
কোজিকি: জাপানের পৌরাণিক জগতের উন্মোচন – ইজানাগি ও ইজানামির গল্প
ভূমিকা
আপনি কি জাপানের গভীর অতীতে, দেব-দেবী ও সৃষ্টি রহস্যের জগতে ডুব দিতে চান? তাহলে আপনার জন্য সুখবর! সম্প্রতি, 2025 সালের 27শে আগস্ট, 02:36 মিনিটে, 観光庁多言語解説文データベース (পর্যটন সংস্থা বহুভাষিক ব্যাখ্যা ডাটাবেস) অনুসারে, ‘কোজিকি খণ্ড 1 টাকামামানো জেনারেল পৌরাণিক কাহিনী – “God শ্বরের জন্ম এবং ইজানাগির আশ্রয়”’ প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রকাশনাটি জাপানের সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহাসিক গ্রন্থ কোজিকির (古事記) প্রথম খণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা জাপানের সৃষ্টির পৌরাণিক কাহিনি বর্ণনা করে। এই নিবন্ধে, আমরা এই অসাধারণ কাহিনি, এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং এটি কিভাবে আপনার জাপান ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে, সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
কোজিকি: জাপানের সৃষ্টি ও সংস্কৃতির ভিত্তি
কোজিকি, যার অর্থ “প্রাচীন বিষয়ের রেকর্ড”, 712 সালে রচিত হয়েছিল এবং এটি জাপানের রাষ্ট্রীয় ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনি, লোককথা এবং ঐতিহ্যের এক অমূল্য ভান্ডার। এটি কেবল একটি ঐতিহাসিক নথিই নয়, বরং জাপানি শিন্তো ধর্মের মূল ভিত্তি স্থাপনকারী কাহিনিগুলির সংকলন। কোজিকি পাঠ করলে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে জাপান দ্বীপপুঞ্জ সৃষ্টি হয়েছিল, কিভাবে দেব-দেবী (Kami) তাদের স্থান অধিকার করেছিলেন এবং কিভাবে প্রথম মানব সম্রাটদের উৎপত্তি হয়েছিল।
“God শ্বরের জন্ম এবং ইজানাগির আশ্রয়”: একটি মহাজাগতিক যাত্রা
আপনি যে নির্দিষ্ট খণ্ডটির কথা উল্লেখ করেছেন, সেটি কোজিকির একেবারে শুরুতে প্রবেশদ্বার। এই অংশে বর্ণিত হয়েছে:
- মহাজাগতিক শূন্যতা থেকে সৃষ্টি: মহাজাগতিক শূন্যতা থেকে কিভাবে দেব-দেবী, বিশেষ করে কুনিতোকোতাচি-নো-মিকোতো (Kunitsukutachi-no-mikoto) এবং পরবর্তী দেব-দেবীগণ আত্মপ্রকাশ করেন। এই দেব-দেবীগণ হলেন প্রাকৃতিক শক্তি এবং ধারণার প্রতিরূপ।
- ইজানাগি (Izanagi) ও ইজানামি (Izanami) এর জন্ম: এই খণ্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ইজানাগি-নো-মিকোতো (Izanagi-no-mikoto) এবং ইজানামি-নো-মিকোতো (Izanami-no-mikoto) নামক দুই দেব-দেবীর আগমন। তারা হলেন জাপানের সৃষ্টির প্রধান দেবতা।
- আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি: ইজানাগি ও ইজানামি তাদের স্বর্গীয় বর্শা আমেনো-নুকো (Ame-no-nukomochi) দিয়ে সমুদ্র আলোড়িত করে জাপানের দ্বীপপুঞ্জ, ওনো-গোরো-শিমা (Onogoro-shima) সৃষ্টি করেন। এই দ্বীপটিই পরবর্তীকালে জাপানের মূল ভূমি হয়ে ওঠে।
- সন্তানদের জন্ম: এরপর তারা একে একে অন্যান্য দ্বীপ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের দেব-দেবী, যেমন – বায়ু, পর্বত, গাছপালা, নদী ইত্যাদির জন্ম দেন।
- হো-ও-হিমে (Ho-o-hime) এর জন্ম ও ইজানামির মৃত্যু: দুর্ভাগ্যবশত, অগ্নি-দেবতা হো-ও-হিমে (Ho-o-hime) জন্মের সময় ইজানামি গুরুতরভাবে আহত হন এবং মৃত্যুবরণ করেন। এটি কোজিকির একটি ট্র্যাজিক মোড়।
- ইজানাগির ইয়োমি (Yomi) যাত্রা: প্রিয়তমা স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার আশায়, ইজানাগি মৃত্যুলোক ইয়োমি (Yomi) তে যান। কিন্তু সেখানে তিনি ইজানামির ভয়াবহ রূপ দেখে ভীত হয়ে পালিয়ে আসেন। এই ঘটনা ইয়োমি এবং জীবিত জগৎকে পৃথক করে দেয়।
- সূর্য, চাঁদ ও ঝড়ের দেবতার জন্ম: ইয়োমি থেকে ফিরে আসার পর, ইজানাগি পাপ থেকে নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য স্নান করেন। এই স্নানের সময় তার নাক থেকে আমাতেরাসু-ওহিমিকামি (Amaterasu-Omikami), অর্থাৎ সূর্য-দেবীর জন্ম হয়। তার চোখ থেকে চাঁদের দেবতা সুখুইয়োমি-নো-মিকোতো (Tsukuyomi-no-mikoto) এবং তার মুখ থেকে ঝড়ের দেবতা সুসানোও-নো-মিকোতো (Susanoo-no-mikoto) জন্ম নেন। এই তিন দেবতা পরবর্তীতে শিন্তো ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেব-দেবী।
আপনার জাপান ভ্রমণে এই কাহিনি কিভাবে প্রাসঙ্গিক?
