
সূর্য থেকে শক্তি, আর চ্যাম্পিয়ন হলো স্ট্যানফোর্ড!
এইতো সেদিন, ২১শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক দারুণ খবর পেয়েছে। তারা এক সৌর গাড়ির প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে! এই প্রতিযোগিতাটি ছিল “ফর্মুলা সান গ্রাঁ প্রি” (Formula Sun Grand Prix) নামে পরিচিত, যেখানে সারা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের তৈরি করা সৌর গাড়ির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
সৌর গাড়ি কী?
তোমরা হয়তো অনেকেই গাড়ি দেখেছো, কিন্তু সৌর গাড়ি একটু অন্যরকম। এই গাড়িগুলো চলে সূর্যের আলো থেকে পাওয়া শক্তি দিয়ে। গাড়ির উপরে অনেকগুলো “সোলার প্যানেল” লাগানো থাকে, যা সূর্যের আলো শুষে নিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করে। এই বিদ্যুৎ দিয়েই গাড়িটা চলে! ভাবা যায়, পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করেই শুধু সূর্যের আলো দিয়ে গাড়ি চালানো!
স্ট্যানফোর্ডের ‘ফর্মুলা সান’ দল:
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মেধাবী ছাত্রছাত্রী মিলে এই সৌর গাড়িটি তৈরি করেছে। তাদের দলের নাম “ফর্মুলা সান”। তারা অনেক দিন ধরে এই গাড়িটি বানানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। দিনের পর দিন তারা ডিজাইন করেছে, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ লাগিয়েছে, পরীক্ষা করেছে আর নতুন কিছু শিখেছে। তাদের এই পরিশ্রমই আজকের এই সাফল্যের কারণ।
প্রতিযোগিতা কেমন ছিল?
“ফর্মুলা সান গ্রাঁ প্রি” একটি কঠিন প্রতিযোগিতা। এখানে শুধু গাড়ির গতি নয়, বরং গাড়ির নকশা, এর কার্যকারিতা, নিরাপত্তা এবং তারা কতটা শক্তি সাশ্রয়ীভাবে চালাতে পারছে, সেটাও দেখা হয়। অনেকগুলো দল তাদের নিজেদের তৈরি সৌর গাড়ি নিয়ে এসেছিল। কেউ এসেছে আমেরিকা থেকে, কেউ ইউরোপ থেকে, আবার কেউ এশিয়া থেকে। সবাই চেয়েছে নিজেদের সেরাটা দিতে।
স্ট্যানফোর্ডের গাড়িটি খুব সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি ছিল হালকা ও মজবুত, আর সোলার প্যানেলগুলো এতই দক্ষ ছিল যে তারা সূর্যের আলো থেকে অনেক বেশি শক্তি সংগ্রহ করতে পারছিল। প্রতিযোগিতার সময় তারা খুব সাবধানে গাড়িটি চালিয়েছে, যাতে কোনো বিপদ না ঘটে এবং গাড়িটি যেন সর্বোচ্চ গতিতে চলতে পারে।
কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই প্রতিযোগিতা শুধু একটি খেলা নয়, বরং বিজ্ঞানের এক দারুণ উদাহরণ। এটি দেখায় যে আমরা কীভাবে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে পারি। সৌর শক্তি হলো এক পরিষ্কার ও অফুরন্ত শক্তির উৎস। এই গাড়িগুলো আমাদের শেখায় যে আমরা যদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমরা পৃথিবীর অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি।
স্ট্যানফোর্ডের এই সাফল্য অনেক ছোট ছেলেমেয়ে ও শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা। তারা হয়তো ভাবছে, “আমিও একদিন এমন কিছু বানাতে চাই!” আর এটাই খুব ভালো কথা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের চারপাশের জগৎটাকে আরও সুন্দর ও উন্নত করতে পারে।
বিজ্ঞানের মজা:
তোমরাও যদি বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী হও, তাহলে এখনই শুরু করতে পারো! তোমরা হয়তো বাড়িতে ছোট ছোট সৌর খেলনা বানাতে পারো, বা সোলার প্যানেল নিয়ে জানতে পারো। স্কুল-কলেজে বিজ্ঞানের ক্লাসগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনো। বিভিন্ন বিজ্ঞান মেলায় অংশ নাও। কে জানে, হয়তো আগামী দিনের কোনো বড় বিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হবে তুমিই!
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের “ফর্মুলা সান” দল আমাদের দেখিয়েছে যে কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও বিজ্ঞানমনস্কতা দিয়ে যেকোনো স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। তারা শুধু একটি প্রতিযোগিতাই জেতেনি, বরং আমাদের সকলের মনে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
Stanford secures podium finish at solar car competition
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-21 00:00 এ, Stanford University ‘Stanford secures podium finish at solar car competition’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।