
জীবনের আনন্দ-দুঃখকে আলিঙ্গন করলেই মধ্যবয়সে মন ভালো থাকে!
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের নতুন গবেষণা যা আমাদের শিখিয়ে দেয় কিভাবে হাসিখুশি থাকা যায়!
প্রকাশের তারিখ: ২০২৫-০৮-০৫
ভাবো তো, তুমি যখন ছোট ছিলে, তখন কি তোমার মন খারাপ হত? অবশ্যই হত। কখনো খেলনা ভেঙে গেলে, বা কখনো বন্ধুদের সাথে ঝগড়া হলে। আবার কখনো অনেক আনন্দে তোমার মন ভরে যেত, যেমন পরীক্ষায় ভালো করলে বা নতুন সাইকেল পেলে। আমাদের জীবনের এই আনন্দ আর দুঃখ, এই দুটোই খুব দরকারি। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের বিজ্ঞানীরা একটি মজার গবেষণা করেছেন, যেখানে তারা বলেছেন যে, যারা জীবনের ভালো এবং খারাপ দুই সময়কেই সুন্দরভাবে মেনে নিতে পারে, তাদের মন মধ্যবয়সে অনেক বেশি শান্ত আর খুশি থাকে।
এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
তুমি কি জানো, আমরা যখন বড় হই, তখন আমাদের জীবনে নানা রকম ঘটনা ঘটে। কিছু ঘটনা আমাদের খুব আনন্দ দেয়, আর কিছু ঘটনা আমাদের দুঃখ দেয়। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ দল খুঁজে বের করেছেন, যারা এই দুটো অনুভূতিকেই সুন্দরভাবে গ্রহণ করতে পারে। তারা যখন মানুষের মনের উপর গবেষণা করে দেখেন, তখন তারা বুঝতে পারেন যে, যারা জীবনের ভালো সময়গুলোতে খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ে না এবং খারাপ সময়গুলোতেও ভেঙে পড়ে না, বরং সবকিছুকে স্বাভাবিকভাবে নেয়, তাদের মনের স্বাস্থ্য সবথেকে ভালো থাকে।
বিজ্ঞানীরা কী খুঁজে পেয়েছেন?
মনে করো, তোমার একটি পছন্দের খেলনা আছে। তুমি সেটা পেলে খুব আনন্দিত হলে। কিন্তু যদি খেলনাটি ভেঙে যায়, তাহলে তোমার মন খারাপ হবে। একজন সাধারণ মানুষ হয়তো খেলনাটি ভেঙে গেলে খুব রেগে যাবে বা খুব কষ্ট পাবে। কিন্তু একজন “ভালো মানসিক স্বাস্থ্য” সম্পন্ন মানুষ হয়তো ভাববে, “ওহ! খেলনাটি ভেঙে গেছে। এখন কি করা যায়? আমি কি এটা জোড়া লাগাতে পারি?” অথবা “ঠিক আছে, অন্য কিছু দিয়ে খেলি!”
এই বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, মধ্যবয়সে (মানে, যখন তোমার বাবা-মায়ের বয়স হবে, তখন) যাদের মন এইরকম শান্ত এবং স্থিতিশীল থাকে, তারা কম মানসিক সমস্যায় ভোগেন। তারা সহজে হতাশ হন না, বা তাদের মন খুব বেশি খারাপ থাকে না।
এটা কেন বিজ্ঞানের জন্য মজার?
বিজ্ঞান সবসময়ই আমাদের শেখায় যে, সবকিছুর পেছনেই একটি কারণ থাকে। বিজ্ঞানীরা এমন কিছু নিয়ম খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন যা আমাদের জীবনকে আরও ভালো করতে সাহায্য করে। এই গবেষণাটি আমাদের শেখায় যে, আমাদের মনও একটি যন্ত্রের মতো, যাকে ঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
- মানসিক নমনীয়তা: বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, যারা নিজেদের মনকে যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে, তারা বেশি সুখী হয়। এটা অনেকটা রাবারের মতো, যাকে টানলে বা বাঁকা করলে সে আবার নিজের আগের অবস্থায় ফিরে আসে। আমাদের মনকেও এমন নমনীয় হওয়া দরকার।
- অভিজ্ঞতা থেকে শেখা: যারা জীবনের খারাপ অভিজ্ঞতাগুলো থেকে শেখে এবং সেগুলো থেকে পালিয়ে না গিয়ে সেগুলোকে গ্রহণ করে, তাদের মন অনেক পরিণত হয়। তারা বুঝতে পারে যে, দুঃখ জীবনে আসবেই, কিন্তু তা আমাদের শেষ করে দেবে না।
শিশুরা এবং শিক্ষার্থীরা কিভাবে এটা শিখতে পারে?
তোমার মনে হতে পারে, “কিন্তু আমরা তো এখনও ছোট!” কিন্তু এই জিনিসটা শেখা সবসময়ই শুরু করা যায়।
- ছোট ছোট সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা: যখন তোমার কোনো খেলনা হারিয়ে যায় বা তুমি কোনো পরীক্ষায় একটু খারাপ ফল করো, তখন মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু চেষ্টা করো, মন খারাপ হওয়ার পাশাপাশি এটাও ভাবতে যে, “কী করলে আমি আবার ভালো করতে পারি?” বা “পরের বার কি করলে এই ভুলটা হবে না?”
- আনন্দকে নিয়ন্ত্রণ করা: যখন তুমি খুব খুশি হও, তখন কি তুমি অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে পড়ো? সেটাও এক ধরনের অতি প্রতিক্রিয়া। আনন্দকেও শান্তভাবে গ্রহণ করতে শেখা দরকার।
- অন্যদের সাহায্য করা: যারা অন্যকে সাহায্য করে, তাদের মনও ভালো থাকে। তোমার কোনো বন্ধু যদি মনমরা থাকে, তার সাথে কথা বলো, তাকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করো।
শেষ কথা:
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের এই গবেষণা আমাদের এটাই শেখায় যে, জীবন মানে শুধু আনন্দ নয়, দুঃখও জীবনের একটি অংশ। আর এই দুটোকেই সুন্দরভাবে গ্রহণ করতে পারলেই আমরা মধ্যবয়সে এবং সারা জীবন ধরে সুখী ও সুস্থ থাকতে পারব। বিজ্ঞান আমাদের শুধু নতুন জিনিসই শেখায় না, বরং জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচার উপায়ও বলে দেয়। তাই, এসো, আমরা সবাই বিজ্ঞানের এই মজার শিক্ষাগুলো গ্রহণ করি আর জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলি!
Embracing life’s highs and lows boosts mental health in middle age
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-05 16:24 এ, University of Michigan ‘Embracing life’s highs and lows boosts mental health in middle age’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।