এই পৌরাণিক কাহিনিগুলি কেবল প্রাচীন গল্প নয়, বরং আধুনিক জাপানের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং এমনকি ভৌগোলিক স্থানের সাথে গভীরভাবে জড়িত।
- শিন্তো তীর্থস্থান: কোজিকিতে বর্ণিত অনেক ঘটনা এবং দেব-দেবীদের জাপানের বিভিন্ন শিন্তো তীর্থস্থানের সাথে যুক্ত করা হয়। ইজানাগি ও ইজানামির সৃষ্ট দ্বীপপুঞ্জ এবং তাদের কর্তৃক জন্ম দেওয়া দেব-দেবীদের অনেক মন্দির ও তীর্থস্থান তাদের নামে উৎসর্গীকৃত। জাপানের ঐতিহ্যবাহী ধর্ম শিন্তো, যা প্রকৃতি ও পূর্বপুরুষদের উপাসনা করে, কোজিকির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
- প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা: কোজিকি প্রকৃতির শক্তি এবং তার দেব-দেবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। জাপানের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, যেমন – পর্বত, নদী, এবং সমুদ্র, এই কাহিনিগুলির সাথে একাত্ম। আপনি যখন জাপানের প্রকৃতির মাঝে ঘুরবেন, তখন এই দেব-দেবীদের অস্তিত্ব অনুভব করতে পারবেন।
- সাংস্কৃতিক উৎসব: জাপানের অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যেমন – ওবোন (Obon) বা শোগাৎসু (Shogatsu) (নববর্ষ), কোজিকির পৌরাণিক কাহিনি ও দেব-দেবীদের স্মরণে পালিত হয়।
- ঐতিহাসিক স্থান: জাপানের অনেক ঐতিহাসিক শহর ও স্থান, যেমন – নারা (Nara) বা কিয়োটো (Kyoto), যেখানে জাপানের প্রাচীন রাজধানী ছিল, সেখানে কোজিকির প্রভাব দেখতে পাবেন। এই শহরগুলিতে আপনি প্রাচীন মন্দির, রাজপ্রাসাদ এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে পাবেন যা এই পৌরাণিক কাহিনিগুলির সাথে সম্পর্কিত।
- ভাষা ও শিল্পকলা: কোজিকির ভাষা ও শব্দভান্ডার জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। জাপানি সাহিত্য, চিত্রকলা, নাটক এবং অন্যান্য শিল্পকলাতেও এই কাহিনিগুলির প্রতিফলন দেখা যায়।
কীভাবে আপনার ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবেন?
- গবেষণা করুন: জাপানে যাওয়ার আগে কোজিকির প্রথম খণ্ড সম্পর্কে কিছুটা জেনে নিন। 観光庁多言語解説文データベース-এর মতো সূত্র থেকে আপনি এই তথ্যাবলী পেতে পারেন।
- নির্দিষ্ট স্থান পরিদর্শন: জাপানের কিছু নির্দিষ্ট শিন্তো তীর্থস্থান পরিদর্শন করুন যা ইজানাগি ও ইজানামির কাহিনির সাথে যুক্ত, যেমন – ইসে জিংগু (Ise Jingu) (সূর্য-দেবী আমাতেরাসুর প্রধান মন্দির)।
- ঐতিহাসিক শহরগুলিতে ঘুরুন: নারা বা কিয়োটোর মতো শহরগুলিতে ঘুরে জাপানের প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুন।
- স্থানীয়দের সাথে কথা বলুন: সম্ভব হলে, স্থানীয়দের সাথে তাদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাস সম্পর্কে কথা বলুন। এটি আপনার অভিজ্ঞতাকে আরও গভীর করবে।
- কাহিনিগুলি পড়ুন: জাপানি সাহিত্য বা ইতিহাস বিষয়ক বই পড়ুন যা কোজিকি এবং এর কাহিনিগুলির উপর আলোকপাত করে।
উপসংহার
কোজিকির প্রথম খণ্ড, বিশেষ করে ‘God শ্বরের জন্ম এবং ইজানাগির আশ্রয়’ কেবল একটি প্রাচীন পাঠ্য নয়, এটি জাপানের আত্মা। এই পৌরাণিক কাহিনিগুলি জাপানি সংস্কৃতি, ধর্ম এবং পরিচয়ের মূল ভিত্তি। এই প্রকাশিত তথ্য আপনার জন্য জাপানের প্রাচীন ও জাদুকরী জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। সুতরাং, আপনার পরবর্তী জাপান ভ্রমণে এই কাহিনিগুলির গভীরে ডুব দিন এবং এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা লাভ করুন।
কোজিকি: জাপানের পৌরাণিক জগতের উন্মোচন – ইজানাগি ও ইজানামির গল্প
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-27 02:36 এ, ‘কোজিকি খণ্ড 1 টাকামামানো জেনারেল পৌরাণিক কাহিনী – “God শ্বরের জন্ম এবং ইজানাগির আশ্রয়”’ প্রকাশিত হয়েছে 観光庁多言語解説文データベース অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।
255