
নতুন স্বপ্ন! ‘আমার ডেন্টসুকি জীবন’ – যেখানে প্রকৌশল আসে গল্পের মতো!
বন্ধুরা, তোমরা কি কখনও ভেবেছো যে মহাকাশে কীভাবে রকেট ওড়ে? বা মোবাইল ফোনে কী করে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে প্রিয়জনের কথা শোনা যায়? এই সবকিছুর পেছনে আছে এক জাদুকরী শক্তি – সেটা হলো প্রকৌশল! আর সেই প্রকৌশলের এক দারুণ জায়গা হলো জাপানের ‘ইলেকট্রো-কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটি’ (Dentsuki)।
আজ (২২ আগস্ট, ২০২৫) সেই ডেন্টসুকি থেকে একটি অসাধারণ জিনিস এসেছে। এর নাম ‘আমার ডেন্টসুকি জীবন’! ভাবো তো, এটা যেন এক জাদু-বই! যেখানে ডেন্টসুকির ৫৬টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সব দারুণ সব বিভাগ) ছাত্রছাত্রীরা তাদের রোজকার জীবনের গল্প শোনাচ্ছে।
এটা কী? কেন এটা এত স্পেশাল?
‘আমার ডেন্টসুকি জীবন’ হলো একটা বিশেষ ওয়েবসাইট (mirai-kougaku.jp)। এখানে তোমরা জানতে পারবে:
- ছাত্রছাত্রীরা কী শেখে: ডেন্টসুকিতে শুধু কঠিন কঠিন বই পড়া হয় না। এখানকার ছাত্রছাত্রীরা হাতে-কলমে শেখে। যেমন, কীভাবে রোবট বানাতে হয়, কীভাবে মহাকাশে যোগাযোগের জন্য অ্যান্টেনা তৈরি করতে হয়, বা কীভাবে নতুন নতুন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বানাতে হয়।
- তারা কী নিয়ে কাজ করে: তোমরা হয়তো জানো না, কিন্তু আমাদের চারপাশের অনেক কিছুই ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অংশ। ডেন্টসুকির ছাত্রছাত্রীরা এমন সব প্রজেক্টে কাজ করে যা আমাদের জীবনকে আরও সহজ ও সুন্দর করে তোলে। যেমন, দ্রুতগতির ইন্টারনেট, ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা, বা আরও নিরাপদ বিদ্যুৎ!
- তাদের দিন কেমন কাটে: ক্লাসরুমের বাইরে তারা কী করে? ল্যাবে কীভাবে গবেষণা করে? বন্ধুদের সাথে কী নিয়ে মজা করে? এই সব কিছুই তোমরা এই ওয়েবসাইটে জানতে পারবে। এটা ঠিক যেন তাদের ডায়েরির পাতা!
- কেন তারা প্রকৌশলী হতে চেয়েছে: সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, তারা কেন এই লাইনে এসেছে, সেই গল্পগুলোও এখানে আছে। হয়তো ছোটবেলায় কোনো খেলনা দেখে তাদের আগ্রহ জন্মেছিল, অথবা কোনো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল।
তোমাদের জন্য কী আছে এখানে?
বন্ধুরা, তোমরা যদি বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি নিয়ে জানতে ভালোবাসো, তাহলে এই ওয়েবসাইটটা তোমাদের জন্য এক দারুণ উপহার!
- নতুন নতুন আইডিয়া: তোমরা হয়তো ভাবছো, ‘আমি যদি একটা উড়ন্ত গাড়ি বানাতে পারতাম!’ বা ‘আমি যদি এমন একটা অ্যাপ বানাতে পারতাম যা সবাইকে খুশি করে!’ এই ওয়েবসাইটে তোমরা অনেক নতুন আইডিয়া পাবে যা তোমাদেরকেও এমন স্বপ্ন দেখতে শেখাবে।
- অনুপ্রেরণা: যখন তোমরা দেখবে অন্য বাচ্চারা, যারা তোমাদেরই মতো, তারা কীভাবে কঠিন জিনিসকেও সহজ করে ফেলছে, তখন তোমরাও উৎসাহিত হবে।
- ভবিষ্যতের পথ: তোমরা কি ভাবছো বড় হয়ে কী হবে? এই ওয়েবসাইটটা তোমাদের সেই ভাবনার জগতে এক নতুন আলো দেখাবে। হয়তো তোমরাও একদিন ডেন্টসুকির মতো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এমন দারুণ সব কাজ করবে!
- মজার সব তথ্য: ইঞ্জিনিয়ারিং মানেই যে শুধু কঠিন অঙ্ক বা বোরিং জিনিস, এটা একদম ভুল! এখানে তোমরা জানতে পারবে কীভাবে মজার মজার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, বা কীভাবে ল্যাবে বসে নতুন কিছু আবিষ্কার করা হয়।
আমরা কেন বিজ্ঞানে আগ্রহী হব?
বিজ্ঞান আর প্রকৌশল হলো সেই জাদুর কাঠি যা দিয়ে আমরা পৃথিবীকে আরও উন্নত করতে পারি।
- নতুন আবিষ্কার: আমরা নতুন ওষুধ বানাতে পারি, মহাকাশে যেতে পারি, বা পরিবেশ দূষণ কমাতে পারি।
- সমস্যা সমাধান: জীবনের অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে পারি।
- কৌতূহল মেটানো: আমাদের মনে যে প্রশ্নগুলো জাগে, যেমন – তারা কেন লাল হয়? মেঘ কেন ওড়ে? – এসব প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞান দেয়।
কীভাবে খুঁজবে এই জাদু-বই?
তোমরা তোমাদের বাবা-মা বা বড়দের সাহায্য নিয়ে এই ওয়েবসাইটটা দেখতে পারো: www.mirai-kougaku.jp/day/pages/120.php?link=rss2
এখানে তোমরা হয়তো অনেক জাপানি লেখা দেখবে, কিন্তু ছবিগুলো আর সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের মুখের হাসিই তোমাদের অনেক কিছু বুঝিয়ে দেবে। তাদের কথাগুলো নিশ্চয়ই তোমাদের মনে নতুন আশার আলো জ্বালাবে।
তাহলে, আর দেরি কেন? চলো, আমরাও ‘আমার ডেন্টসুকি জীবন’-এর মতো আমাদের নিজেদের জীবনের এক দারুণ প্রকৌশলী জীবনের স্বপ্ন দেখি! কে জানে, হয়তো একদিন তোমরাই হবে নতুন কোনো আবিষ্কারের জনক!
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-22 00:00 এ, 国立大学55工学系学部 ‘私の電通大ライフ’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।