মূলত আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উৎপাদন শিল্পকে চাঙ্গা করার উপর জোর দেয়। এই নীতিতে উৎসাহ পেয়ে অনেক আমেরিকান ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতারা দেশের মধ্যেই তাদের পণ্য তৈরি করার দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে, দক্ষ কারিগর এবং প্রশিক্ষিত কর্মীর চাহিদা বেড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, ফ্যাশন এন্টার-এর মতো একটি সংস্থা, যারা পোশাক উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম, তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সংস্থাটি আমেরিকার কারিগরদের জন্য নতুন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করতে আগ্রহী, যাতে তারা আধুনিক ফ্যাশন উৎপাদন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে পারে এবং উচ্চ মানের পোশাক তৈরি করতে পারে।
ফ্যাশন এন্টার-এর লক্ষ্য ও পরিকল্পনা:
ফ্যাশন এন্টার-এর প্রধান আশা, আমেরিকার স্থানীয় উৎপাদনকারীদের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করা। তারা মনে করে, আমেরিকার ঐতিহ্যবাহী শিল্প এবং উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে তারা একটি শক্তিশালী উৎপাদন কাঠামো তৈরি করতে পারবে। তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলি মূলত:
- দক্ষতা বৃদ্ধি: স্থানীয় শ্রমিকদের সেলাই, প্যাটার্ন তৈরি, ডিজাইন, এবং আধুনিক উৎপাদন কৌশলের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া।
- টেকসই উৎপাদন: পরিবেশ-বান্ধব এবং টেকসই উৎপাদন পদ্ধতির উপর জোর দেওয়া, যা আজকের বিশ্বের জন্য অপরিহার্য।
- চাকরির সুযোগ সৃষ্টি: স্থানীয়ভাবে আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং বেকারত্বের হার কমানো।
- ডিজিটাল প্রযুক্তি: ফ্যাশন শিল্পে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন 3D ডিজাইন এবং সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান।
আমেরিকার ফ্যাশন শিল্পের ভবিষ্যৎ:
ফ্যাশন এন্টার-এর এই উদ্যোগ আমেরিকার ফ্যাশন শিল্পে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়লে, এটি শুধু কর্মসংস্থানই সৃষ্টি করবে না, বরং পণ্যের গুণমান উন্নত করতে এবং পরিবহন খরচ কমাতে সাহায্য করবে। এর ফলে, আমেরিকান ব্র্যান্ডগুলো বিশ্ব বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে পারবে।
যদিও এই পরিকল্পনাগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবুও ট্রাম্পের ‘মেড ইন ইউএসএ’ নীতির মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে, ফ্যাশন এন্টার আমেরিকায় ফ্যাশন উৎপাদন এবং দক্ষ কর্মী তৈরির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আশা করছে। তাদের এই প্রচেষ্টা আমেরিকার ফ্যাশন শিল্পের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
Fashion Enter hopes to upskill US under Trump Made in USA vision
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
‘Fashion Enter hopes to upskill US under Trump Made in USA vision’ Just Style দ্বারা 2025-09-03 10:50 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।