
শহরের ভবিষ্যৎ গড়তে শিক্ষার্থীরা: হিরোশিমা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষ আয়োজন
কল্পনা করো, তোমরা সবাই মিলে তোমাদের শহরকে আরও সুন্দর, আরও ভালো করে গড়ে তুলতে পারো! এটা কি খুব মজার না? সম্প্রতি, হিরোশিমা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ঠিক এমনই এক দারুণ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে।
কি ঘটেছিল সেদিন?
গত ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ সালে, হিরোশিমা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে, তাদের সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি – স্বয়ং শহরের মেয়র, শ্রী কোরোকি-সান – এসেছিলেন। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করেছিলেন।
বিষয়বস্তু কী ছিল?
শ্রী কোরোকি-সান ক্লাসের বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন “শহরকে গড়ে তোলা” বা “まちづくり (মাচি-জুকুরি)”। এই বিষয়টা কী? এটা হল কিভাবে আমরা আমাদের শহর, আমাদের পাড়া, আমাদের চারপাশকে আরও বাসযোগ্য, আরও আনন্দময় করে তুলতে পারি – সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা ও কাজ করা।
বিশেষ ক্লাস ও আলোচনা
মেয়র সাহেব ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়েছেন যে, শহরকে সুন্দর করতে হলে সবার অংশগ্রহণ দরকার। শুধু বড়রাই নয়, তরুণ প্রজন্মেরও অনেক নতুন চিন্তা ও ধারণা থাকতে পারে। তিনি তাদের শহরের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেছেন।
তারপর যেটা হল, সেটা ছিল আরও আকর্ষণীয়! মেয়র সাহেব ছাত্রছাত্রীদের সাথে একটি “মত বিনিময় সভা” আয়োজন করেছিলেন। এখানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজেদের মতামত, প্রশ্ন এবং শহরকে আরও ভালো করার জন্য তাদের কী কী ভাবনা আছে, সেগুলো মেয়র সাহেবের সাথে সরাসরি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছিল।
ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ
এই মত বিনিময় সভা ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা শিখেছে কিভাবে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করে বলতে হয়, কিভাবে অন্যের কথা শুনতে হয় এবং কিভাবে একসাথে কাজ করে কোন সমস্যার সমাধান বের করতে হয়। এই অভিজ্ঞতা তাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
কেন এটা বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত?
তোমরা হয়তো ভাবছো, এটা তো সমাজবিজ্ঞান, এর সাথে বিজ্ঞান কোথায়? আসলে, শহরকে সুন্দর করে গড়ে তোলার কাজে বিজ্ঞানের অনেক ভূমিকা আছে!
- নকশা ও নির্মাণ: বড় বড় রাস্তা, সুন্দর বাড়ি, পার্ক – এগুলো সবই বিজ্ঞানীরা ও প্রকৌশলীরা নকশা করেন। তারা এমনভাবে নকশা করেন যাতে সেগুলো মজবুত হয়, সুন্দর হয় এবং আমাদের জীবন সহজ করে তোলে।
- পরিবেশ: শহরকে দূষণমুক্ত রাখা, গাছ লাগানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা – এগুলোতেও বিজ্ঞান দরকার। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেন কোন পদ্ধতিটি পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ভালো।
- যোগাযোগ: আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফোন ব্যবহার করি – এগুলো সবই বিজ্ঞানের অবদান। এর ফলে আমরা সহজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি এবং শহর উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করতে পারি।
- শক্তি: শহর আলোকিত করতে, গাড়ি চালাতে – সব জায়গাতেই শক্তির প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা সূর্যের আলো, বাতাস, জল থেকে কিভাবে শক্তি তৈরি করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করেন।
তোমাদের জন্য বার্তা
হিরোশিমা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজন আমাদের এটাই শেখায় যে, আমরা প্রত্যেকেই আমাদের চারপাশের পৃথিবীকে আরও ভালো করতে পারি। তোমরা যারা আজ এই খবর পড়ছো, তোমরাও ভবিষ্যতে তোমাদের শহর, তোমাদের দেশ, এমনকি পুরো পৃথিবীকে সুন্দর করে তোলার স্বপ্ন দেখতে পারো।
বিজ্ঞান তোমাদের এই স্বপ্ন পূরণের পথে এক দারুণ বন্ধু হতে পারে। তাই, বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়াও, প্রশ্ন করো, নতুন জিনিস শেখো। কে জানে, হয়তো তোমাদের মধ্যেই কেউ একদিন নতুন কোনো আবিষ্কার করবে যা পুরো শহর বা পুরো বিশ্বকে বদলে দেবে!
呉市長が社会学科の学生らを対象に特別講義 まちづくりをテーマに意見交換会も開催
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-04-22 04:40 এ, 広島国際大学 ‘呉市長が社会学科の学生らを対象に特別講義 まちづくりをテーマに意見交換会も開催’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।