বিপন্ন প্রাণীদের বাঁচানোর নতুন আশা: কিন্তু একটু সাবধানে!,Ohio State University


বিপন্ন প্রাণীদের বাঁচানোর নতুন আশা: কিন্তু একটু সাবধানে!

ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির এক নতুন গবেষণা বলছে, বিপন্ন প্রাণীদের বাঁচানোর জন্য আমরা যে জিনগত পদ্ধতি ব্যবহার করছি, তাতে কিছু ভুল বা খারাপ মিউটেশন (mutation) চলে আসার সম্ভাবনা থাকে। আসুন, সহজভাবে বুঝি ব্যাপারটা কী এবং কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ।

বিপন্ন প্রাণী কারা?

আমরা অনেকেই হয়তো বাঘ, সিংহ বা হাতির কথা শুনেছি। এরা আমাদের পৃথিবীর অনেক সুন্দর প্রাণীর মধ্যে কয়েকটি। কিন্তু এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। হয়তো তাদের বাসস্থান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বা তাদের শিকার করা হচ্ছে। এদের আমরা বলি “বিপন্ন প্রাণী”। এদের সংখ্যা এত কমে যায় যে, যদি আমরা এদের বাঁচানোর জন্য কিছু না করি, তাহলে তারা পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে।

জিনগত উদ্ধার (Genetic Rescue) কী?

মনে করুন, একটি ছোট্ট গ্রামের কিছু মানুষ একসাথে বাস করছে। তাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তবে অন্যরাও সেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। কারণ, তাদের মধ্যে জিনগত মিল বেশি। ঠিক তেমনই, বিপন্ন প্রাণীদের সংখ্যা খুব কম হয়ে গেলে, তাদের মধ্যেও জিনগত মিল অনেক বেশি থাকে। এর ফলে, যদি কোনো রোগ বা খারাপ জিন তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তবে পুরো প্রজাতিটাই শেষ হয়ে যেতে পারে।

“জিনগত উদ্ধার” হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আমরা কাছাকাছি থাকা দুটি ছোট পপুলেশনের (population) প্রাণীদের মধ্যে মিলন ঘটাতে সাহায্য করি। ধরুন, একটি জঙ্গলের কয়েকটি ভাল্লুক এবং পাশের একটি জঙ্গলের কয়েকটি ভাল্লুক – যারা হয়তো একটু আলাদা – তাদের মিলন ঘটালে নতুন প্রজন্মের ভাল্লুকদের মধ্যে জিনগত বৈচিত্র্য বাড়ে। ফলে, তারা রোগ বা পরিবেশগত পরিবর্তনের সাথে সহজে লড়াই করতে পারে। এটা অনেকটা ওই ছোট গ্রামের মানুষদের নতুন মানুষ আনার মতো, যাতে তাদের মধ্যে রোগ সহজে না ছড়ায়।

গবেষণায় কী জানা গেল?

ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এই জিনগত উদ্ধার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তারা দেখেছেন, যখন আমরা কাছাকাছি থাকা দুটি ছোট পপুলেশনের মধ্যে জিনগত মিল ঘটাই, তখন বেশিরভাগ সময় এটি ভালো ফল দেয়। নতুন প্রজন্মের প্রাণীরা শক্তিশালী হয় এবং পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা বাড়ে।

কিন্তু, এই গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অনেক সময় এই প্রক্রিয়ায় কিছু “খারাপ মিউটেশন” বা জিনের ভুলও অজান্তেই চলে আসতে পারে। মিউটেশন হল জিনের স্বাভাবিক পরিবর্তন। কিছু মিউটেশন ক্ষতিকর হতে পারে, যেমন – কোনো অসুখ তৈরি করা বা শারীরিক সমস্যা তৈরি করা।

ধরুন, আপনি কয়েকটি বিশেষ ধরণের খেলনা গাড়ি তৈরি করছেন। সব গাড়িই প্রায় একই রকম। এখন আপনি অন্য একটি দোকান থেকে কিছু যন্ত্রাংশ নিয়ে এসে আপনার গাড়ির সাথে যোগ করলেন, যাতে গাড়িগুলো আরও মজবুত হয়। কিন্তু, যদি ভুল করে আপনি এমন কোনো যন্ত্রাংশ যোগ করেন যা আসলে গাড়ির জন্য ক্ষতিকর, তবে পুরো গাড়িটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জিনগত উদ্ধারের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হতে পারে।

শিশুরা কেন এটা বুঝবে?

বন্ধুরা, তোমরা যখন লেগো (Lego) দিয়ে কোনো কিছু বানাও, তখন তোমরা বিভিন্ন ধরণের ইট ব্যবহার করো। কিছু ইট সোজা, কিছু বাঁকা, কিছু বড়, কিছু ছোট। এই বিভিন্ন ধরণের ইট ব্যবহার করে তোমরা আরও সুন্দর ও মজবুত জিনিস বানাতে পারো।

একইভাবে, বিপন্ন প্রাণীদের শরীরও তৈরি হয় ছোট ছোট “জিন” দিয়ে, অনেকটা লেগো ইটের মতো। যখন বিপন্ন প্রাণীদের সংখ্যা কমে যায়, তখন তাদের মধ্যে সব লেগো ইট প্রায় একই রকম হয়ে যায়। এতে তারা সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

বিজ্ঞানীরা যখন এই ছোট পপুলেশনের প্রাণীদের মধ্যে মিলন ঘটিয়ে তাদের “জিনগত উদ্ধার” করেন, তখন তারা আসলে অন্য ধরণের “লেগো ইট” নিয়ে আসেন। এতে নতুন প্রজন্মের প্রাণীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের লেগো ইট তৈরি হয়, যা তাদের আরও শক্তিশালী করে তোলে।

কিন্তু, এই গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক সময় এই নতুন লেগো ইটের মধ্যে কিছু এমন ইট থাকতে পারে যা হয়তো দেখতে একই রকম হলেও আসলে একটু ত্রুটিপূর্ণ। যেমন – একটি ইট হয়তো একটু ভাঙা বা অন্যভাবে তৈরি। এই ভাঙা ইটগুলো হয়তো প্রথমে তেমন কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মে গিয়ে এগুলোর কারণে প্রাণীদের মধ্যে রোগ বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কেন এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ?

এই গবেষণা আমাদের শেখায় যে, বিপন্ন প্রাণীদের বাঁচানোর জন্য যখন আমরা নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করি, তখন আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। শুধু সংখ্যা বাড়ানোই শেষ কথা নয়, নতুন প্রজন্ম যেন সুস্থ ও সবল হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন কিভাবে এই “খারাপ মিউটেশন” গুলোকে খুঁজে বের করা যায় এবং তাদের সরিয়ে ফেলা যায়, যাতে বিপন্ন প্রাণীরা সত্যিই ভালোভাবে বাঁচতে পারে।

বিজ্ঞানে আগ্রহ বাড়াতে:

বন্ধুরা, তোমরা যদি এই ধরণের গবেষণা সম্পর্কে আরও জানতে চাও, তাহলে বিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়তে পারো, বা টিভিতে বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখতে পারো। তোমরাও একদিন এমন সব দারুণ আবিষ্কারের অংশ হতে পারো! আমাদের পৃথিবীর সুন্দর প্রাণীগুলোকে বাঁচানোও কিন্তু আমাদের সবার দায়িত্ব।


Genetic rescue of endangered species may risk bad mutations slipping through


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-06 12:12 এ, Ohio State University ‘Genetic rescue of endangered species may risk bad mutations slipping through’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন